ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আপনার হাত সে সময়ে শুকনো থাকলে ঐ স্টিলের দরজা নাপাকই হবেনা।
আর আপনার হাত সে সময়ে ভেজা থাকলে ঐ স্টিলের দরজা নাপাক হবে।
এক্ষেত্রে হাত লাগার সম্ভাব্য স্থান গুলি ধুয়ে নিবেন।
(০২)
এক্ষেত্রে, অনুমান করে বাম হাত লাগা বস্তু গুলো পাক করবেন।
তবে বাম হাত শুকিয়ে গেয়ে থাকলে কিছুই নাপাক হবেনা।
তাই কিছুই পাক করতে হবেনা।
(০৩)
সেই স্থানের নাপাকি শুকিয়ে গিয়ে থাকলে ছড়াবেনা।
আর নাপাকি ভেজা থাকলে সেক্ষেত্রে সেখানে হাত দিলে হাত নাপাক হবে।
সেটির সাথে যাহাই স্পর্শ হবে,সেই বস্তুতে উক্ত নাপাকির ভেজা পাওয়া গেলে বা নাপাকির গন্ধ পাওয়া গেলে সেটি নাপাক হবে।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে নিচেও নাপাক হবেনা। সেই চেয়ারে ভেজা হাতে স্পর্শ করলে হাত নাপাক হবেনা।
(০৫)
এক্ষেত্রে ঈমান আনার পর সেই পেইজের আগের পোস্টগুলো থেকে এখন কেউ উপকৃত হলে সেগুলোর সওয়াব পাওয়া যাবে।
আর মুরতাদ থাকাকালীন কেউ উপকৃত হলে সেগুলোর সওয়াব পাওয়া যাবেনা।
পেইজ এ নতুন ইসলামিক পোস্ট দিলে তার সওয়াব পাওয়া যাবে।
(০৬)
★আপনি যেদিন বালেগ/বালেগা হয়েছিলেন,সেদিন থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত যদ দিনের নামাজ আদায় করেননি, প্রতিদিনের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে আগে আপনি হিসাব কষবেন।
বালেগ হওয়ার পর থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত কতগুলি নামাজ আদায় করেননি,কতদিন এভাবে নামাজ ছাড়া অতিবাহিত হয়েছে,প্রত্যেকদিনের ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ও বিতির নামাজের কাজা নিম্নোক্ত লিংকে দেয়া পদ্ধতিতে নিয়ত করে কাজা আদায় করবেন।
উমরি কাজা আদায়ের পদ্ধতি জানুনঃ-
★ফরজ রোজা কাযা হলে তা পরবর্তীতে আদায় করে নেয়াও ফরজ। কারণ পবিত্র কুরআনে কাযা রোযা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾
রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
(সুরা বাকারা ১৮৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যেদিন বালেগ হয়েছিলেন,তারপর থেকে যতটা রমজান আপনার সামন দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে।এর মধ্যে যতটা রোযা আপনি রাখেননি।বা নিয়তই করেননি।সেগুলোকে হিসেব করে শুধুমাত্র কাযা করে নিবেন।কাফফারার কোনো প্রয়োজন এক্ষেত্রে নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ-
কাজা আপনি যখন ইচ্ছা,সময় সুযোগ মোতাবেক একটি করে হোক,বা একাধিক হোক, আদায় করতে পারবেন। কাজা আদায়ের ক্ষেত্রে লাগাতার আদায় শর্ত নয়।
(০৭)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা।
(০৮)
পাক হয়নি।
(০৯)
উচ্চারণ না করে কোন ভাবে কাফের হতে পারেনা।
(১০)
উক্ত পাঞ্জাবি পাক।
চেক করাই ঠিক হয়েছে।
চেক না করলেও প্রবল ধারনা যেহেতু আপনার পাঞ্জাবিতে মুখ দেয়নি,তাই সমস্যা হতোনা।
(১১)
উভয় ছুরতে হাত নাপাক হবেনা।
(১২)
এক্ষেত্রে শরীর,, চাদর নাপাক হবেনা।
(১৩)
মুফতী সাহেব উত্তর দিবেন,ইনশাআল্লাহ। অপেক্ষা করুন।