ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
এত্থেকে প্রতিয়মান হলো যে,নিম্নস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণ হল,নিজে শ্রবণ করা বা পাশবর্তীজন কর্তৃক শ্রবণ করা।আর নিম্নস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,জবান থেকে অক্ষর উচ্ছারিত হয়ে যাওয়া।(চায় নিজে শুনুক বা নাই শুনুক)যেমনটা ইমাম কারখী রাহ এর মাযহাব।তবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
আর উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,নিকটবর্তী নয় এমন কেউ শ্রবণ করা যেমন,প্রথম কাতারের লোকজন কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণের কোনো সাীমারেখা নাই।এ বিষয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে যান।সুতরাং বিষয়টা ভালোভাবে বোধগম্য করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।মূলকথা হল,অর্থাৎ নিম্নস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণ,নিজে শ্রবণ করা বা পাশেরজন কর্তৃক শ্রবণ করা।এজন্য কেরাতকে নিজে শ্রবণ না করলে ফকিহ হিন্দাওয়ানি রাহ এর মতে নামায বিশুদ্ধ হবে না।আর ইমাম কারখী রাহ এর মতে হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে যদিও শুনা না যাক, এতে নামায বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।(রদ্দুল মুহতার-১/৫৩৪:-:৫৩৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/2570
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ফরয নামাজ ইমামের পিছনে আদায় করলে সেক্ষেত্রে তাকবীরে তাহরীমা মুক্তাদিকে বলতে হবে,বলাটা ফরয কোনো মুক্তাদি তাকবীরে তাহরিমা না বললে তার নামাযই বিশুদ্ধ হবে না। প্রশ্ন হল,কতটুকু স্বরে বলতে হবে? উত্তর হল, এতটুকু পরিমাণ উচ্ছস্বরে পড়তে হবে যাতে নিজ কানে শোনা যায়। শুধুমাত্র টোঠ নাড়ানো যথেষ্ট হবে না।
(২)
একাকী ফরজ বা নফল বা সুন্নাত সালাত আদায়ের ক্ষেত্রেও পুরো নামাজকে নিম্নস্বরে পড়তে হবে।তথা এভাবে পড়তে হবে যাতে নিজ কানে শোনা যায়, শুধু ঠোঁট নাড়িয়ে পড়া যথেষ্ট হবে।
(৩)
জামায়াতে রুকুর পরে শরীক হলে সেক্ষেত্রে প্রথমে তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে, ইমামের অনুসরণ করতে হবে।হাত বাধা জরুরী নয় বরং হাত না বেঁধেই শুধু তাকবীরে তাহরিমা দিয়ে ইমামের অনুসরণ করা যাবে।কেননা হাত বাধা তো দাড়ানোর মূহুর্তে যিকির করার সময়ে সুন্নত। সুতরাং রুকুরের পরে যেহেতু যিকির নেই, তাই তাকবীরে তাহরিমা দেয়ার পর হাত বাধার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।বরং ইমামের অনুসরণ করে সিজদাতে যাওয়া হবে।
" وان أدرک الامام فی الرکوع أو السجود ، یتحری ان کان أکبر رأیہ أنہ لو أتی بہ أدرکہ فی شی من الرکوع أو السجود یأتی بہ قائماً والایتابع الامام ولا یأتی بہ واذا لم یدرک الامام فی الرکوع او السجود لایاتی بھما وان ادرک الامام فی القعدۃ لایأتی بالثناء بل یکبر للافتتاح ثم للانحطاط ثم یقعد ".
الدر المختار: (480/1)
"ویشترط کونہ ( قائماً ) فلووجد الامام راکعا فکبر منحنیاً ان الی القیام أقرب صح"
(৪)
সূরা আলাক্ব হিফজ করার মূহুর্তে সিজদাহর আয়াতের হিফজের ক্ষেত্রে প্রতিবার তিলাওয়াতের জন্য পৃথক সিজদাহ দিতে হবে না। বরং একই স্থানে যতবারই তিলাওয়াত করা হবে, সবগুলোর জন্য একবারই সিজদা দিতে হবে।