আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
223 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (27 points)
হুজুর আমাদের এলাকার একটি ছেলেকে  দেখে আমার  ভালো লাগত না।তার দাড়ি ছিল।  তার দাড়ি এক্টু ঘন বা চাপ দাড়ি ছিল।   কিন্তু পরিপাটি বা ওভাবে গোছালো  ছিল না। তাকে ওভাবে মসজিদে  নামাজ পড়তে দেখতাম না। কিন্তু বাড়িতে নামাজ পড়ে কি না জানি না।  তো আমি একদিন ওকে দেখে আরেকজনকে বলি যে, সে এভাবে থাকে কেন বা সে এরকম করে থাকে কেন? মুলত তার অই রকম দাড়ি  রাখা বা অগোছালো থাকাকে বুঝিয়েছিলাম।হুজুর তখন ঈমান ভং গের কারণ জানতাম নাকি মনে নেই। যদি তখন ঈমান ভংগের আমি জানি তাহলে আমার মুখেও দাড়ি থাকার কথা। হুজুর এখন আমার প্রশ্ন হল-

১.অন্য লোক কে তার  দাড়ি  সমন্ধে, সে এভাবে থাকে কেন বা এরকম কেন বলার কারনে আমার ঈমানের  সমস্যা হবে?

২. মুলত তার দাড়ি ঘন, কালো,গাল পর্যন্ত থাকার কারনে খারাপ লাগত।এজন্য আমি বলেছিলাম।কিন্তু সেই সময়  ঈমান ভংগের কারন জান্তাম নাকি আমার মনে নেই কিন্তু অই সময় আমার মনে ছিলনা।আজকে হঠাত আমার মনে  হয়েছে আমি তো এভাবে বলেছিলাম।সাথে সাথে আমি ইস্তিগফার পড়ি। হুজুর তার দাড়ি নিয়ে এভাবে অন্যকে বলার কারনে কি দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা করা হয়েছে। আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

৩.হুজুর কয়েকদিন আগে দেখলাম সে চুল কাটছে, দাড়ি এক্টু ছোট করছে। তাকে  দেখে আমার মনে মনে   এক্টু ভালো লাগল। তাকে দেখে ফ্রেশ লাগল।হুজুর দাড়ি কাটার কারনে ভালো লাগা বা ফ্রেশ লাগার জন্য কি আমার ঈমানের কোন  হবে।হুজুর আমি নতুন দাড়ি রাখছি।                            
৪.মুলত তার দাড়ি এক্টু ঘন ও গালে থাকার কারনে এক্টু খারাপ লাগার কারনে ওভাবে বলেছিলাম। সঠিক হবুহ মনে নেই তবে এরকমই কিছু একটা বলেছিলাম। হুজুর তখন ঈমান ভংগের কারন জানতাম নাকি সঠিক মনে নে। যদি জানতাম ও তখন    মনে ছিলনা। আজকে মনে হওয়ার সাথে সাথে ইস্তিগফার পড়ি।এভাবে বলার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে কি? এটা কি দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা বলে গন্য হবে কি?
৫.যদি কেউ ঈমান ভংগের কারন না জানার কারনে দাড়ি  ঠাট্রা করে তাহলে তার ঈমান ভংগ হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


https://ifatwa.info/47004/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের কোনো জরুরি বিধান নিয়ে হাসি ঠাট্রা করলে ঈমান চলে যায়।
  
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُوْلِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُوْنَ، لاَ تَعْتَذِرُوْا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ 

‘আপনি বলুন, তোমরা কি আল্লাহর সাথে তাঁর হুকুম-আহকামের সাথে এবং তাঁর রাসূলের সাথে ঠাট্টা করছিলে? ছলনা কর না, ঈমান আনার পর তোমরা যে কাফির হয়ে গেছ’ (তওবা ৬৫-৬৬)। 

 فَنَذَرُ الَّذِيْنَ لاَ يَرْجُوْنَ لِقَاءَنَا فِيْ طُغْيَانِهِمْ يَعْمَهُوْنَ 

‘সুতরাং যারা আমার সাথে সাক্ষাতের আশা রাখে না, আমি তাদেরকে তাদের দুষ্টামীতে ব্যতিব্যস্ত করে রাখি’ (ইউনুস ১১)। 

এ ধরনের লোকদের সাথে উঠাবসা, চলাফেরা ত্যাগ করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা উক্ত আচরণ পরিত্যাগ না করে। 

وَقَدْ نَزَّلَ عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ أَنْ إِذَا سَمِعْتُمْ آيَاتِ اللهِ يُكْفَرُ بِهَا وَيُسْتَهْزَأُ بِهَا فَلاَ تَقْعُدُوْا مَعَهُمْ حَتَّى يَخُوْضُوْا فِيْ حَدِيْثٍ غَيْرِهِ إِنَّكُمْ إِذًا مِثْلُهُمْ إِنَّ اللهَ جَامِعُ الْمُنَافِقِيْنَ وَالْكَافِرِيْنَ فِيْ جَهَنَّمَ جَمِيْعًا-
‘আর কুরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারী করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহর আয়াত সমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ করতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে। অন্যথা তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদেরকে জাহান্নামে একই জায়গায় সমবেত করবেন’ (নিসা ১৪০)। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
(১-২)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  ঈমান চলে যাবেনা।

এখানে দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা করা হয়নি।

(০৩)
এক্ষেত্রে মুখ দিয়ে দাড়ি নিয়ে ঠাট্রা,বা উপহাস মূলক কথা না বলায় দাড়ি কাটায় শুধু ভালো লাগা বা ফ্রেশ লাগার জন্য আপনার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৪)
এক নং জবাব দ্রষ্টব্য।

(০৫)
এক্ষেত্রে জাহালত ওযর বলে গন্য হবে,সে কাফের হবেনা।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...