আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
283 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (10 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,

শাইখ আমি বর্তমানে আমেরিকা অবস্থান করছি উচ্চ শিক্ষার জন্য এইখানে চিরস্থায়ী বসবাসের কোন নিয়ত নেই। এইখানে পড়াশুনার সাথে সাথে দাওয়াতের কাজের সাথে লেগে থাকার চেষ্টা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের মেহনতে মাসজিদে তালিম শুরু হয়েছে, বাচ্চাদের মক্তব চালু হয়েছে, খুছুছি গাশত ইত্যাদির দ্বারা অনেক পরিবার মসজিদমুখী হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
অপরদিকে দেশে আমার স্ত্রী এবং এক ছেলে আছে (বয়স ১ বছর)। সাত মাস আগে আমি দেশ থেকে ছুটি কাটিয়ে এখানে আসি। পূর্বের মত সেবারও আমি আমার স্ত্রীকে এখানে আনতে চাইলে সে অসম্মতি জানায় এবং শুধুমাত্র তাকে এখানে এনে পড়তে দিলে সে এখানে আসতে চায়। কিন্তু আমি তাকে এই শর্তে এইখানে আনতে রাজি নই। কারণ একজন পুরুষ হিসেবে যেখানে আমার জন্যই এই পরিবেশ প্রতিকূলে সেখানে আমি তাকে এই পরিবেশে পড়তে দিতে আগ্রহী না এটাই কি হওয়া উচিত নয়?  আমি যে বিদেশে আসার কথা তাদেরকে বিবাহের পূর্বেই বলেছিলাম এবং সেই সময় এমন শর্তের কথা তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়নি বা তাদের পক্ষ থেকে কোন আপত্তিও ছিল না।

এখানে আমি তার পরিপূর্ণ পর্দার ব্যাবস্তা করতে সক্ষম আলহামদুলিল্ললাহ। এখানে অনেক মুসলিম পরিবারের সাথেও আমার সখ্যতা গড়ে উঠেছে যাদের সাথে উঠাবসার মাধ্যমে সামাজিকতা করা ও দাওয়াতের পরিবেশ তৈরী করা সম্ভব।

আমি দেশে তাদের প্রতিমাসে মৌলিক খরপোষের জন্য (২০,০০০ টাকা) পাঠাই যা আমাদের উভয়ের শিক্ষক পরিবারের মর্যাদা অনুযায়ী যথেষ্ট।
স্ত্রী সন্তানদের দায়িত্ব পালনের জন্য এখন আমার স্ত্রী আমাকে দেশে ফিরে যেতে বলছে এবং চার মাসের বেশি তার কাছ থেকে দূরে থাকা যাবেনা এই ফতোয়া উল্লেখ করছে। আমি একথা জানি যে একজন স্বামী তার স্ত্রী থেকে চার মাস দূরে থাকা বৈধ নয়। আবার, সার্বিক বিবেচনায় আমার পক্ষে এখন দেশে ফিরে যাওয়া বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না।

প্রশ্নঃ

১। আমি আমার সাথে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আসতে চাওয়ার পরেও আমার সাথে না এসে এখন আমাকে চার মাস দূরে থাকা যাবে না মর্মে দ্বায়ী করছে। আমি কি গুনাহগার হচ্ছি? হলে, আমার করনীয় কি?


এই ফতোয়ার - ( https://ifatwa.info/66657/?show=66690#a66690)  প্রশ্নকারী আমার স্ত্রী । এই প্রশ্ন পড়লে আশা করি আপনার কাছে দৃশ্যটা আরও কিছুটা পরিস্কার হবে।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
حدثنا الحسن بن علي الخلال حدثنا أبو عامر العقدي حدثنا كثير بن عبد الله بن عمرو بن عوف المزني عن أبيه عن جده أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الصلح جائز بين المسلمين إلا صلحا حرم حلالا أو أحل حراما والمسلمون على شروطهم إلا شرطا حرم حلالا أو أحل حراما قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানদের একে অপরের সাথে সন্ধি স্থাপন করা জায়িয। কিন্তু বৈধকে অবৈধ অথবা অবৈধকে বৈধ করার মত সন্ধি চুক্তি জায়িয নেই। মুসলমানগণ তাদের একে অপরের মধ্যে স্থিরকৃত শর্তাবলী মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু হালালকে হারাম অথবা হারামকে হালাল করার মত শর্ত বৈধ নয় (তা বাতিল বলে গণ্য হবে)।(জা'মে তিরমিযি-১৩৫২, পৃষ্টা-৪৮৭, সুনানু ইবনু মা'জাহ-২৩৫৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বিয়ের পূর্বে আপনি বিদেশে অবস্থানের কথা বলেছিলেন, তখন স্ত্রী লেখপড়ার শর্তারোপ করেননি।এখন লেখাপড়ার শর্তারোপ করা স্ত্রীর জন্য জায়েয হবে না। স্বামী যেখানে অবস্থান করবে, স্ত্রীর জন্য সেখানে অবস্থান করা বাধ্যতামূলক।এক্ষেত্র স্ত্রী অসম্মতি প্রকাশ করতে পারবে না। যেহেতু স্বামী পরিপূর্ণ পর্দার সাথে রাখতে পারবে,তাই স্ত্রীর জন্য স্বামীর অানুগত্য জরুরী।স্বামী প্রতিকুল পরিবেশে দাওয়াতের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন, তাই স্বামীর জন্য ঐ প্রতিকূল পরিবেশে তথা অমুসলিম দেশে অবস্থান করা বৈধ। যেহেতু স্বামীর জন্য অবস্থান বৈধ তাই স্ত্রী স্বামীর অানুগত্য স্বীকার করে স্বামীর অবস্থান স্থলের দিকে হিজরত করবে।এক্ষেত্রে কোনো প্রকার শর্তারোপ করতে পারবে না।বিশেষ অনৈসলামিক শর্তারোপ। 

বিঃদ্রঃ
সম্ভবত আপনারা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনো ভূল বুঝাবুঝি  হচ্ছে, আপনারা চাইলে আমি মধ্যস্থতা করে দিতে সম্মত আছি।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...