হে বোন, নিয়মিত না পড়া এটা তো মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়; বরং এটা তো মুনাফিকের বৈশিষ্ট্য।
إِنَّ الْمُنَافِقِينَ يُخَادِعُونَ اللّهَ وَهُوَ خَادِعُهُمْ وَإِذَا قَامُواْ إِلَى الصَّلاَةِ قَامُواْ كُسَالَى يُرَآؤُونَ النَّاسَ وَلاَ يَذْكُرُونَ اللّهَ إِلاَّ قَلِيلاً
অবশ্যই মুনাফেকরা প্রতারণা করছে আল্লাহর সাথে, অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতারিত করে। বস্তুতঃ তারা যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন দাঁড়ায়, একান্ত শীথিলভাবে লোক দেখানোর জন্য। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে। (সুরা নিসা ১৪২)
অন্যত্র তিনি বলেন,
وَلاَ يَأْتُونَ الصَّلاَةَ إِلاَّ وَهُمْ كُسَالَى
তারা নামাযে আসে অলসতার সাথে ব্যয় করে সঙ্কুচিত মনে। (সুরা তাওবা ৫৪)
★নেককার, বুযুর্গ, আমলকারী ও আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিবর্গের লেখা ও জীবনী পড়ুন।
★পরিমাণে অল্প হলেও প্রতিদিন কিছু যিকির করুন ও কোরআন মজিদ তেলাওয়াত করুন।
এর মাধ্যমে আপনার রবের সাথে সম্পর্ক মজবুত হবে। ইবাদতের প্রতি আগ্রহ এবং ইবাদতের ভেতরে মজা খুঁজে পাবেন।
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللّهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ
যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ার দেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। (সুরা আনফাল ২)
★আমরা আপনাকে আল্লাহর কাছে দোয়া করার পরামর্শ দিচ্ছি।
কেননা, যে ব্যক্তি সঠিকভাবে নেক আমল করতে পারার জন্য তাঁর রবের আশ্রয় ও সাহায্য প্রার্থনা করে সে বিফল হয় না।
রাসূলুল্লাহ্ ﷺ দোয়া করতেন।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে। (বুখারী ২৮৯৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত বোন যেভাবে সালাত আদায় করতে চাচ্ছে,এভাবে সালাত আদায় আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য হবে।
পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের জায়গায় দুই ওয়াক্ত সালাত আদায় না করে বাকি যে তিন ওয়াক্তের সালাত তিনি পড়বেন সেগুলো কবুল হবে।
এক্ষেত্রে তাকে পরবর্তীতে তথা নিয়মিত সালাত আদায় কারী হওয়ার পর বুঝিয়ে বলবেন যে বালেগাহ হওয়ার পর থেকে নিয়ে জীবনের যতগুলো নামাজ আদায় করেননি,সবগুলোর কাজা আদায় করতে হবে।