আসসালামু আলাইকুম।
জখন আমি পড়াশোনা করি তখন আমাদের স্কুলে এসএসসি পরিক্ষার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করা হয়।
আমি ঢাকা বোর্ড থেকে পরিক্ষা দিয়েছি আর ঢাকা বোর্ডে সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য প্রায় ১৭০০টাকা ধরা হয়েছে।
আমি বেসরকারি স্কুলে ক্লাস করেছি কিন্তু সরকারি স্কুল থেকে রেজিষ্ট্রেশন করে পরিক্ষা দিয়েছি। অর্থাৎ আমাদের বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল একটা সরকারি স্কুল থেকে আমাদের রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন।সরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল আমাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে টাকা চেয়েছে তার থেকে ৩হাজার টাকা বেশি নিয়েছে আমাদের বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল। আমরা জানি যে আমাদের স্যার আমাদের থেকে অনেক বেশি টাকা নিয়েছে যেটা বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল আমাদের থেকে এতো টাকা চায়নি।
সরকারি স্কুলে আমাদের মোট ৭০০০টাকার মতো দিতে হবে রেজিষ্ট্রেশন আর দুই বছরের বেতনসহ। এখন আমাদের প্রিন্সিপাল আমাদের থেকে ১০০০০টাকা চেয়েছে জার কারনে স্যারের সাথে একটু তর্ক হয়েছে কেননা স্যার আমাদের থেকে অতিরিক্ত টাকা চেয়েছে আর টাকা না দিলে পরিক্ষা দিতে পারতাম না।অবশেষে স্যারকে টাকা দিয়ে দিয়েছি।প্রথমত হচ্ছে সরকার থেকে যে টাকার পরিমান করে দেওয়া হয়েছে সেটা প্রায় ৫হাজার টাকার মতো ছিলো।
৫হাজার টাকার মধ্যে ১৭০০টাকা ছিলো রেজিষ্ট্রেশন এর জন্য আর বাকি গুলো ছিলো দুই বছরের বেতনের টাকা।
এখন প্রশ্ন হলো,
১/সরকার থেকে যে দুই বছরের বেতনের টাকা দিতে বলা হয়েছে সে দুই বছর স্কুল বন্ধ ছিলো এবং ক্লাস হয় নাই।এখন আমাদের থেকে যে দুই বছরের টাকা নেওয়া হয়েছে সেটা কি তাদের জন্য হালাল হবে নাকি হারাম হবে যেহেতু আমার টাকার বিনিময়ে ক্লাস করি আর তখন ক্লাস করানো হয়নি কিন্তু স্কুলে আমাদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে।
২/আমাদের বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপাল আমার থেকে ৫০০টাকা পাবে যেটা আমাদের স্যার নিজেও জানেনা। এখন আমি যদি স্যারকে ৫০০টাকা না দেই এইটা ভেবে যে স্যার তো আমার থেকে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় বেশি টাকা নিয়েছে।এখন যদি টাকাটা না দেই তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?
৩/আমার স্যার ঢাকাতে থাকে আর আমি গ্রামে চলে আইছি যদি টাকাটা দিতেও হয় তাহলে এখন আমার করনিয় কি?আর আমার স্যার একজন হিন্দু। যদি টাকাটা দিতেও হয় তাহলে আমি কিভাবে দিব আর না দিলে কি গুনাহ হবে?