ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এটা যদি হজ্জ বা উমরাহ এর তওয়াফ না হয়,সেক্ষেত্রে ইহরামের পোশাক ছাড়া উক্ত তওয়াফ আদায় করা যাবে।
(০২)
এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়া হবে।
যাহা অনুমোদিত নয়।
হ্যাঁ, তারা যদি বিষয়টি অনুমোদন দেয়,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
(০৩)
এতটুকু পানি আনারও যেহেতু তারা অনুমতি দেয়নি,তাই আনা যাবেনা।
হ্যাঁ যদি সংশ্লিষ্ট কেউ বা দায়িত্বরত কেউ আপনাকে রাতে বা যেটুকু সময় হোটেলে থাকা হয়, সে অনুযায়ী পানি আনতে দেয়,সেক্ষেত্রে গুনাহ হবেনা।
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَسَدٍ، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ، أَنْبَأَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " صَلاَةٌ فِي مَسْجِدِي أَفْضَلُ مِنْ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ إِلاَّ الْمَسْجِدَ الْحَرَامَ وَصَلاَةٌ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ أَفْضَلُ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ صَلاَةٍ فِيمَا سِوَاهُ " .
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মাসজিদুল হারাম ব্যতীত অপরাপর মসজিদের সালাত (নামায/নামাজ) অপেক্ষা আমার মসজিদের সালাত হাজার গুণ শ্রেষ্ঠ (ফাযীলাতপূর্ণ)। অন্যান্য মসজিদের সালাতের তুলনায় মাসজিদুল হারামের সালাত এক লক্ষ গুণ উত্তম (ফাযীলাতপূর্ণ)।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১৪০৬.আহমাদ ১৪২৮৪, ১৪৮৪৭।)
হাদিসে বর্ণিত ফজিলত কি শুধু কাবার মসজিদের জন্য, নাকি হেরেম শরিফের জন্য, তা নিয়ে ফুকাহায়ে কেরামের মাঝে মতভেদ রয়েছে। পূর্ববর্তী ফুকাহায়ে কেরামের মতে এই ফজিলত পুরো হেরেম শরিফের জন্য। সুতরাং, তাদের মতে হেরেমের যেকোনো স্থানে নামাজ পড়লে এই ফজিলত লাভ হবে।
তবে পরবর্তী ফুকাহায়ে কেরামগণের মতে এই ফজিলত শুধু কাবার মসজিদে নামাজ পড়ার সাথে সংশ্লিষ্ট। পুরো হেরেমের জন্য নয়। কারণ, এই ফজিলতের বর্ণনা সম্বলিত উপরোক্ত হাদিসে সুস্পষ্টভাবে কাবার মসজিদের কথা বলা হয়েছে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অনেকের মতে হোটেল থেকে পড়লে উক্ত ফজিলত আদায় হবেনা।
তবে মহিলাদের যেহেতু বাসায় নামাজ পড়া উত্তম,সুতরাং এক্ষেত্রে হারাম শরীফের এলাকার কোনো হোটেলে নামাজ পড়লে আশা করা যায়,উক্ত ছওয়াব পাওয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ।
(০৫)
হোটেলে পড়া ই উত্তম।
তবে যদি কখনো তওয়াফ করতে গিয়ে দেখে যে নামাজের জামাত দাঁড়িয়ে গিয়েছে,সেক্ষেত্রে মহিলারা সেখানে মহিলাদের সংরক্ষিত নির্দিষ্ট স্থানে নামাজ পড়তে পারবে।