আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
139 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম
সম্মানিত শায়েখ, খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে মাসয়ালা প্রয়োজন।
আমার  প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য এবং অন্তরের সুকুনের জন্য আমি বিস্তারিতভাবে আমার সমস্যা গুলো তুলে ধরছি এজন্য লেখাগুলো অনেকটা বড় হবে। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
শায়খ আমার বিয়ে হয়েছে জয়েন ফ্যামেলিতে। এবাড়ির একজন পুরুষ সদস্যের অর্থ ইনকামের পথটি ইসলামের বেঁধে দেয়া সীমার বাইরে।আমার ভাসুর এনজিওতে চাকরী করেন।
সুদি লেনদেন করেন এবং তার হিসাব রাখেন।
তাকে অনেক বলা হয়েছে  হারামের ব্যাপারে এবং তিনি নিজে একজন নামাজী, ধর্মভীরু লোক এবং হারামের ব্যাপারটা পূর্বেই জানেন। প্রয়োজনের তাগিদে হয়তো গিয়েছেন। যদিও আমার বিয়ের পর বুঝতে পারি তাদের এটা তেমন মেজর প্রয়োজন নয়। তিনি চাকরিটা হয়তো কাছাকাছি সময়ে কোন কারণে ছেড়ে দিবেন। আলহামদুলিল্লাহ সে ব্যাপারেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসতেছে।

শায়খ, জয়েন ফ্যামেলি হওয়ায় বাড়ীর সবার সাথে সবার একটা মোহাব্বত বা মিলেমিশে থাকতে হয়। একসাথে থাকার কারণে বাড়ীর বাজার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই কম বেশি ভাসুর টাকা দেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম নাস্তা কিনে আনেন। শুরুর দিকে নতুন হওয়ায় এবং অশান্তির ভয়, সম্পর্ক নষ্টের ভয় সব মিলিয়ে তাদের আনা বাজার, নাস্তা খেতে হয়েছে কখনো সুযোগ হলে ফেলে দিয়েছি। কিন্তু বর্তমানে যদিও তাদের আনা কিছু খাচ্ছি না, আলহামদুলিল্লাহ।
শাশুড়ী রান্না করেন তো অনেক সময় ছোট খাটো জিনিসগুলো উনি ধরেন না যেমন তারা পেয়াজ, রসুন বা কোন মসলা আনলে সেটা দিয়েই রান্না করে ফেলেন। কোনটা কে নিয়ে আসছে সেটা জিজ্ঞেস করলেও রেগে যান।আবার একই ফ্যামেলিতে থেকে এমনটা হওয়ায় সবাই কম বেশি আমাদের ওপর একটু রেগে আছেন। আলাদা হলেও সম্পর্কে ভাটা পড়বে।স্বামীর বাবা মা কষ্ট পাবেন। কারণ তারা বেঁচে থাকতে সন্তানদের আলাদা হওয়া সহ্য করতে পারবেন না।
 আবার আমার স্বামীর ইনকাম অনেক কম যা দিয়ে ঘর ভাড়া থাকতে গেলে অনেক কষ্টের হয়ে যাবে।
বেশ কয়েকটি বিষয় জানার রয়েছে।(শায়খ প্লিজ  জায়েজ নাজায়েজ উত্তম অনুত্তম বলে দিবেন, চেষ্টা করবো ইসলামের সাথে কম্রমাইজ না করতে)
১/  সরাসরি তার চাকরী থেকে আসা অর্থের দ্বারা কেনা খাবার খাওয়া, হাদিয়া দেয়া কাপড় পরিধান বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করা যাবে কিনা?
২/ গ্যাস বা বিদ্যুৎ ওনাদের অর্থে দেয়া হলে সেটা ব্যবহারের বিধান কি হবে?(উল্লেখ আমাদের সংসারের প্রয়োজনীয় সবটা দেয়া সম্ভব নয় আমার স্বামীর বেতন ১০ হাজারেরও কম টাকা আলহামদুলিল্লাহ।)
৩/ টাকা ভাগ করে নিয়ে বাড়ীর প্রয়োজনীয় বাজারসহ অন্যান্য কাজ করা যাবে কিনা?
৪/ তিনি মাছ কিনলে সে মাছ যে তরকারিতে দেয়া হবে সে মাছ বাদ রেখে তরকারি খাওয়াতে সমস্যা আছে কিনা? নাকি তরকারিটাও খাওয়া যাবে না?
৫/ যেহেতু পূর্বে মানুষের ভয়ে আত্মীয়তায় ঘুন ধরার ভয়ে খেতে হয়েছে এটার জন্য গুনাহ  শুধু মৌখিক তওবা ই যথেষ্ট কিনা?
৬/ হারাম খাবারের দ্বারা বান্দা কি কি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে?
৭/ তিনি চাকরি ছাড়বেন বলে  অনেক টাকা জমায় রেখে সেটা দিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করতেছেন যা এখন থেকেই শুরু করেছেন। এই টাকা থেকেই  মাছ ছেড়েছেন। এখন চাকরি ছাড়ার পর কেউ এটাকে গোনায়ই ধরবে না।এখনই বলেন যে তাদের ছেলে নাকি আমাদের জন্য ই চাকরি ছাড়ছেন। আল্লাহর জন্য ছাড়ছেন। এখন এই মাছ রান্না হলে খাওয়া যাবে কিনা?
৮/ উনি দুধের গরু কিনেছেন ওনার এনজিওর টাকা থেকেই, ওনার এই দুধ বাহিরে বিক্রিও করেন। আবার এই দুধ বিক্রি টাকা থেকে যদি নাস্তা বা বাজার করা হয় সেটা খাওয়ার হুকুম কি হবে?
৯/ আমরা এই দুধ  তাদের থেকে টাকা দিয়ে অথবা না দিয়ে খেতে পারব কিনা? এটা কিনে খাওয়া ঠিক হবে কিনা?
১০/ এই গরুর বাছুর বা গরু আমরা পোষার জন্য কোনভাবে কিনতে পারলে সেটা কেনা জায়েজ হবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (714,440 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) সরাসরি তার চাকরী থেকে আসা অর্থের দ্বারা হাদিয়া দেয়া কাপড় পরিধান বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করা যাবে না এবং খাবার ভক্ষণ করাও যাবে না।হ্যা যদি করে নেন, তাহলে অনুমান করে ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।

(২) গ্যাস বা বিদ্যুৎ ওনাদের অর্থে দেয়া হলে সেটাও ব্যবহার করা যাবে না।হ্যা, করে নিলে সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।সামার্থ্য না থাকলে লিখে রাখবেন, যখন সামর্থ্য হবে, তখন সদকাহ করে দিবেন।

(৩)টাকা ভাগ করে নিয়ে বাড়ীর প্রয়োজনীয় বাজারসহ অন্যান্য কাজ করা যাবে। আপনারা অনুমান করে নিজের প্রদত্ব টাকার খাদ্যই গ্রহণ করবেন।


(৪) তিনি মাছ কিনলে সে মাছ যে তরকারিতে দেয়া হবে সে মাছ বাদ রেখে তরকারি খাওয়াতে সমস্যা নাই। আর মাছ খেলে সেই মাছের টুকরার পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।

(৫) যেহেতু পূর্বে মানুষের ভয়ে আত্মীয়তায় ঘুন ধরার ভয়ে খেতে হয়েছে এর জন্য ঐ পরিমান টাকা এখন সদকাহ করবেন।সম্ভব না হলে পরবর্তীতে সদকাহ করে দিবেন।

(৬) হারাম খাবারের দ্বারা বান্দার ইবাদত কবুল হবে না।

(৭)তিনি চাকরি ছাড়বেন বলে  অনেক টাকা জমায় রেখে সেটা দিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করতেছেন যা এখন থেকেই শুরু করেছেন। এই টাকা থেকেই  মাছ ছেড়েছেন। এখন চাকরি ছাড়ার পর কেউ এটাকে গোনায়ই ধরবে না।এখনই বলেন যে তাদের ছেলে নাকি আমাদের জন্য ই চাকরি ছাড়ছেন। আল্লাহর জন্য ছাড়ছেন। এখন এই মাছ রান্না হলে খাওয়া যাবে না।কেননা হারাম টাকার মাছ।

(৮)উনি দুধের গরু কিনেছেন ওনার এনজিওর টাকা থেকেই, ওনার এই দুধ বাহিরে বিক্রিও করেন। আবার এই দুধ বিক্রি টাকা থেকে যদি নাস্তা বা বাজার করা হয় সেটা খাওয়া জায়েয হবে না।

৯)আপনারা এই দুধ  তাদের থেকে টাকা দিয়ে ক্রয় করে খেতে পারবেন।এমনিতে খেতে পারবেন না।

(১০)এই গরুর বাছুর বা গরু আমরা পোষার জন্য কোনভাবে কিনতে পারলে সেটা কেনা জায়েজ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (714,440 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...