আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (21 points)
(১) স্ত্রী আর স্বামী সহবাসের কথা বল ছিল। স্বামী বললো এই ঔষধ খেলে বাচ্চা হবে না। আমাদের সহবাস ও কম করতে। এখানে উল্লেখ্য স্ত্রী সিস্ট চিকিৎসায় ডাক্তারের দেয়া ঔষধ খাবে। তখন স্ত্রী বললো সহবাস কি শুধু বাচ্চার জন্য করি নাকি। তারপর মজা করে কি একটা বলতে গেছিল স্বামী স্ত্রী বলছে নাউজুবিল্লাহ আর কিছু শুনতে চাই না। তখন স্বামী বলছে আমরা তো স্বামী স্ত্রী সহবাস তো হারাম না তুমি নাউজুবিল্লাহ বললে কেন। স্ত্রী ওসব হারাম ভেবে নাউজুবিল্লাহ বলে নাই। সে লজ্জা পায় স্বামীর মুখ থেকে এ বিষয়ে কোন কথা শুনলে উপরোক্ত কথোপকথন দ্বারা কি কোন তালাক বা কিছু হয় সংসারে? স্ত্রীর তালাকের কোন অধিকার নেই।

(2) আমার হায়েজ হইছে ২৫ তারিখ দিনে আর ২৮ তারিখ রাত আজকে।  তার মানে তিন দিন তিন রাত এভাবে হিসাব হয় হায়েজের তাই তো শায়েখ?

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
উপরোক্ত কথোপকথন দ্বারা কোন তালাক হয়না।
সংসারে কোনো সমস্যা হবেনা।
আপনারা নিশ্চিত থাকুন। 

(০২)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হাদীস শরীফে এসেছে   
أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام
دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61
রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

বিস্তারিত জানুনঃ   

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ২৫ তারিখ দিনের বেলা যে কয়টার সময় হায়েজ এসেছিলো,২৮ তারিখের দিনের বেলা সেই সময় হলেই তিন দিন তিন রাত পূর্ণ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (21 points)
শায়েখ ২৮ তারিখ সকাল বেলা কালো রঙ থাকলেও এখন আসরের সময় ব্লাড দেখলাম  তিন দিন তিন রাত পুর্ণ হয়েছে কি?
by (657,800 points)
হ্যাঁ, তিন দিন তিন রাত পুর্ণ হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...