আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম।  হুজুর,  আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো।

১- হুজুর,  আমি উদ্দেশ্য না করে আবার কাউকে বোঝানোর জন্য না, শুধু এমনিতেই যদি বলি, "তোমাকে________ লাম" এখানে এটা বলার দারা কি বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে?
২- হুজুর নিজের শুনলে কি সমস্যা হবে যদি উদ্দেশ্য না করে ওই কথা বলি।

৩- হুজুর একবার মনে হচ্ছে নিজের কানে শুনছি, আবার মনে হচ্ছে নিজ জ্ঞানে কখোনো নিজ কানে শোনার মতো জোরে জোরে বলবো না, এক্ষেত্রে কি ধরবো আমি।

৪- হুজুর আমি ওয়াসওয়াসার কারনে উক্ত চিন্তা করে জীহবা নাড়ায়ে বলে ফেলি, এক্ষেত্রে  আমি যদি উক্ত কথার মাঝে উদ্দেশ্য থাকলে এবং জোরে বলে ফেলার কারনে, ওয়াসওয়াসার কারনে জোরে বলে ফেলার কারনে কি সমস্যা হবে?

৫- হুজুর, আমার মনে হচ্ছে আমি কোনোবারো উদ্দেশ্য করে বলি নি, আবার মনে হচ্ছে বলেছি হয়তো কিন্তু ভুলে গেছি, এক্ষেত্রে আমি কি করবো?

৬- হুজুর ১০০% শিউর না হলে পতিত কি হবে?

৭- হুজুর অনেক জায়গায় দেখি ভুলে গেলেও পতিত হয়ে যায়, কিন্তু আবার অনেক জায়গায় দেখি,  ভুলে গেছে মানে সন্দেহ, আবার অনেক সময় ঘটনা ঘটার পরে ভুলে যায়, কিন্তু উক্ত ব্যক্তি ঘটনা ভুলে গেলে সেটা ওয়াসওয়াসা বলা হয়, এখন কেমন যেন মনে হয়, সুবিধা নিচ্ছি, এই জিনিসটা একটু বুঝাই বলবেন প্লিজ।

৮- আমার একটা মনের মধ্যে মনে হচ্ছে যে, আমি কখনোই উদ্দেশ্য করে বলিনি, কিন্তু ওয়াসওয়াসার কারনে যদি উদাহরণ এসে যায় এবং বলে ফেলি, এক্ষেত্রে কি হবে?

৯- হুজুর - মুল ঘটনাটা এমন যে, আমি কেনায়া নিয়ে ভাবতে থাকি তখন মুখে জিহবা নড়ছিলো খেয়াল করিনি,নিজের কানে শোনার মতো আওয়াজ হচ্ছিলো কিনা খেয়াল করিনি, তখন ভাবতে ভাবতে, তোমাকে_________ লাম এই কথাটা ভাবি এবং তখনই মনে হয় এটা আমি কি বললাম, চেক করার জন্য জীহব্বা নাড়ায়ে বলি, নিজের কানে শোনার বিষয় জানতামনা তখন। পরবর্তীতে ভাবতে থাকি যে আওয়াজ হলো কিনা,ভাবতে গিয়ে অনেকবার বলছি জীহব্বা নাড়ায়ে,  ভয় হলো যে পতিত হলো কিনা, তখন উক্ত কথার শেষে "এগুলা বলা ঠিকনা" যুক্ত করে জীহব্বা নাড়ায়ে বলি, স্ত্রীকে অনেকবার বলেছিলাম যে, দেখোতো কিছু শোনো কিনা, (সম্ভাবত অন্য কোনো সেফ বাক্য বলেছিলাম) সে বলে যে খুব অল্প আবছা আবছা, একটা বোঝা যায় একটা যায় না, আবার বলে কিছুই বোঝা যায় না, আবার বলে উপ উপ এরকম আওয়াজ শুধু শোনা যায়।এর পরে জানতে পারি যে নিজের কানে শুনলেই হবে, এর আগেতো আমি খেয়াল করিনি যে নিজের কানে শুনছি কিনা। ভয় হলে ফোনের রেকর্ডার দিয়ে রেকর্ড করে শুনি, খুব  আস্তে শোনা যায় আবার যায়ও না। আমি ১০০% শিউর না যে ওরকম জোরে বলছি কি না। এখন হুজুর এই পুরো ঘটনায় বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে?

১০- হুজুর উদ্দেশ্য ছিল কি না ১০০% শিউর না, আবার নিজ কানে শুনছি কি না এটাও ১০০% শিউর না, এখন আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক কি ঠিক আছে?

১১- বলছি যে শিউর না, বাইচান্স যদি ওয়াসওয়াসায় পরে হোক বা যেকোনো ভাবো হোক (আল্লাহ না করুন) যদি কোনো ভাবে উদ্দেশ্যসহ নিজের কানে শোনার মতো জোড়ে বলে ফেলি, কিন্তু মনে করতে পারছিনা, এক্ষেত্রে কি হবে?

হুজুর,  আমার মনের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রথম থেকেই ওকে হারানোর মন থেকে কোনো ইচ্ছে নেই এবং মন থেকে মানে একদম মনের গভির থেকে ওগুলো বলারো কোনো ইচ্ছে নেই। হুজুর দয়া করে প্রশ্ন গুলো মনোযোগ দিয়ে উত্তর দিয়েন। হুজুর আমি কান্না করে পাগল হয়ে যাচ্ছি। হুজুর আমার জন্য  দোয়া করুন, যাতে আমাদের সম্পর্কে কোনো সমস্যা না হয়।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।

(০২)
এক্ষেত্রে সমস্যা হবেনা।

(০৩)
নিজের কানে শোনেননি বলেই ধরে নিবেন।

(০৪)
অন্যদের ক্ষেত্রে হলে সমস্যা হতো।
কিন্তু আপনি য্যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই আপনি জোড়ে বলে ফেললেও সমস্যা হবেনা। 

(০৫)
এতে তালাক হবেনা।

(০৬)
না,এক্ষেত্রে তালাক পতিত হবেনা। 

(০৭)
সন্দেহে থাকলে তো তালাক পতিত হয়না।
সুতরাং এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।

(০৮)
এক্ষেত্রে তালাক পতিত হবেনা। 

(০৯)
এই পুরো ঘটনায় আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।

(১০)
এখন আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে।

(১১)
এক্ষেত্রে আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবেনা।
এমনটি ধরে নেয়াই আপনাদের জন্য শরীয়তের বিধান।

★আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, সেক্ষেত্রে সুস্থ্য হওয়ার আগ পর্যন্ত স্পষ্ট বাক্যে তালাক দিলেও তালাক হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...