জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
অযুর ফরজঃ
★মুখমন্ডল ধোয়া।
★দুই হাত কনূই পর্যন্ত ধোয়া।
★মাথার এক চতুর্থাংশ মাসেহ করা (ভেজা হাত বুলানো)
★দুই পায়ের টাকনু পর্যন্ত ধোয়া।
কুরআনে বর্নিত আছেঃ
يا ايها الذين امنوا اذا قمتم الي الصلوة فاغسلوا وجوهكم و ايديكم الي المرافق وامسحوا بروؤسكم وارجلكم الي الكعبين.....
“হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হইবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতের কনূই পর্যন্ত ধৌত করিবে এবং তোমাদের মাথায় মসেহ্ করিবে এবং পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধৌত করিবে; যদি তোমরা আপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হইবে। তোমরা যদি পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেহ শৌচস্থান হইতে আগমন করে, অথবা তোমরা স্ত্রীদের সহিত সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করিবে এবং উহা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতে মসেহ্ করিবে। আল্লাহ্ তোমাদিগকে কষ্ট দিতে চাহেন না; বরং তিনি তোমাদিগকে পবিত্র করিতে চাহেন ও তোমাদের প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিতে চাহেন, যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।“(সূরা মায়িদা, আয়াত:৬)।
،
অযুর সুন্নাত মুস্তাহাব সমুহঃ
বিসমিল্লাহ্ বলা।
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
কুলি করা।
পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা।
সমস্ত মাথা মসেহ্ এবং কানের সংলগ্ন স্থান মসেহ্ করা।
হাত ও পায়ের আংগুলের মধ্যে ফাকা স্থান হাতের আংগুল দিয়ে ধোয়া।
মেস্ওয়াক করা।
অযুর কাজগুলো তিনবার করে।
অযুর পর কালেমা শাহাদাত পড়া।
অযুর দুই কাজের মধ্যে দেরি না করা।
অযুর সময় কথা না বলা।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন উঁচু স্থানে অযু করা। ইত্যাদি।
,
★পুরো নিয়মঃ
بسم الله الرحمن الرحيم
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম-আমি নামাযের উদ্দেশে পবিত্রতা লাভের উদ্দেশে ও আল্লাহ্’র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে ওযু করিতেছি” বলে প্রথমে দুই হাতের কবজি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে।
পানি নিয়ে তা মুখে দিয়ে ভাল মত গড়গড়াইয়া কুলি করতে হবে। এভাবে তিনবার।
ডান হাতে পানি নিয়ে নাকে পানি দিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধাংগুলি,আর কনিষ্ঠাংগুলি দ্বারা নাকের ভিতর পরিষ্কার করতে হবে। এমনভাবে পানি প্রবেশ করাতে হবে যেন নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছায়। এইভাবে পর পর তিনবার করতে হবে।
এবারে মুখমন্ডল অর্থাৎ কপালের উপরে যেখান থেকে স্বাভাবিকভাবে মাথার চুল গজায় সেখান থেকে নিচের থুতনির নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে আরেক কানের লতি পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থান, পানি দিয়ে তিনবার ধৌত করতে হবে।পুরুষদের দাঁড়ি ঘন থাকলে তা খিলাল করতে হবে। যেন দাঁড়ি পরিষ্কার হয় এবং দাড়ি ঘন না হলে দাঁড়ির গোড়ায় পানি পৌঁছাইতে হবে।
পানি দ্বারা প্রথমে ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ভালভাবে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর একই ভাবে বাম হাতও পরিষ্কার করতে হবে। কারো হাতে আংটি থাকলে ঘুরাইতে হবে আংটির নিচেও যেন পানি প্রবেশ করে।
সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করবে।
এবারে শাহাদাত আংগুলি দ্বারা কানের ভিতরের অংশ আর বৃদ্ধাংগুলি দ্বারা কানের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে। এরপর হাতের পিছনের অংশ দিয়ে ঘাড় মাসেহ করতে হবে।
পানি ঢেলে প্রথমে ডান পায়ের টাখনু বা গোঁড়ালি পর্যন্ত ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে এমনভাবে যেন সমস্ত জায়গা পানি পোঁছে। একই ভাবে বাম পা ধৌত করতে হবে। এভাবে তিনবার।
,
(০২)
হ্যাঁ উক্ত রোযা আপনার উপর এখন ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে,তাই তা আবার আদায় করতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]
তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।
বিস্তারিত জানুনঃ