আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
79 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্
১. ১২+ বছরের মাহরামের সাথে কি সফর করা যাবে?

২. ১০+ বছরের ছেলে বাবুকে কি প্রাইভেট পড়ানো যাবে?

৩. ইসলামী ব্যাংকের সুদ কি হালাল?

৪. সুদ বিহীন ব্যাংকে টাকা রাখা কি হালাল?

৫. রেস্টুরেন্টের চিকেন-বিফ জাতীয় খাবার কি নির্দ্বিধায় খাওয়া যাবে?

৬. ছাত্র-ছাত্রীকে পড়ানোর ক্ষেত্রে ছাত্রীকে বারবার বলার পরও পর্দা না করে আসলে সেই ইনকাম কি শিক্ষিকার জন্য হালাল হবে?

৭. ছাত্রীর গার্ডিয়ান সুদের টাকায় টিউশন ফি দিলে তা গ্রহণ জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
https://ifatwa.info/57766 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
ছেলেদের বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার মূল নিদর্শন বীর্যস্খলন হওয়া। এটির প্রকাশক অনেক কিছুই হতে পারে। যেমন
সেটি স্বপ্নদোষের মাধ্যমে প্রকাশিত হতে পারে।

ছেলেদের দাড়ি গোফ উঠা  ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে।

যদি নিদর্শন বুঝা না যায়,তাহলে বয়স হিসেবে বালেগ হওয়া নির্ধারণ করতে হবে।

এক্ষেত্রে কত বছর বয়সে ছেলেদের বাল্গ ধরা হবে,সেই বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের মত বিরোধ রয়েছে। 

প্রাধান্য পাওয়া বক্তব্য হল, বালেগ হবার উপরোক্ত আলামতগুলো যদি কোন ছেলে বা মেয়ের মাঝে প্রকাশিত না হয়, তাহলে সন্তানের বয়স পনের বছর হলেই উক্ত ছেলে মেয়ে বালেগ হয়েছে বলে ধর্তব্য হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن ابن عمر رضي الله عنهما أنه عُرِض على النبي صلى الله عليه وسلم يوم أُحدٍ وله أربع عشرة سنة فلم يُجِزْه، وعُرِض عليه يوم الخندق وله خمس عشرة سنة فأجازه.

ইবনে উমর রাঃ উহুদের জিহাদে অংশ নেবার অনুমতি চাইলেন, তখন তার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। রাসূল সাঃ তাকে অনুমতি প্রদান করেননি। কিন্তু খন্দকের জিহাদের অংশ নিতে অনুমতি চাইলে অনুমতি দেয়া হয়, তখন তার বয়স ছিল পনের বছর। [আলআহাদ ওয়ালমাছানী, হাদীস নং-৭৪৬]

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মাহরামের বয়স যদি ১২+ হয়,আর সে বুঝবান হয়,সেক্ষেত্রে তাকে নিয়ে সফর করা যাবে। 

(০২)
হ্যাঁ, যাবে।
তবে ফিতনার আশংকা বোধ করলে আর পড়াবেননা।

(০৩)
ইসলামী ব্যাংকের সুদ বেশির ভাগ বিজ্ঞ মুফতী সাহেবদের মতে হারাম।

(০৪)
সুদ বিহীন ব্যাংকে টাকা রাখা হালাল।
তবে মুনাফা গ্রহন করবেননা।

(০৫)
হ্যাঁ, আমাদের এই মুসলিম দেশে মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় নির্দ্বিধায় খাওয়া যাবে।
তবে হারাম মিশ্রণ বা মরা মুরগী হওয়ার কোনো প্রমান পেলে সেক্ষেত্রে সেই ব্যাক্তির জন্য খাওয়া জায়েজ হবেনা।

(০৬)
সেই ইনকাম শিক্ষিকার জন্য হালাল হবে।

(০৭)
ছাত্রীর গার্ডিয়ান সুদের টাকায় টিউশন ফি দিলে তা গ্রহণ জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 54 views
0 votes
1 answer 293 views
...