ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আখলাক শব্দের শাব্দিক অর্থ
আখলাক আরবি শব্দ খুলুকুন এর বহুবচন। এর অর্থ চরিত্র,স্বভাব,আচার-আচরণ,ব্যবহার ইত্যাদি
পরিভাষায় আখলাক বলা যায়,
মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মের মধ্য দিয়ে যে আচার-আচরণ ও স্বভাব-চরিত্রের প্রকাশ পায়,তাকেই আখলাক বলা হয়। মানব জীবনের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং আন্তর্জাতিক সকল দিকই আখলাকের অন্তভূক্ত।
আখলাক দুই প্রকার। যথা-
(১) আখলাকে হামিদাহ,
(২) আখলাকে যামিমা বা সাইয়্যিআহ,
আখলাকে হামিদাহঃ
আখলাকে হামিদাহ বলতে মানুষের দৈনন্দিন কাজ কর্মের মাধ্যমে যেসব উত্তম আচার-ব্যবহার, চালচলন এবং স্বভাবের প্রকাশ পায় সেসবের সমষ্টিকে বোঝায়। যেমন-পরোপকারিতা,শালীনতাবোধ,সৃষ্টির সেবা,আমানত রক্ষা,শ্রমের মর্যাদা,ক্ষমা ইত্যাদি।
আখলাকে যামিমাঃ
মানব জীবনের নিকৃষ্ট চরিত্রকে আখলাকে যামিমা বা নিন্দনীয় চরিত্র বলে। যেমন-অহংকার, ঘৃণা, মিথ্যাচার, সুদ,ঘুষ ইত্যাদি।
ইসলামের দৃষ্টিতে আখলাকের গুরুত্ব অপরিসীম। সকল নবী রাসূলগণ-ই নিজ নিজ জাতিকে উত্তম চরিত্রের শিক্ষা দিয়ে গেছেন। উন্নত চরিত্রকে পূর্ণতা দানের জন্য শেষ নবী মুহাম্মাদ সাঃ কে আল্লাহ তায়ালা প্রেরণ করেছেন।
আদাব দ্বারা এই আখলাক কেই বুঝানো হয়। সুতরাং একটা আরেকটার সমার্থক।
(২)
মু'আমালাত দ্বারা লেনদেন উদ্দেশ্য হয়। এবং মু'আশারা দ্বারা সামাজিক নিয়ম শৃঙ্খলা বুঝানো হয়ে থাকে।