বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
মুসলিম অমুসলিম মু'আমালাত অর্থ্যাৎ কাজ-কর্মে প্রায় সবাই সমান।টাকার বিনিময়ে যেভাবে অমুসলিমকে শ্রমে নিয়োগ করা বৈধ। ঠিকতেমনি বৈধ কাজে মুসলমানের জন্য অমুসলিমের শ্রমে নিয়োগ হওয়াও বৈধ।
যেমন ফাতাওয়ায়ে শা'মী তে বর্ণিত রয়েছে,
ﻭﻟﻮ ﺁﺟﺮ ﻧﻔﺴﻪ ﻟﻴﻌﻤﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻨﻴﺴﺔ ﻭﻳﻌﻤﺮﻫﺎ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺑﻪ ﻷﻧﻪ ﻻ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﻓﻲ ﻋﻴﻦ ﺍﻟﻌﻤﻞ
(ﺭﺩ ﺍﻟﻤﺤﺘﺎﺭ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻈﺮ ﻭﺍﻹﺑﺎﺣﺔ » ﻓﺼﻞ ﻓﻲ ﺍﻟﺒﻴﻊ)
যদি কেউ কোনো গির্জায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে,অথবা টাকার বিনিময়ে গির্জা নির্মাণ করে দেয়, তাহলে এতে তার কোনো গুনাহ হবে না। কেননা এখানে মূল কাজে কোনো প্রকার গোনাহ নেই।(রদ্দুল মুহতার,৬/৩৯২)
যদি গির্জায় চাকুরী করা বৈধ হয়,তাহলে যেকোনো অমুসলিম বৈধ কম্পানিতে চাকুরী করা বৈধ হবে,বা তাদের জন্য শ্রম দেয়া বৈধ হবে ।তবে যদি সেই কাজ করতে যেয়ে ইসলামী শরীয়তের মূলনীতি বা তার কোনো শাখা-প্রশাখার বিরোধীতা করতে হয়,অথবা বাধ্যতামূলক তাদের ধর্মকে মানতে হয় বা তা প্রচার করতে হয় কিংবা নিজের ধর্ম পালনে কোনো প্রকার অসুবিধা হয়,তাহলে এক্ষেত্রে আর বৈধতার হুকুম থাকবে না।বরং সে সময় অমুসলিমের উক্ত মুসলমানের জন্য নাজায়েয হয়ে যাবে।
বিঃদ্রঃ
একজন মুসলমানের জন্য উচিৎ যে,সে সর্বাবস্থায় অন্য কোনো মুসলমানের অধীনে চাকুরী করবে, বা মুসলমানের কাজ করবে।এটাই একজন মুসলমানের মান-মর্যাদা ও সম্ভ্রম রক্ষার উত্তম মাধ্যম।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই বোন!
টাকার বিনিময়ে তাদের সেচ্ছাসেবক কম্পানি প্রতিষ্টানে চাকুরী করার রুখসত রয়েছে,যদি মুসলিম মালিকানাধীন কোনো বৈধ চাকুরীর সন্ধান না পাওয়া যায়।
তবে সেচ্ছাসেবক হয়ে অমুসলিম সেচ্ছাসেবক প্রতিষ্টানের সাথে কাজ করা কখনো বৈধ হবে না।