জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَّ الۡمُحۡصَنٰتُ مِنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ۚ کِتٰبَ اللّٰہِ عَلَیۡکُمۡ ۚ وَ اُحِلَّ لَکُمۡ مَّا وَرَآءَ ذٰلِکُمۡ اَنۡ تَبۡتَغُوۡا بِاَمۡوَالِکُمۡ مُّحۡصِنِیۡنَ غَیۡرَ مُسٰفِحِیۡنَ ؕ فَمَا اسۡتَمۡتَعۡتُمۡ بِہٖ مِنۡہُنَّ فَاٰتُوۡہُنَّ اُجُوۡرَہُنَّ فَرِیۡضَۃً ؕ وَ لَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ فِیۡمَا تَرٰضَیۡتُمۡ بِہٖ مِنۡۢ بَعۡدِ الۡفَرِیۡضَۃِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ﴿۲۴﴾
আর নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসী ছাড়া সব সধবা (অন্যের বিবাহিতা স্ত্রী) তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, তোমাদের জন্য এগুলো আল্লাহর বিধান। উল্লেখিত নারীগণ ছাড়া অন্য নারীকে অর্থব্যয়ে বিয়ে করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হল, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। তাদের মধ্যে যাদেরকে তোমর সম্ভোগ করেছ তাদের নির্ধারিত মাহর অর্পণ করবে। মাহর নির্ধারণের পর কোন বিষয়ে পস্পর রাযী হলে তাতে তোমাদের কোন দোষ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
(সুরা নিসা ২৪)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যারা মাযহাব মানেনা,তাদের কাউকে বিবাহ করলে সেই বিবাহ শুদ্ধ হবে।
তবে এই বিবাহের পর তিন তালাকের মাসয়ালা,নামাজের মাসয়ালা,মসজিদে গিয়ে নামাজের মাসয়ালা,ঈদগাহে গিয়ে ঈদের নামাজের মাসয়ালা,সহ অসংখ মাসয়ালা নিয়ে সমস্যা হতে পারে।
তাই উলামাকে কেরামগন নিজ মাযহাব অনুসারীদের কেই বিবাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
আপনার স্বামী তো নির্দিষ্ট আকারে কোনো মাযহাব মানেনা।
তথা তিনি গায়রে মুকাল্লীদ।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনিও যদি তার মতোই মতানুসারী হয়ে যান,সেক্ষেত্রে বিবাহের পর মাসয়ালা নিয়ে সমস্যা হবেনা।
(০২)
এখন এইসব বলার জন্য বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।
(০৩)
না,এমন কোনো সমস্যা বুঝানো হয়নি।
স্বামী স্ত্রীর মাঝে মাযহাব গত পার্থক্য থাকলে যেসব মাসয়ালা সমস্যা হয়,সেটি উদ্দেশ্য।
এই বিষয় উপরে উল্লেখ রয়েছে।
(০৪)
আপনার সংসারে তালাক বা কোন সমস্যা হবেনা।