আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম

কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই

আসসালামু আলাইকুম

কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই

১.মজা করে কোনো মুসলমানকে কাফের বললে শরীয়তে এর হুকুম কি?

২. কেউ যদি শরীয়তের বিধান না জেনে কোনো মুসলমানকে কাফের বলে তাহলে শরীয়তে এর হুকুম কি?

৩. কয়েকদিন আগের  ঘটনা  যদি কোনো ব্যক্তির  মনে না থাকে যে কোনো মুসলমানকে কাফের বলছিল কিনা তাহলে তার করনীয় কি?সে কি সন্দেহের বশে ঈমান নবায়ন করতে পারবে?

৪.কোনো জায়নামাজে যদি, কাবা বা মিনারের ডিজাইন করা থাকে তাহলে এর ওপর কি কাপড় ইস্ত্রী করা যাবে?

৫.ফরজ গোসল করার সময় কানের চিদ্রের ভিতরে কতটুকু ভিজাতে হবে?কতবার ভিজা আঙ্গুল প্রবেশ করাতে হবে?

৬.ফরজ গোসল করার সময় কি গড়গড় করে কুলি করা জরুরী? জরুরী হলে গড়গড় করে কুলি  করার সময় পানি গলার কতটুকু পর্যন্ত প্রবেশ করা জরুরী?

1 Answer

0 votes
by (713,800 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَيُّمَا رَجُلٍ قَالَ لأَخِيهِ يَا كَافِرُ. فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا "
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কেউ তার ভাইকে কাফির বলবে, তাদের দু’জনের একজনের উপর তা বর্তাবে।(সহীহ বোখারী-৫৬৭৪)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) মজাক করে কোনো মুসলমানকে কাফির বলা হারাম। যদি  মজাক বা গালি দেয়ার জন্য কোনো মুসলমান অন্য কোনো মুসলমানকে কাফির বলে, তাহলে কাজটি হারাম হলেও বক্তা কাফির হবে না।
قال فی در المختار:
اعلم ! انہ لا یفتی بکفر مسلم امکن حمل کلامہ علی محمل حسن(ص:229، ج:4، ط: ایچ ایم سعید)

قال فی رد المحتار:
قولہ : ھل یکفر ان اعتقاد المسلم کافرا ؟ نعم ۔
ای یکفر ان اعتقدہ کافرا لا بسبب مکفر ۔ قال فی النہر : و فی الذخیرہ المختار للفتوی انہ ان اراد الشتم ، ولا یعتقدہ کفرا ، لا یکفر ، و ان اعتقدہ کفرا ، فخاطبہ بھذا بناء علی اعتقادہ انہ کافر ، یکفر ، لانہ لما اعتقدہ المسلم کافرا فقد اعتقد دین الاسلام کفرا ۔ (ص: 69، ج: 4، ایچ ایم سعید)
 

(২) শরীয়তের বিধান না জেনে কোনো মুসলমানকে কাফের বললে গোনাহ হবে। সতর্কতামূলক তার ঈমান নবায়ন জরুরী। 

(৩) সন্দেহের বশে ঈমান নবায়ন করা জরুরী নয়।

(৪)কোনো জায়নামাজে যদি কাবা বা মিনারের ডিজাইন করা থাকে, তাহলে এর ওপর কাপড় ইস্ত্রী না করাই উত্তম।

(৫)ফরজ গোসল করার সময় কানের চিদ্রে সহজে বিনা কষ্টে আঙ্গুলের মাথা যতটুকু পৌছে, ততটুকুতে পানি পৌছিয়ে দিলেই ফরয গোসল হয়ে যাবে।

الدر المختار: (152/1، ط: سعید)
(ويجب) أي يفرض (غسل) كل ما يمكن من البدن بلا حرج مرة كأذن۔

(৬)ফরজ গোসল করার সময় গড়গড়া করা জরুরী নয় বরং ভালোকরে কুলি করে নিলেই হবে। 
"وفرض الغسل غسل کل فمه، ویکفي الشرب عباً؛ لأن المج لیس بشرط في الأصح". (شامي ۱؍۲۸۴ )
" غسل الفم والأنف أي بدون مبالغة فیهما؛ فإنه سنة فیه علی المعتمد". (طحطاوي علی المراقي ۸۱ مصری)
"ومنها: المبالغة في المضمضة والاستنشاق إلا في حال الصوم فیرفق؛ لأن المبالغة فیهما من باب التکمیل في التطهیر؛ فکانت مسنونةً إلا في حال الصوم؛ لما فیها من تعریض الصوم للفساد". (بدائع الصنائع ۱؍۱۱۲ زکریا، الفتاویٰ التاتارخانیة ۱؍۲۷۶ رقم: ۳۷۷ زکریا)فقط واللہ اعلم


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...