মানসিক সমস্যা নিয়ে পেরেশানিতে আছি "_"

Question

আসসালামু আলাইকুম।
শায়েখ,

আমার ওসিডি আছে শায়েখ। এক প্রকার মানসিক রোগ। যার জন্য আমার সবকিছুতেই সন্দেহ ও বিভিন্ন প্রকারের আজে বাজে চিন্তা আসতে থাকে একের পর এক। আমি চাইলেও এই অহেতুক সন্দেহ ও আজে বাজে চিন্তা থেকে নিজেকে দুরে রাখতে পারছি না।

আমার আগের করা প্রশ্নটা দেখে আসার অনুরোধ করছি শায়েখকে। তাহলে আমি কতটা ওয়াসওয়াসার স্বীকার বুঝতে পারবেন আশা করি।
https://ifatwa.info/66634/

যদিও আমি আগের করা প্রশ্নের মাধ্যমে জেনেছি যে আমার তালাক প্রযোজ্য নয়, তবুও সন্দেহ আমার পিছু ছাড়ে না। আশা করি শায়েখ আমার অবস্থাটা বুঝবেন।

(১) আমার ওয়াসওয়াসা এতটায় বেশি যে, মাঝে মাঝে রাতে ঘুমালে তালাক নিয়ে বিভিন্ন প্রকার স্বপ্ন দেখি। গত রাতে একটা খারাপ স্বপ্ন দেখছিলাম।স্বপ্ন শেষে ঘুম ভাংগার সময় আমি বুঝতে পারলাম যে আমার মুখ খোলা বা হা হয়ে ছিল। এবং আমার ঘুম ভাংগে ও আমি আমার মুখ বন্ধ করি ।

ঘুম ভাংগার ওই সময় সম্ভবত আমার ডিভোর্স শব্দ মনে এসেছিল। আবারো মনে সন্দেহ হচ্ছে যে, আমি মনে হয় মুখ খুলে তখন ডিভোর্স শব্দ উচ্চারন করেছিলাম তাই মুখ খোলা ছিল। এমন সন্দেহ আমার মনে আসছে।
এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ?

(২) আমার স্ত্রী আমাকে বলছে যে তোমার মেয়েকে ওর নানার বাড়ি রেখে আসবো।
একথা শোনার পর আমার মনের ভিতর হলো যে মেয়েকে না রেখে এসে তুমি চলে যাও।
একথা আমি শিওর যে মনে মনে বলেছি। কারন আমার স্ত্রী আমার পাশেই খাটের উপর বসা ছিল। বললে তো সে শুনতে পেত। তারপরেও আমার মনে সন্দেহ আসছে।
এতে কি তালাক পতিত হবে??

(৩) আমার ওয়াইফের উপর বিরক্ত হয়ে আমি বললাম যে, "নাহ"। কিন্তু এটা বলার পর মনে হচ্ছে আমি তালাকের নিয়তে বললাম। আবার মনে হচ্ছে এটা কেনায়া শব্দ।

আমার ছোট মেয়ে পেসাব করলে আমি আমার ওয়াইফকে আমার মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বললাম যে, এত সাফাই তাহলে কাথায় পেসাব করলেন কেন?

আমি জানি এটা কেনায়া শব্দ না তারপরেও এটা আমার মন থেকে যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে এটা কেনায়া শব্দ। এরকম সব সাধারন কথাবার্তাও আমার কাছে কেনায়া বাক্য বলে মনে হয়। আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি শায়েখ। ওয়াইফের একটা কথা শুনে আমি বললাম যে, কথা শুনে আর বাচলাম না। এটাও মনে হচ্ছে কেনায়া শব্দ।

আমি আমার মেয়েকে বলেছি যে আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে? মেয়েকে বলার পরও মনে হচ্ছে আমি মনে হয় আমার ওয়াইফকে বললাম।
এই কথাগুলোর দ্বারা কি তালাক পতিত হবে শায়েখ??

(৪) আমি যেখানে জব করি সেখানে আমার রুমে একটা তাজবিহ ঝুলানো আছে। সেটা সম্পর্কে একজন জানতে চাইলে আমি বললাম আমার আগে যে এখানে থাকতো সে নামাজ পড়তো। এটা বলার সময় থেকে আমার মনে হচ্ছে আমি মনে হয় নামাজ পড়াকে ভাল মনে করি না। আমিও কোনদিন নামাজ পড়বো না তাই বললাম আগে যে থাকতো সে নামাজ পড়তো। এরকম কথা আমার মনে চলে আসছিল।
এতে কি আমার ঈমান চলে যাবে শায়েখ?

(৫) মেয়েকে কি জান বলে ডাকা যাবে?

(6) ইস্তেন্জা করা অবস্থায় তালাক নিয়ে বিভিন্ন কথা মনে চলে আসে। আজ ইস্তেন্জা করার সময় মনে হচ্ছিল আমার তালাক পতিত হবে না। এসব ভাবতে ভাবতে মনে হল আমি তালাক উচ্চারন করে ফেললাম। যদিও আমি নিজের কানে তালাক শব্দ শুনিনি। অনেক সময় উচ্চারন না করেও মনে হয় উচ্চারন করলাম। মনে তালাক শব্দ আসলেও আমার কাছে এতটায় রিয়েল মনে হয় যেন আমি উচ্চারন করলাম। এতে কি তালাক পতিত হবে শায়েখ??

Answer 1

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ( ﺟَﺎﺀَ ﻧَﺎﺱٌ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺴَﺄَﻟُﻮﻩُ ﺇِﻧَّﺎ ﻧَﺠِﺪُ ﻓِﻲ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻳَﺘَﻌَﺎﻇَﻢُ ﺃَﺣَﺪُﻧَﺎ ﺃَﻥْ ﻳَﺘَﻜَﻠَّﻢَ ﺑِﻪِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻗَﺪْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻤُﻮﻩُ ؟ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﻧَﻌَﻢْ ، ﻗَﺎﻝَ : ﺫَﺍﻙَ ﺻَﺮِﻳﺢُ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ )

কিছু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন,আমাদের অন্তরে অনেক সময় মন্দ চিন্তাভাবনা চলে আসে।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, এটা কি সম্ভব? তারা বলল, জ্বী হ্যা। রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, মাঝেমধ্যে এমন সন্দেহ মনে উঁকি দেয়াই হল, কামিল ঈমানের পরিচায়ক। (সহীহ মুসলিম-১৩২)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,

ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...

অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়, যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়। সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।

আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা। (আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

‘সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

উপরোক্ত কোন সূরতেই তালাক হবে না।  প্রশ্নেল্লিখিত সমস্যাগুলি হওয়ার মূল কারণ হলো ওয়াসওয়াসা । সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে তালাক হবে না। ওয়াসওয়াসা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। সে চায় মানুষকে পেরেশান ও অস্থির করে রাখতে যাতে সে আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মাশগুল থাকতে না পারে। বিধায় এমন পরিস্থিতিতে আপনি হতাশ হবেন না। বরং ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে উপরে উল্লেখিত আমলগুলি করুন এবং মানসিক রোগের কোন ভালো চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা করুন।

কারণ, ওয়াসওয়াসাকে মেডিক্যালের ভাষায় অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার (OCD) বলে, যা সাধারণত ব্রেইনের সেরোটোনিন নামক একটা নিউরোকেমিক্যালের হ্রাস-বৃদ্ধির জন্য হয়ে থাকে। অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা এ রোগে পরিনত হয় এবং আক্রান্ত রোগীকে মানসিকভাবে অনেক কষ্ট দিতে থাকে। ইনশাআল্লাহ এ রোগ ৩/৪ মাস মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয়, সাথে আল্লাহর কাছে এ রোগ মুক্তির দোয়া করতে হবে। আশা করি ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আনবেন।

ভালোবাসা ও স্নেহের সাথে যদি কোন মা-বাবা স্বীয় সন্তানকে “জান” বলে ডাকে তাহলে তা জায়েয আছে।