আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
আসসালামু'আলাইকুম উস্তায।

আমার নানুবাড়িতে যাওয়ার সময় সবসময় এমন হয় যে আব্বু আম্মু দুপুরের পর র‌ওনা হতে চায়।নানুবাড়িতে যেতে মিনিমাম ২ ঘণ্টা লাগে। অর্থাৎ বিকাল ৩ টা বা ৪ টায় র‌ওনা দিলে আসর বা মাগরিব যেকোনো একটা নামাজ কাজা হয়‌ই।


দুপুরের আগে অফিস থাকায় দুপুরের আগে যাওয়া হয় না।তবে পরেরদিন ছুটি থাকে, ইচ্ছা করলে পরেরদিন সকালে যাওয়া যায় অথবা আগেরদিন মাগরিব পড়েও যাওয়া যায়। কিন্তু এইযে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, শুধুমাত্র ১/২ ঘণ্টা আগে যাওয়ার জন্য একটা নামাজ কাজা করা হয়। এতে কি ইচ্ছাকৃত নামাজ কাজা করার গুনাহ হচ্ছে?নাকি সফরের (বাসা থেকে নানু বাড়ির দূরত্ব ৪৮ মাইলের চেয়ে কম) মাঝপথে একটা নামাজ কাজা হয়ে গেলেও পরে আদায় করে নিলেও হবে?


আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যেন সফরের এই শিডিউলটা চেঞ্জ করে, কিন্তু উল্টো এতে তর্ক লেগে যায় জন্য তাদের ইচ্ছামতোই যাই,আমার কি এতে নামাজ কাজা করার গুনাহ হবে?

রাস্তার মাঝপথে থেমে কোথাও নামাজ পড়ার সুযোগ থাকে না,তখন গাড়িতে বসে বসে কি নামাজ আদায় করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 

আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। আর এ নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করাও ফরজ। প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের জন্যই নির্ধারণ করা আছে। ওয়াক্ত বা সময় চলে গেলে সে নামাজের কাজা আদায় করা যায়। 

নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-

إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا

‘নিশ্চয় নামাজকে ঈমানদারের জন্য নির্ধারিত সময়ে (আদায় করা) আবশ্যক কর্তব্য করা হয়েছে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১০৩)

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায়ের তাগিদ দিয়েছেন। তাই কোনো শরয়ি প্রয়োজন ছাড়া এক ওয়াক্তের নামাজ অন্য ওয়াক্তে পড়া জায়েজ নয়।

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেছেন নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায়কে সবচেয়ে বেশি ফজিলতময়। হাদিসে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম; কোন আমলটি সবচেয়ে বেশি ফজিলতময়? তিনি বলেন, ‘নামাজকে তার সময় মতো (নির্ধারিত সময়ে) আদায় করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)

যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নির্ধারিত ওয়াক্তে নামাজ ছেড়ে দেয় তথা আদায় না করে তবে সে কুফরি করলো। ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয়া কবিরা গোনাহ। নামাজ ছেড়ে দেয়া সম্পর্কে অনেক সতর্কতা এসেছে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে নামাজ কাজা করা কোনোভাবেই জায়েজ হচ্ছেনা।
মারাত্মক গুনাহ হচ্ছে।

এক্ষেত্রে এখন তো আসরের ওয়াক্ত ৪-০৭, ৪-১০ এ সময়ের মধ্যেই আসছে।
সুতরাং আপনার নিজ জেলায় আসরের ওয়াক্ত কয়টায় আসে,সেটা দেখে ওয়াক্ত আসা মাত্র আসরের নামাজ পড়ে নিয়ে গাড়িতে উঠবেন। 
তাহলে আর কোনো সমস্যা হবেনা।  

বিশেষ প্রয়োজন বশত চারটার আগেই গাড়িতে উঠতে হলে অযু করে গাড়িতে উঠে গাড়ির মধ্যেই নামাজ আদায় করা জরুরি হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 56 views
...