আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
152 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (46 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

আমি আর আমার হাসব্যান্ড আসছি উমরাহর উদ্দেশ্যে, মক্কায় ৭ দিন ও মদীনায় ৭ দিন থাকবো ইং শা আল্লাহ্।

আমার প্রশ্ন হলো,

১) একবার উমরাহ করার পর,  পুরুষের নফল তাওয়াফ করতে কি ইহরাম এর পোশাক পরিধান করতে হবে?

২) উমরাহ বেতিত কাওকে নিচ তলায়, অর্থাৎ, কাবা যে ফ্লোরে সেখানে প্রবেশ করতে দেয় না, তাই কখনো শুধু কাবার সামনে বসে থাকার উদ্দেশ্যে যদি কেও ইহরাম এর পোশাক পরিধান করে প্রবেশ করে, তাহলে কি গুনাহ্ হবে??

৩) জমজম এর পানি মসজিদুল হারামে শুধু পান করতে দেয়, এমনিতে কেও আনতে দেখলে বাঁধা দেয়।

তো, শুধুমাত্র রাতে বা যেটুকু সময় হোটেলে থাকা হয়, সে অনুযায়ী পানি নিয়ে আসলে এইটা কি গুনাহের কাজ হবে?

৪) মসজিদুল হারামে ১ রাকাত নামাজ আদায় করলে ১ লক্ষ রাকাত নামাজ আদায় এর সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়, তাহলে হোটেলে থেকে পড়লেও কি এই সওয়াব পাওয়া যাবে?

৫)  মসজিদুল হারামে মেয়েরা কি জামাত এ নামায পড়লে বিশেষ কোনো ফযীলত পাবে? নাকি হোটেলে পড়া ই উত্তম? এবং, এক্ষেত্রে কি করা উচিৎ??

একটু দ্রুত উত্তর দিলে মুনাসিব হয়, ইং শা আল্লাহ্।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
এটা যদি হজ্জ বা উমরাহ এর তওয়াফ না হয়,সেক্ষেত্রে ইহরামের পোশাক ছাড়া উক্ত তওয়াফ আদায় করা যাবে।

(০২)
এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়া হবে।
যাহা অনুমোদিত নয়।
হ্যাঁ, তারা যদি বিষয়টি অনুমোদন দেয়,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
এতটুকু পানি আনারও যেহেতু তারা অনুমতি দেয়নি,তাই আনা যাবেনা।
হ্যাঁ যদি সংশ্লিষ্ট কেউ বা দায়িত্বরত কেউ আপনাকে রাতে বা যেটুকু সময় হোটেলে থাকা হয়, সে অনুযায়ী পানি আনতে দেয়,সেক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।

(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ أَفْضَلُ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ " .

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অপরাপর মসজিদের সালাত (নামায/নামাজ) অপেক্ষা আমার মসজিদের সালাত হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ (ফাযীলাতপূর্ণ)। অন্যান্য মসজিদের সালাতের তুলনায় মাসজিদুল হারামের সালাত এক লক্ষ গুণ উত্তম (ফাযীলাতপূর্ণ)।

(সুনানে ইবনে মাজাহ ১৪০৬.আহমাদ ১৪২৮৪, ১৪৮৪৭।)

হাদিসে বর্ণিত ফজিলত কি শুধু কাবার মসজিদের জন্য, নাকি হেরেম শরিফের জন্য, তা নিয়ে ফুকাহায়ে কেরামের মাঝে মতভেদ রয়েছে। পূর্ববর্তী ফুকাহায়ে কেরামের মতে এই ফজিলত পুরো হেরেম শরিফের জন্য। সুতরাং, তাদের মতে হেরেমের যেকোনো স্থানে নামাজ পড়লে এই ফজিলত লাভ হবে।

তবে পরবর্তী ফুকাহায়ে কেরামগণের মতে এই ফজিলত শুধু কাবার মসজিদে নামাজ পড়ার সাথে সংশ্লিষ্ট। পুরো হেরেমের জন্য নয়। কারণ, এই ফজিলতের বর্ণনা সম্বলিত উপরোক্ত হাদিসে সুস্পষ্টভাবে কাবার মসজিদের কথা বলা হয়েছে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অনেকের মতে হোটেল থেকে পড়লে উক্ত ফজিলত আদায় হবেনা।
তবে মহিলাদের যেহেতু বাসায় নামাজ পড়া উত্তম,সুতরাং এক্ষেত্রে হারাম শরীফের এলাকার কোনো হোটেলে নামাজ পড়লে আশা করা যায়,উক্ত ছওয়াব পাওয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ। 

(০৫)
হোটেলে পড়া ই উত্তম।

তবে যদি কখনো তওয়াফ করতে গিয়ে দেখে যে নামাজের জামাত দাঁড়িয়ে গিয়েছে,সেক্ষেত্রে মহিলারা সেখানে মহিলাদের সংরক্ষিত নির্দিষ্ট স্থানে নামাজ পড়তে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 334 views
...