জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তে বিধর্মী,ফাসেক দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:- “হে মুমিন মুসলমানগণ! তোমরা কাফিরদেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না”। (সূরা আন নিসা : আয়াত ১৪৪)
عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাতে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}
★ইসলামে পতাকাতে চাঁদ তারা,মিম্বারে চাঁদ তারা প্রতিক নাজায়েজ নয়।
পৃথিবীর প্রায় অনেক মুসলিম দেশেই চাঁদ-তারাকে ইসলামের একটি প্রতীক বা সিম্বল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদ, মসজিদের গম্বুজ, মিনার, কবর, মাজার, ধর্মীয় বই-পুস্তক, জায়নামাজ, বিশেষ করে পতাকায় চাঁদ-তারার বহুল ব্যবহার লক্ষ করা যায়। পৃথিবীর বেশ কিছু মুসলিম দেশের পতাকায় চাঁদ-তারা বা শুধু চাঁদ অথবা শুধু তারা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আরবি চন্দ্রমাস যেহেতু নতুন চাঁদ দেখে শুরু হয়, রমজান,শুরু হওয়া,ঈদ দিন নির্ধারন ইত্যাদি সহ অনেক বিষয় যেহেতু চাঁদ দেখার সাথে সম্পৃক্ত।
সে হিসেবে এই চাঁদ-তারা কিছু মুসলমানেরা পতাকা ইত্যাদিতে প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত করে।
আল কুরআনে চন্দ্রকে মাস গণনার প্রতীক বলা হয়েছে— يَسْأَلُونَكَ عَنِ الْأَهِلَّةِ قُلْ هِيَ مَوَاقِيتُ لِلنَّاسِ وَالْحَجِّ وَلَيْسَ الْبِرُّ بِأَنْ تَأْتُوا الْبُيُوتَ مِنْ ظُهُورِهَا وَلَكِنَّ الْبِرَّ مَنِ اتَّقَى وَأْتُوا الْبُيُوتَ مِنْ أَبْوَابِهَا وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
তারা তোমাকে নতুন চাঁদসমূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, ‘তা মানুষের ও হজ্জের জন্য সময় নির্ধারক’। আর ভালো কাজ এটা নয় যে, তোমরা পেছন দিক দিয়ে গৃহে প্রবেশ করবে। কিন্তু ভাল কাজ হল, যে তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তোমরা গৃহসমূহে তার দরজা দিয়ে প্রবেশ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফল হও। [সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৯]
আরো ইরশাদ হয়েছে,
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَالْقَمَرَ نُورًا وَقَدَّرَهُ مَنَازِلَ لِتَعْلَمُوا عَدَدَ السِّنِينَ وَالْحِسَابَ مَا خَلَقَ اللَّهُ ذَلِكَ إِلَّا بِالْحَقِّ يُفَصِّلُ الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তিনিই সূর্যকে করেছেন দীপ্তিময় এবং চাঁদকে আলোময় আর তার জন্য নির্ধারণ করেছেন বিভিন্ন মনযিল, যাতে তোমরা জানতে পার বছরের গণনা এবং (সময়ের) হিসাব। আল্লাহ এগুলো অবশ্যই যথার্থভাবে সৃষ্টি করেছেন। জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য তিনি আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন।
[সুরা ইউনুস, আয়াত ৫]
তারকা নিয়ে বলা হয়েছে—
وَهُوَ ٱلَّذِى جَعَلَ لَكُمُ ٱلنُّجُومَ لِتَہۡتَدُواْ بِہَا فِى ظُلُمَـٰتِ ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِۗ قَدۡ فَصَّلۡنَا ٱلۡأَيَـٰتِ لِقَوۡمٍ۬ يَعۡلَمُونَ
আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্য তারকারাজি, যাতে তোমরা এ দ্বারা পথপ্রাপ্ত হও স্থল ও সমুদ্রের অন্ধকারে। নিশ্চয় আমি আয়াতসমূহকে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি এমন কওমের জন্য যারা জানে। [সুরা আনআম, আয়াত ৯৭]
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মুসলমানদের কিছু দেশের পতাকাতে চাঁদ তারা,মিম্বারে চাঁদ তারা প্রতিক নাজায়েজ নয়।
কারন শরীয়তের বিধান হলো যে সমস্ত বিষয় ইহুদী খৃষ্টানদের কালচার ও ধর্মীয় বিষয় হিসেবে বিবেচ্য ও প্রসিদ্ধ। তা ব্যবহার করা জায়েজ নয়।
যেহেতু চাঁদ তারা প্রতিক হওয়া এটি বর্তমানে ইহুদী খৃষ্টানদের ধর্মীয় কোনো বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। বরং এটি এখন মুসলমানরাও তাদের পতাকা ইত্যাদিতে ব্যাপকহারে ব্যবহার করে থাকে, তাই এটা ব্যবহার করা হারাম নয়।
এটি সব ধর্মের অনুসারীরাই ব্যবহার করে,তাই এটি ব্যবহার করা নাজায়েজ হবেনা।