আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
195 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ, আগের প্রশ্ন কে কেন্দ্র করে প্রশ্ন করলাম।

   আমি খুব চিন্তা প্রবন মানুষ। আমি যখন আমার স্ত্রী কে ওই কথা টা বলি তার পর আমার খুব ভয় হয়।
এবং আমি আমার স্ত্রী কে বলি আমি ইসলামিক ফাতওয়া তে প্রশ্ন করেছি কি হবে গো খুব ভয় হচ্ছে (তালাক হবে নাকি) এই রকম বলি , এবং আমার স্ত্রী বলে না গো কিছু হবে না । আমি বললাম আমি তঃ মন থেকে বলিনি তাই কিছু হবে না।

আপনার উত্তর পেলাম কিছু হয়নি। সব ঠিক আছে । কিন্তু আমি নতুন একটা মাসায়েল জানলাম   মুজাকারায় তালাক।  তার পর বলি স্ত্রী কে এটা নতুন শুনলাম গো।

দিয়ে স্ত্রী বলে তুমি কি মন থেকে বলেছ আমি বললাম না।

আমার ভয় হচ্ছে আগে যদি এক তালাক হয়ে থাকে তাহলে কি আমাদের আলচলনাই করা টা ভুল হলো ।

দিয়ে স্ত্রী কে বলি যায় হয়ে যাক তুমি আমার কাছে কখনো তালাক চেয়ো না। তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে। আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবনা।

হুজুর নিজের সাবধানতা বজায় রাখতে আমি আর আমার স্ত্রী এর মধ্যে এমন আলোচনা করেছি তাহলে কি কোনো প্রকার সম্মসা হবে? আমি আমার স্ত্রী কে অনেক বার জিজ্ঞেস করেছি কি গো কি উত্তর দিবে মনে হয়। কিছু হবে নাকি আমার স্ত্রী বলে না কিছু হবে না তখন আমি শান্তি পাই একটু চিন্তা দূর হয়।
তালাক বিষয় নিয়ে ভয় পেয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে যদি সতর্কতা অবলম্বন করি তাহলে কি তালাকের মজলিস বা মুজাকারায়ের তালাক হবে?

একবার আমি অনেক দিন আগে তালাক বলেছিলাম দিয়ে সব ঠিক করে নিয়েছি। আমাদের আখন কি কোনো সমস্যা হবে?

*** আমাদের সম্পর্ক হালাল আছে তো হুজুর?

১. কোনো তালাক হবে নাকি?

৩. মুযাকরায়ের তালাক হয়ে যাবে নাকি বা কোনো মজলিস হবে নাকি?
হুজুর দয়া করে একটা জিনিস বুঝিয়ে দিবেন,,,,,,

 মূজাকারায়ের তালাক টা বা মজলিস টা বুঝিয়ে বলবেন , এর পরিণতি কি??

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/45359/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে 
তালাক খুবই মারাত্মক  একটি বিষয়। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক হালাল আছে।

(০২)
কোনো তালাক হবে না।

(০৩) মুযাকারায়ের তালাক হয়ে যাবেনা।
 তালাকের কোনো মজলিসও হবে না।

এ সংক্রান্ত বিষয় বিস্তারিত উপরে উল্লেখ রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...