জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মোহরানা স্ত্রীর অধিকার।
স্বামীকে তাহা আদায় করতেই হবে।
স্বামী দেনমোহর আদায় না করলে তা ঋণ হিসেবে তার জিম্মায় বাকি থেকে যাবে।
স্ত্রী যদি উক্ত দেনমোহর মাফ না করে, আর স্বামীও তা পরিশোধ না করে, তাহলে কিয়ামতের ময়দানে স্বামীর অপরাধী সাব্যস্ত হবে। তাই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দেয়া জরুরী।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِن قَبْلِكُمْ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ [٥:٥]
তোমাদের জন্যে হালাল সতী-সাধ্বী মুসলমান নারী এবং তাদের সতী-সাধ্বী নারী, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর। [সূরা মায়িদা-৫]
وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ أَن تَنكِحُوهُنَّ إِذَا آتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ [٦٠:١٠]
তোমরা, এই নারীদেরকে প্রাপ্য মোহরানা দিয়ে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না। [সূরা মুমতাহিনা-১০]
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বিয়েতে দেনমোহর বা মোহরানা দেয়া ওয়াজিব। তবে দেনমোহর বা মোহরানা না দিলে সেই বিয়ে বাতিল হয়ে যাবেনা।
স্ত্রী যদি সন্তুষ্টি চিত্তে মাফ করে দেয়,তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই।
আর স্ত্রী যদি মাফ না করে,তাহলে পাওনা থেকে যাবে।
মোহরানা ধার্য না করলেও বিবাহ সহীহ হয়,সেক্ষেত্রে মোহরে মিছিল নির্দিষ্ট হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কাজী সাহেব বিবাহ পড়ানোর সময় উপরে উল্লেখিত যে বাক্য গুলি বলে,উভয়টিই সহীহ।
কোনো সমস্যা নেই।
(০২)
কোনো ব্যাক্তি যদি ইসলামকে না না জানার কারনে এসব সংশয় করে,মুখে স্পষ্ট ভাবে কোনো কুফরি বাক্য না বলে,সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র অন্তরে এমন সংশয়ের জন্য সেই ব্যাক্তি কাফের হয়ে যায়না,সে ব্যাক্তি মুরতাদ হয়ে যায়না।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি মুরতাদ হয়ে যাবেনা।
(০৩)
না,সে ব্যাক্তি মুরতাদ নয়, এতে তার ঈমান নষ্ট হয়ে যায়না।
,
তবে সে যদি শরীয়তের অকাট্য কোনো বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করে,সেক্ষেত্রে তার ঈমান চলে যাবে। সে মুরতাদ হয়ে যাবে।
আরো জানুনঃ-