হুজুর প্রশ্ন বড় দেখে উত্তর না দিয়ে যাইয়েন না
১. তালাকের মজলিস কি?
২. তালাকের মজলিস হলেই কি তালাক হবে? নাকি মজলিস হলে তালাক নাও হতে পারে?
৩. আমার স্ত্রী আমার সাথে বকাবকি করতেছিল। আমরা দুজনই বিছানায় ছিলাম। আমার হাতে ফোন ছিল। সে আমার কাছ থেকে ফোনটা চাচ্ছিল এবং বলেছিল, "আমি যদি না থাকতে চাই তবে আমাকে কেন আটকাতে চাও?" ওর কথাটি সম্পূর্ণ মনে নেই। তবে অর্থ ছিল এমন। মানে সে যেতে চাচ্ছিল।
আমার মনে হচ্ছে ফোন নিয়ে সে তার মাকে ফোন দিবে বলেছিল। তাই আমি ওকে ফোনটি দেই নি। তবে মুখে শুধু "ধুর" বা "ধ্যাত" এমন কিছু বলে বিরক্ত প্রকাশ করেছি।
একটু পরে আমি ফোনটি বিছানায় ছুঁড়ে মারি। ফোনটি ওকে দেওয়ার নিয়ত ছিল না। ফোনটি ছুঁড়ে মারার পর মনে হলো- আমার ওয়াইফ তো এখন ফোনটি নিবে, নিলে নিবে।
তবে ফোনটা নিলে আমাদের সম্পর্কে কোনো সমস্যা হয় কিনা- এটা ভাবা সত্ত্বেও বাধা দেই নি।
তবে তালাকের কোনো নিয়ত ছিল না। ফোনটি সম্ভবত ২-৫ মিনিট পরে সে নিয়েছিল এবং ওর বাবার বাড়িতে ফোন দিয়েছিল। আমাদের সম্পর্কে কোনো সমস্যা বা তালাক হয়েছে?
৪. স্বামী-স্ত্রী দুজনই আধা নামাজি হলে বা বেনামাজি হলে সম্পর্ক বৈধ থাকে?
৫. মনে করেন, ফোনটি কোথাও রাখা আছে। কোনো স্ত্রী যদি ফোনটি নিতে যায় এই বলে যে, সে তার বাবার বাড়িতে ফোন দিবে এবং সে তার স্বামীর সাথে থাকবে না। স্বামী যদি ফোনটি নিতে বাঁধা না দেয় বা নিজে ফোনটি তার স্ত্রীকে দিয়ে দেয়, তবে সম্পর্কে তালাক বা সমস্যা হবে? এক্ষেত্রে স্বামীর তালাকের নিয়ত নেই। স্ত্রীকে ফোনটি দেওয়া বা নিতে বাঁধা না দেওয়ার উদ্দেশ্য হলো, ফোন যেহেতু দিতে চাচ্ছো, দাও (মানে যা খুশি করো, আমি তো আর তালাক দিচ্ছি না)
৬. ধরেন স্ত্রী খাওয়া দাওয়া বা নরমাল বিষয়ে কিছু লুকাচ্ছে। বা স্বামী খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলছে কিন্তু স্ত্রী বিশ্বাস করছে না। এক্ষেত্রে স্বামী যদি বলে যে, "খোলাখুলি বলো বা খোলাখুলি বলছি"। তাহলে কোনো সমস্যা হবে?
৭. ধরেন, খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে স্বামী স্ত্রীকে বলল, যা খুশি করো। সমস্যা হবে?
(উল্লেখ্য যে, তালাকের অধিকার ওর কাছে নেই)
৮. কেউ তালাকের পরেও তার স্ত্রীর সাথে সংসার করলে তার নামাজ দোয়াসহ সব ইবাদত কবুল হবে কি? তার শ্বশুর বাড়ি থেকে কিছু নেওয়া জায়েজ হবে কি?
( কারণ, স্বামীর সাথে সংসার না থাকলে তো তারা কিছু পাঠাতো না। মানে তারা আলাদা হলে তো শ্বশুর বাড়ি থেকে সাহায্য পেত না।) বিস্তারিত জানতে চাই।
৯. হারাম খেলে দোয়া নামাজসহ সব ইবাদত কবুল হবে? ব্যাখ্যা সহ জানতে চাই
১০. কোনো ব্যক্তির জীবনে ৮,৯ একসাথে ঘটে গেলে তার দোয়া নামাজসহ সব ইবাদত কবুল হবে? ইমান থাকবে?
১১. জামেয়া ক্বাসিমূল উলূম দরগাহে হযরত শাহজালাল রাহ,সিলেট বাংলাদেশ। দরগাহ শব্দটিরব্দটির কারণে মনে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি সহীহ আকিদার কিনা। তাছাড়াও শাহজালালের মাজারে নাকি শিরকও হয় শুনছিলাম মনে হয়। এজন্য মুফতি ইমদাদ হুজুরের থেকে ফতোয়া নিতেও সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। দয়া করে জানাবেন।
আর গত প্রশ্নটির জবাব ভালো মত পাই নি হুজুর। দয়া করে দেখবেন। মাত্র কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে।
১২. হুজুর আমি খুব বেশি ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত। আমার ওয়াইফকে যদি বলি ভাত খাও, একটু সরো বা হাত দিয়ে সরিয়ে দেই বা কিছু করতে বলি সব কথাতেই তালাকের নিয়ত হয়। মুখ খুললে এমনকি মনে মনেও তালাকের ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে। স্বাভাবিক কথা বলতে গেলেও মনে হয়, এই কথাটি বললে সমস্যা বা তালাক হবে নাতো? এসব মনে হওয়ার সাথে সাথেই চুপ হয়ে যাই। তওবা করি। এমনকি দরকারি কথাও আর বলি না।
তবে কখনো মনে হয় ❝ এই কথাটি বলতে চাচ্ছি, বলব? বলা ঠিক হবে?❞- এসব মনে আসলেও কথাটি বলে ফেলি।
বলার পর আবার চিন্তা হয় যে, ❝কেন বললাম কথাটা? আমার তো মনে হয়েছিল যে, কথাটি বলা ঠিক হবে কিনা; তারপরেও কেন বললাম?❞ "কথাটি বলা ঠিক হবে কিনা" মনে আসার পরেও কথাটি বলা কি ঠিক হলো? ❞
যেমনঃ আমি আমার স্ত্রীর রাগারাগির কারণে ওর সাথে অভিমান করে আছি। ও আমার সাথে আপোষের চেষ্টা করছে। আমি বলতে চাচ্ছি যে, "সারাদিন পা ধরে থাকলেও লাভ নাই" (মানে আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে, আমার মন গলবে না) তো আমার মনে হলো যে কথাটি বলা যাবে কিনা, বা বললে সম্পর্কে সমস্যা হবে কিনা, বা বলব কিনা। এসব মনে আসার পরেও কথাটি বলে দিলাম যে, "সারদিন পা ধরে থাকলেও লাভ নাই"
কথাটি বলার পর মনে হতে লাগল যে, কেন বললাম কথাটা? সন্দেহ আসার পরেও কথাটি বলা কি ঠিক হলো? অন্য সময় এমন সন্দেহ হলে বা মনে হলে তো চুপ করে যেতাম, প্রশ্নটি আর করতামই না। এখন কেন চুপ করলাম না? এসব নিয়ে খুব পেরেশানিতে পড়ে যাই হুজুর। এসবে কি তালাক হয়েছে?
১৩. হুজুর আমি মনে করি যে, আমার ওয়াইফ ওর বাবার বাড়িতে গেলে ওর পরিবার আমাদের ডিভোর্স করিয়ে দিতে পারে। একদিন আমার ওয়াইফ ওর বাবার বাড়িতে যেতে চায়। তো আমি বলি যে, "তুমি ওখানে গেলে ওরা সমস্যা করবে" বা বলি যে, "তুমি ওখানে গেলে সমস্যা হবে" এই দুইটি কথার যে কোনো একটি বলেছি। তবে ১ম টি বলার সম্ভাবনা খুব বেশি মনে হচ্ছে। যেটাই বলি না কেন উদ্দেশ্য ছিল আমার স্ত্রীকে বিষয়টি জানানো বা বোঝানো যে, তোমার বাবা মা আমাদের সম্পর্কে সমস্যা করতে পারে। তালাক বা শর্ত দেওয়া উদ্দেশ্য ছিল না।
১২ নং প্রশ্নে বলেছি যে আমার এমনিতেই নিয়ত চলে আসে বা স্বাভাবিক কথা বলার সময়েও চিন্তা করি যে কথাটি বলা যাবে কিনা, বা বললে সমস্যা হবে কিনা। এমনটা চিন্তা করে প্রায় সব সময়ই কথা আটকে দেই, চুপ থাকি।
তো আমি ওকে বলতে চাচ্ছিলাম যে, তুমি ওখানে গেলে ওরা সমস্যা করবে বা তুমি ওখানে গেলে সমস্যা হবে। কথাটি বলার আগে আমার মনে হল- বলব? সমস্যা হবে না তো? তারপর মনে হয়, মনে মনে বলেছি যে, ইনশাআল্লাহ সমস্যা হবে না, বলি।
তারপর বলেছি, তুমি ওখানে গেলে এতটুকু বলার পরে মনে মনে চিন্তা করলাম- পরের অংশে তো আছে সমস্যা করবে বা সমস্যা হবে। বাক্যের পরের অংশটুকু কি বলা যাবে? পরের অংশে তো সমস্যার কথা আছে। পরের কথাটুকু বলার কারণে যদি আমাদের সম্পর্কে সমস্যা হয়? এসব মনে আসার পরেও পাত্তা না দিয়ে মনে করি যে, পরের অংশটা বলি। তো পরের অংশটা বলে দিছি যে, সমস্যা করবে বা সমস্যা হবে। তবে চিন্তা করে সমস্যা করবে বলছি মনে হয়। (কারণ আমার মনে হচ্ছে- সমস্যা হবে বললে যদি আবার শর্ত জাতীয় কিছু হয়ে যায়; এজন্য চিন্তা করে সমস্যা করবে বলছি। তবে হতে পারে- প্রথম দিকে হয়ত সমস্যা হবে বলতে চেয়েছিলাম)
আমার সম্পূর্ণ চিন্তাটি ছিল ১ সেকেন্ডের মত সময়ে।
বিষয়টি ছিল এমনঃ
তুমি ওখানে গেলে (চিন্তা) সমস্যা করবে। [এটি বলার সম্ভাবনা বেশি]
তুমি ওখানে গেলে (চিন্তা) সমস্যা হবে। [এটি বলার সম্ভবনা কম]
সমস্যা হবে বা সমস্যা করবে বলার পর মনে হল- কেন বললাম কথাটা? আমার তো মনে হয়েছিল যে, ❝কথাটি বললে সমস্যা হয় কিনা? সন্দেহ থাকার পরেও কেন বললাম? অন্য সময়ে তো চুপ থাকি; এখানে কেন চুপ থাকলাম না? ওখানে তো সমস্যার কথা আছে। তাছাড়া সমস্যা হবে বা সমস্যা করবে বলাতে তালাকের শর্ত পতিত হয়ে গেল কিনা বা তালাক জাতীয় কিছু হয়ে গেল কিনা- এসব চিন্তা হচ্ছে হুজুর। তবে আমার তালাক বা শর্ত দেওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না।
আমার মূল চিন্তার কারণঃ আমি চিন্তা করেছিলাম যে, সমস্যা করবে বা সমস্যা হবে বললে সম্পর্কে সমস্যা বা তালাক জাতীয় কিছু হয় কিনা। তারপরেও সে সময় মনে করেছি যে, বলি এবং বলে দিয়েছি। মানে সে সময় বলার সময় একটু রিস্ক নিয়েছিলাম আর কি।
তবে আমি ওয়াসওয়াসাগ্রস্থ। আর তালাক যাতে না হয় সেজন্য সব সময় সতর্ক থাকি। কিন্তু সে সময় কেন রিস্ক নিলাম!
তবে আমার আগে এমনও হয়েছে যে- তালাক জাতীয় কিছু না বলতে চাইলেও মনে হয়েছে যে, বলি বলি বলি, একটু বলি, আরে বলি। মানে না বলতে চাইলেও মুখ দিয়ে বের হওয়ার উপক্রম হয়েছে আগে।
১৪. কাবিনে যাই থাকুক না কেন- স্বামী কি স্ত্রীকে যখন তখন মুখে বলার মাধ্যমে তালাক গ্রহণের অধিকার দিতে পারে এবং নিতে পারে?
১৫. স্বামী মনে মনে স্ত্রীকে তালাক গ্রহণের অধিকার দিতে পারে?
১৬. তালাকর নিয়তে "তালাক দিব" বললে তালাক হয়?
১৭. নামাজ না পড়লে নাকি বৈবাহিক সম্পর্ক থাকে না; তালাক হয়ে যায়। তবে কিছু আলেম থেকে আমি সম্ভবত জেনেছিলাম বা বুঝেছিলাম যে, কিছু ওয়াক্ত পড়লে সম্পর্ক টিকে থাকে। এটা জানার পরেও কিছু ওয়াক্ত নামাজ পড়ি নি। এখনো কিছু ওয়াক্ত ইচ্ছা করে মিস করে যাচ্ছি। আমাদের সম্পর্কে সমস্যা হয়েছে?
(মনে করেছিলাম যে, আমি তো কিছু ওয়াক্ত হলেও পড়ি। ফতোয়া আমার দিকে আসবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ মাফ করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে সম্পর্কে সমস্যা বা তালাক হয় কিনা সে চিন্তাও ছিল একটু। যদিও এখনো নামাজ মিস হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, আমরা দুইজনই ফজর ব্যাতীত বাকি নামাজগুলো সঠিক সময়ে পড়ি, তবে ফজর কাজা পড়ি। আমাদের সূরা কেরাত শুদ্ধ নয়। তাছাড়াও ইচ্ছায় অনিচ্ছায় আমাদের কিছু ওয়াক্ত মিস বা কাজা হয়ে যায়।)
১৮. স্বামী স্ত্রী এক বা দুইজনই নামাজ না পড়লে সম্পর্ক বৈধ থাকে, ইমান থাকে?
১৯. আমার একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে। আমি চ্যানেলটিতে হালাল ভিডিও আপলোড করে থাকি এবং মনিটাইজেশনের এ্যাড শো করাই না।
আমি আগে আমার চ্যানেলটিতে কিছু কাজ করেছি। যেমনঃ
***. ধরুন, প্রথম আলোর ওয়েব সাইট থেকে একটা নিউজ কালেক্ট করে হুবহু সেই লেখাগুলো মুখে পড়ে একটা অডিও তৈরি করলাম। তারপর সেই অডিওগুলোতে হালাল ভিডিও যুক্ত করে একটা ভিডিও বানিয়ে আমার চ্যানেলে আপলোড করলাম।
আমি প্রথম আলোকে ক্রেডিট দিয়েছিলাম কিনা জানি না।
আমি এক আলেম ভাইয়ের থেকে শুনেছিলাম যে, কাজটি করা ঠিক হচ্ছে না৷ কারণ প্রথম আলো তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে যে, কেউ তাদের লেখা কপি করতে পারবে না৷ যাই হোক আমি নাজায়েজ মনে করা বা সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও এভাবে কয়েকটি ভিডিও আপলোড করেছি।
***. আর কয়েকটি হালাল ভিডিও ইউটিউব থেকে নিয়েছি। মানে অন্যের কনটেন্ট কপি করেছি আর কি। সেসবের পারমিশন ছিল না।
*** এছাড়াও আমি কিছু সাবস্ক্রাইবার কিনেছিলাম।
আমি মনে করছি যে, উপরের ২টি পদ্ধতিতে আমি ১০০-২০০ সাবস্ক্রাইবার অর্জন করেছি। আমার চ্যানলের সাবস্ক্রাইবারগুলো কি অবৈধ? বর্তমানে আমার চ্যানেলে ৩৫০০ এর মতো সাবসক্রাইবার আছে। আমি কি চ্যানেলটি থেকে ইনকাম করতে পারব? নাকি চ্যানেলটি বন্ধ করে দিব?
আমি যেভাবে ইনকাম করতে চাচ্ছিঃ
ধরেন কারো গরুর খামার আছে। সেই লোক গরু বিক্রি করে৷ আমি আমার চ্যানেলে তার গরুর খামারের ভিডিও করে আপলোড দিলাম, যাতে করে তার গরু মানুষ দেখে এবং বিক্রি হয়। বিনিময়ে আমি তার থেকে কিছু টাকা নিলাম।
এছাড়াও যদি মনিটাইজেশন কখনও জায়েজ করার মতো নিয়ম চালু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন কি এই চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারব?
২০. অমুসলিমদের সম্পদ কি মুসলমানের জন্য ভোগ করা বৈধ? বিস্তারিত জানতে চাই
২১. অমুসলিমের হালাল ভিডিও বা যেকোনো তথ্য বা সংবাদ তাদের পারমিশন ছাড়াও ব্যবহার করতে পারব?
২২. মনে করেন আমি কোনো কাজ করতেছি বা আমার স্ত্রী কাজ করতেছে। আমি যদি মনে করি বা মনে মনে বলি যে, এই কাজ করার মাধ্যমে তালাক হচ্ছে তাহলে তালাক হবে?
২৩. কোনো সুস্থ মানুষ যদি চিন্তা করে যে, তার স্ত্রী অন্য কারো সাথে বা অন্য কেউ তার স্ত্রীর সাথে সেক্স করছে বা করবে বা এভাবে হুরমত হচ্ছে বা হবে, তাহলে হুরমত হয়? স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কে সমস্যা হয়?
২৪. কোনো সুস্থ মানুষ যদি চিন্তা করে যে, সে অন্য কারো সাথে বা অন্য কেউ তার সাথে সেক্স করছে বা করবে বা এভাবে হুরমত হচ্ছে বা হবে, তাহলে হুরমত হয়?
২৫. তালাকের শর্ত দেওয়া হয়েছে কিনা; বা একাধিক কথা নিয়ে সন্দেহ হলে- কোন কথাটি বলেছি সেটি সম্পর্কে সিওর না হলে শর্ত হিসেবে ধরে নেওয়া যাবে? যদি সম্ভাবনা কম বা বেশি মনে হয় বা সমান সমান মনে হয়, তাহলে?
২৬. হুজুর ওয়াসওয়াসার কারণে মনে মনে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিলে, অধিকার দেওয়া হবে?
২৭. মনে মনে স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেওয়ার সময় মুখে উঁ এর মত শব্দ হলে, অধিকার দেওয়া হবে?
২৮. জানার জন্য বলছি- সব নিয়ম ঠিক রেখে ছেলে মেয়ে কাবিনে সই করে মুখে বিয়ে না পড়ালে বিয়ে হয়? তবে যে দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়েছিল তাতে মেয়ের সম্মতি ছিল। সাক্ষীও ছিল দুজন। একজন কাজী আর একজন সাক্ষী
২৯. আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, এক্ষেত্রে তালাক রিলেটেড বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে ওয়াসওয়াসা আসলে, আমি যদি কোনো ভুল করি, বা যাই করি না কেন তা কি গ্রহণযোগ্য হবে?
৩০. মনে মনে বায়েন তালাক দিলে তা পতিত হয়?
৩১. তালাক হয়েছে কিনা সিওর না হলে কোনটি গ্রহণযোগ্য?
৩২. স্বামী স্ত্রী সহবাসের সময়ে কোনো শব্দ বা সেক্সুয়াল কথা বার্তা শ্বশুর বা অন্য কেউ শুনলে সমস্যা হয়?