আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
107 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
edited by
১. ২৫ তারিখ সকাল আটটায় হায়েজ দেখি ২৮ তারিখ সকাল নয়টায় প্যাডে হালকা কালো রঙের ব্লাড ছিল। তার কালো রঙের কিছু বের হচ্ছিল যা সামান্য আসরের সময় আবার লাল রঙের ব্লাড দেখতে পাই। তাহলে তো তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হয়েছে এটা হায়েজ তাই তো শায়েখ?

২) ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী বললো যদি এটা না হয় আমরা আলাদা হয়ে যাবো  স্ত্রী বললো মানে স্বামী বললো এর মানে দুই বিছানায় থাকবো কোনো নিয়তে বলে নাই। তারপর বলে তুমি তালাক নিয়ে নাও আমার কাছ থেকে স্ত্রী বলছে কি বললেন স্বামী বললো তালাকের কথা বলছি ২ বার।  সকালে স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে বলছে স্বামী আমি প্রশ্ন করছি এই বিষয়ে আমি তোমাকে কোন অধিকার দেই নাই। আর নিয়ত উদ্দেশ্য  ছাড়া ১০০ বার তালাক বললেও কি তালাক হয় আমি প্রশ্ন করছি তুমি কি বললাম জিজ্ঞেস করছো সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলছি তালাকের কথা বলছি আমি তালাকের অধিকার দেই নাই। স্ত্রী রাতেই স্বামী কে বলছি তালাক চায় না। তারপর স্ত্রী বলছে আপনি সংসার করতে না চাইলে আমিও সংসার করতে চাই না। আপনি শায়েখদের জিজ্ঞেস করেন স্বামী বলছে শায়েখ রা তালাক হয়ে গেছে বললে তখন কি করবা স্ত্রী বলছে তখন যে প্রসিডিওর হবে তাই করবো। এমন কথোপকথনে তালাক হয় না তাই তো শায়েখ?
(৩)  কথোপকথন এতুটুকু স্বামী মানে হায়েজ চলাকালীন তালাক হয় না স্ত্রী ও স্বামীর মাসআলা মানে। তাও এমনি প্রশ্ন করা কারণ ওয়াসওয়াসা আসতেছিল আরও একজন শায়েখ কে প্রশ্ন করছিলাম উত্তর আসেনি। যেহেতু  স্বামী ভিন্ন মত মানে আপনাদের মত ভিন্ন জানি তাও প্রশ্ন করে ডিলিট করিনি কারণ ওয়াসওয়াসা আসতিসে  এবং উত্তর  ভিন্ন  হলে আপনাদের মত ভিন্ন জেনেও শুধু প্রশ্ন করার কারণে স্বামী আপনাদের মত না মানলে কোন সম্যসা মানে তালাক হবে সংসারে ? স্বামী যে মত মানে স্ত্রী ও সেই মত মানে। দয়া করে বেয়াদবি নিবেন না ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত ভীষণ।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েজ এর সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হয়েছে।
এটি হায়েজ।

(০২)
প্রশ্নে উল্লেখিত কথোপকথন দ্বারা কোন তালাক হয়নি।
সংসারে কোনো সমস্যা হয়নি।

(০৩)
উপরোক্ত কথোপকথন দ্বারা কোন তালাক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...