ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) সরাসরি তার চাকরী থেকে আসা অর্থের দ্বারা হাদিয়া দেয়া কাপড় পরিধান বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করা যাবে না এবং খাবার ভক্ষণ করাও যাবে না।হ্যা যদি করে নেন, তাহলে অনুমান করে ঐ পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।
(২) গ্যাস বা বিদ্যুৎ ওনাদের অর্থে দেয়া হলে সেটাও ব্যবহার করা যাবে না।হ্যা, করে নিলে সেই পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।সামার্থ্য না থাকলে লিখে রাখবেন, যখন সামর্থ্য হবে, তখন সদকাহ করে দিবেন।
(৩)টাকা ভাগ করে নিয়ে বাড়ীর প্রয়োজনীয় বাজারসহ অন্যান্য কাজ করা যাবে। আপনারা অনুমান করে নিজের প্রদত্ব টাকার খাদ্যই গ্রহণ করবেন।
(৪) তিনি মাছ কিনলে সে মাছ যে তরকারিতে দেয়া হবে সে মাছ বাদ রেখে তরকারি খাওয়াতে সমস্যা নাই। আর মাছ খেলে সেই মাছের টুকরার পরিমাণ টাকা সদকাহ করে দিবেন।
(৫) যেহেতু পূর্বে মানুষের ভয়ে আত্মীয়তায় ঘুন ধরার ভয়ে খেতে হয়েছে এর জন্য ঐ পরিমান টাকা এখন সদকাহ করবেন।সম্ভব না হলে পরবর্তীতে সদকাহ করে দিবেন।
(৬) হারাম খাবারের দ্বারা বান্দার ইবাদত কবুল হবে না।
(৭)তিনি চাকরি ছাড়বেন বলে অনেক টাকা জমায় রেখে সেটা দিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করতেছেন যা এখন থেকেই শুরু করেছেন। এই টাকা থেকেই মাছ ছেড়েছেন। এখন চাকরি ছাড়ার পর কেউ এটাকে গোনায়ই ধরবে না।এখনই বলেন যে তাদের ছেলে নাকি আমাদের জন্য ই চাকরি ছাড়ছেন। আল্লাহর জন্য ছাড়ছেন। এখন এই মাছ রান্না হলে খাওয়া যাবে না।কেননা হারাম টাকার মাছ।
(৮)উনি দুধের গরু কিনেছেন ওনার এনজিওর টাকা থেকেই, ওনার এই দুধ বাহিরে বিক্রিও করেন। আবার এই দুধ বিক্রি টাকা থেকে যদি নাস্তা বা বাজার করা হয় সেটা খাওয়া জায়েয হবে না।
৯)আপনারা এই দুধ তাদের থেকে টাকা দিয়ে ক্রয় করে খেতে পারবেন।এমনিতে খেতে পারবেন না।
(১০)এই গরুর বাছুর বা গরু আমরা পোষার জন্য কোনভাবে কিনতে পারলে সেটা কেনা জায়েজ হবে।