জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত বোনের জন্য পরামর্শঃ-
আপনি মনে বিশ্বাস রাখবেন যে নামাজে এসব আজে বাজে চিন্তা আসলেও নামাজের সমস্যা হবেনা।
সুতরাং আপনার নামাজ শুদ্ধ হচ্ছেই।
ইনশাআল্লাহ এটি বিশ্বাস রাখলে আপনি নামাজে নিয়মিত হতে পারবেন।
আনাস রাযি. বলেন, রাসুল ﷺ (উম্মতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য) সব সময় এই দোয়া করতেন,
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِىْ عَلىٰ دِيْنِكَ
হে অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তর আপনার দীনের উপর দৃঢ় করে দিন।
আনাস রাযি. বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা আপনার উপর এবং আপনার আনিত শিক্ষার উপর ঈমান এনেছি। এখন আপনার মনে কি আমাদের সম্পর্কে কোনো সন্দেহ আছে? ( যে বেশি বেশি এই দোয়া করেন!) রাসুল ﷺ উত্তর দিলেন হ্যাঁ! সব অন্তর আল্লাহর দুই আঙ্গুলের মধ্যে পড়ে আছে। আল্লাহ যেভাবে চান, এগুলোকে পরিবর্তন করেন। (তিরমিযি ২১৪০ তাকদির অধ্যায়)
★সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করবেন।
রাসূলুল্লাহ্ ﷺ দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا، وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَن زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا
হে আল্লাহ আমাকে তাকওয়ার তওফীক দান করুন এবং নাফসকে পবিত্র করুন, আপনিই তো উত্তম পবিত্রকারী। আর আপনিই আমার নাফসের মুরুব্বী ও পৃষ্ঠপোষক। (মুসলিম ২৭২২)
সুতরাং আপনিও দোয়াটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
নেককারদের সোহবত গ্রহণ করুন। তাদের সাথে বেশি উঠাবসা করুন।
পাশের কোনো বাসায় তাবলিগের মেহনতের সাথে যুক্ত মহিলারা তা'লিম করলে সেখানে যাবেন।
এতে নফস নিয়ন্ত্রণ করা এবং তাওবার উপর অটল থাকা আপনার জন্য সহজ হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَكُونُواْ مَعَ الصَّادِقِينَ
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যবাদীদের সাথে থাক। (সূরা আত তাওবাহ ১১৯)
ঈমান ও ইসলামের পরিবেশে সময় ব্যয় করুন।
আপনাকে বেশি পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করার ও শোনার পরামর্শ দিচ্ছি। এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا
আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায়। (সূরা আনফাল ২)
হক্কানী শায়েখদের নামাজ না পড়ার শাস্তি, জাহান্নামের শাস্তি সম্বলিত ওয়াজ শুনুন,ও এ সংক্রান্ত গ্রন্থাবলী পড়ুন।
নামাজে মনোযোগী হওয়ার পদ্ধতি জানুনঃ-
(০২)
তার এসব চিন্তা বাদ দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপনের পরামর্শ থাকবে।
(০৩)
মনে অংশীদারিত্ব ও শিরকীমূলক চিন্তা আসলেই কেহ শিরক করে ফেলেনা।
তাই এতে তার ঈমান চলে যাবেনা।
(০৪)
হ্যাঁ এতে তার গুনাহ হবে।
সে বিবাহের জন্য রাজী হবে।
এটি তার জন্য দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কল্যানকর।
এটিই তার জন্য স্বাভাবিক জীবন যাপনের মাধ্যম হবে।
(০৫)
যদি সে বিয়ে না করে,তাহলে বাবা মার বৈধ আদেশ অমান্য করার দরুন তার গুনাহ হবে।
,
তার মানসিক কোন প্রস্তুতি না থাকলেও তার বাবা -মার কথা ভেবে বিয়েতে রাজি হওয়া উচিত।