আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
422 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
ওযুর সঠিক নিয়ম জানতে চাই

আরবি মাসের নফল রোজা গুলো বা সাপ্তাহিক নফল রোজা গুলো রাখা অবস্থায় হায়েজ হয়ে গেলে রোজাটা আবার পুনরায় রেখে দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,280 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
অযুর ফরজঃ
★মুখমন্ডল ধোয়া।
★দুই হাত কনূই পর্যন্ত ধোয়া।
★মাথার এক চতুর্থাংশ মাসেহ করা (ভেজা হাত বুলানো)
★দুই পায়ের টাকনু পর্যন্ত ধোয়া। 

কুরআনে বর্নিত আছেঃ 
يا ايها الذين امنوا اذا قمتم الي الصلوة فاغسلوا وجوهكم و ايديكم الي المرافق وامسحوا بروؤسكم وارجلكم الي الكعبين.....  
“হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত হইবে তখন তোমরা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতের কনূই পর্যন্ত ধৌত করিবে এবং তোমাদের মাথায় মসেহ্ করিবে এবং পা গ্রন্থি পর্যন্ত ধৌত করিবে; যদি তোমরা আপবিত্র থাক, তবে বিশেষভাবে পবিত্র হইবে। তোমরা যদি পীড়িত হও অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেহ শৌচস্থান হইতে আগমন করে, অথবা তোমরা স্ত্রীদের সহিত সংগত হও এবং পানি না পাও তবে পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করিবে এবং উহা তোমাদের মুখমন্ডল ও হাতে মসেহ্ করিবে। আল্লাহ্ তোমাদিগকে কষ্ট দিতে চাহেন না; বরং তিনি তোমাদিগকে পবিত্র করিতে চাহেন ও তোমাদের প্রতি তাঁহার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করিতে চাহেন, যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন কর।“(সূরা মায়িদা, আয়াত:৬)।
،
অযুর সুন্নাত মুস্তাহাব সমুহঃ 
বিসমিল্লাহ্ বলা।
দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
কুলি করা।
পানি দিয়ে নাকের ভিতর পরিষ্কার করা।
সমস্ত মাথা মসেহ্ এবং কানের সংলগ্ন স্থান মসেহ্ করা।
হাত ও পায়ের আংগুলের মধ্যে ফাকা স্থান হাতের আংগুল দিয়ে ধোয়া।
মেস্ওয়াক করা।
অযুর কাজগুলো তিনবার করে।
অযুর পর কালেমা শাহাদাত পড়া।
অযুর দুই কাজের মধ্যে দেরি না করা।
অযুর সময় কথা না বলা।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন উঁচু  স্থানে অযু করা। ইত্যাদি।  
,
★পুরো নিয়মঃ
بسم الله الرحمن الرحيم 
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম-আমি নামাযের উদ্দেশে পবিত্রতা লাভের উদ্দেশে ও আল্লাহ্’র সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে ওযু করিতেছি” বলে প্রথমে দুই হাতের কবজি পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে।

 পানি নিয়ে তা মুখে দিয়ে ভাল মত  গড়গড়াইয়া কুলি করতে হবে। এভাবে তিনবার।

ডান হাতে পানি নিয়ে নাকে পানি দিয়ে বাম হাতের বৃদ্ধাংগুলি,আর কনিষ্ঠাংগুলি দ্বারা নাকের ভিতর পরিষ্কার করতে হবে। এমনভাবে পানি প্রবেশ করাতে হবে যেন নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছায়। এইভাবে পর পর তিনবার করতে হবে।

এবারে মুখমন্ডল অর্থাৎ কপালের উপরে যেখান থেকে স্বাভাবিকভাবে মাথার চুল গজায় সেখান থেকে নিচের থুতনির নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে আরেক কানের লতি পর্যন্ত মধ্যবর্তী স্থান, পানি দিয়ে তিনবার ধৌত করতে হবে।পুরুষদের  দাঁড়ি ঘন থাকলে তা খিলাল করতে হবে। যেন দাঁড়ি পরিষ্কার হয় এবং দাড়ি ঘন না  হলে দাঁড়ির গোড়ায় পানি পৌঁছাইতে হবে।

পানি দ্বারা প্রথমে ডান হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ভালভাবে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর একই ভাবে বাম হাতও পরিষ্কার করতে হবে। কারো হাতে আংটি থাকলে ঘুরাইতে হবে আংটির নিচেও যেন পানি প্রবেশ করে।

সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করবে।
এবারে শাহাদাত আংগুলি দ্বারা কানের ভিতরের অংশ আর বৃদ্ধাংগুলি দ্বারা কানের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে হবে। এরপর হাতের পিছনের অংশ দিয়ে ঘাড় মাসেহ করতে হবে।

পানি ঢেলে প্রথমে ডান পায়ের টাখনু বা গোঁড়ালি পর্যন্ত ভালভাবে পরিষ্কার করতে হবে এমনভাবে যেন সমস্ত জায়গা পানি পোঁছে। একই ভাবে বাম পা ধৌত করতে হবে। এভাবে তিনবার।
,
(০২)

হ্যাঁ উক্ত রোযা আপনার উপর এখন ওয়াজিব হয়ে গিয়েছে,তাই তা আবার আদায় করতে হবে। 

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ  

ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]

তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।
বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
মাথা মাসেহ কি সামনে থেকে করতে হয় নাকি পিছন থেকে?
কানের দুলের ছিদ্রের পানি দিয়ে ভিজাতে হবে 
by (566,280 points)
উলামায়ে কেরামগন   পদ্ধতি এইভাবে বলেছেন সামনের দিক থেকে দুই হাত দিয়ে মাসাহ করতে করতে পিছনের সাইটে নিয়ে যাবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+2 votes
2 answers 2,594 views
...