আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
135 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
উস্তাদ, একজন আমার প্রতি অনেক জুলুম করেছে। আমার মাল নষ্ট করেছে। একদিন সে আমাকে বলল চল, আমরা দুজনে দুজনের প্রতি করা সকল জুলুম আর দাবি মাফ করে দিই। তখন তেমন কিছু চিন্তা না করেই নিজের লাভের জন্য আমি তাকে ক্ষমা করে দিই, সহীহ নিয়তে এবং মুখ দ্বারা সাক্ষ্য দিয়ে, যেহেতু আমি আমিও তাকে অনেক সময় কটু কথা বলে তিরষ্কার করেছিলাম। সেখানে কেবল সে আমি আর আল্লাহ ব্যতিত কেউ ছিলো না। তখন পর্যন্ত আমি জানতাম না যে সে আমার মাল নষ্ট করেছে। কিন্তু আমি জানা অজানা সকল কিছু মাফ করে দিয়েছিলাম।
সে এরপর বললো, "আমি তোমাকে ক্ষতিপূরন দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারপর এই ফন্দি আটলাম। যেহেতু ফন্দি সফল হলো তাই আমার আর ক্ষতিপূরন দিতে হলো না। আল্লাহই এটা চেয়েছেন তাই এটা হয়েছে।" উল্লেখ্য, সেই মাল নষ্ট হওয়ার পর আমি অনেক কষ্ট পেয়েছলাম। এমনকি শপথও করেছিলাম আমি কোনোদিন এই কাজ যে করেছে তাকে ক্ষমা করবো ন।
এর পর আস্তে আস্তে আমার তার করা সকল অন্যায় মনে পড়তে থাকে। আমি তাকে কোনোদিনই মন থেকে ক্ষমা করতে পারবো না। সে সেই প্রতিজ্ঞার পরও আমার প্রতি জুলুম করেছে। যে খুবই বদ প্রকৃতির একটি লোক। সে একটি মালের কথা স্বীকার করেছে না জানি আর কয়টি ক্ষতি সেই করেছে।
সে কি ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে গেছে? হয়ে গিয়ে থাকলে আমার এই মনোকষ্ট কি আমার গুনাহর কারন হবে?
আমার কী করা উচিৎ, উস্তাদ?

1 Answer

+1 vote
by (574,050 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।
(বুখারী শরীফ ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত আপনি যখন তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, তখন পর্যন্ত আপনি জানতেননা যে সে আপনার মাল নষ্ট করেছে।
আর সে মাফ চাওয়ার সময় উক্ত সম্পদ নষ্টের কথা আপনাকে বলেনি।

তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে সে সম্পূর্ণভাবে ক্ষমা পায়নি।
আপনার যে সম্পদ তিনি নষ্ট করেছেন,সেটি তাকে আদায় করতেই হবে। 

নতুবা কিয়ামতের ময়দানে তাকে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।  সেদিন আপনি তাকে মাফ না করলে সে মাফ পাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...