আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
260 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা শায়েখ।নিচের পুরো বিবরণটার উত্তর দিয়েন দয়া করে।কোন এক মহিলাকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিয়েছে।সে ভয়ে কারো সাথে কথাও বলে না।জিহ্বা সহ চেপে রাখে।হাত দিয়ে সহ চেপে রাখে মুখ ভয়ে।কারো সাথে কথা বলার সময় সহ ভয় হয় ওর।কথা বলার সময় বা মুখ খুলার সময় কি বের হয়েছে মুখ দিয়ে।কোন তালাকের কথা বের হয়েছে কিনা ভয়ে থাকে,সন্দেহে থাকে।আর ওর মারাত্বক ওয়াসওয়াসা। কোন একটা কথা  বলার জন্য মুখ খুলার সময়,সহ সে না বলে মুখ খুলে ভয়ে।এখন একটা শব্দ বলেছি বা কথা বলেছি ওটা কি বলেছি যে সেটা নিয়ে চিন্তায় থাকে,সিওর হতে পারে না কি বলেছে।কারো কথার সম্মিত দিতে হ্যা সূচক মাথা নাড়ার সময়ও তালাকের কথা মনে চলে আসে।ও জানে ওদের কথায় হ্যা বলেছে মাথা নেড়ে তবু ভয় হয় তালাকের কথা মনে চলে আসায়।ওর  মনে সবসময় শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয় যে আগে বলছস এরকম কথা মুখ ফসকে।কিন্তুু মেয়েটা জানে না বলেছে কিনা।ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।তহ সে শয়তানের ওয়াসওয়াসার সাথে জেদ করে বলতেছে বলে থাকলেও এখন বলব না যতক্ষণ মুখ নাড়িয়ে বলি নি আর আমি সিওর হয় নি।মেয়েটা এ কথাটাও মনে মনে বলেছে ভাত খাওয়ার সময়।কিন্তুু ওর ভয় হচ্ছে যে কোন জেদ করে বলেছে যে কথাটা মুখ দিয়ে বের হয়েছে কিনা।যদি ওই কথাটা মুখ দিয়ে বের হয় মানে " বলে থাকলেও এখন বলব না যতক্ষণ সিওর হয়নি" তখন কি তালাক হবে? আশা করি এমন হয় নি।তবু জানার জন্য জিগ্যেস করেছি।সন্দেহে আর ভয়ে।
 আরেকটা প্রশ্ন ওয়াসওয়সার কারনে জিহ্বা আর মুখ নেড়ে শব্দ না করে না বললে হঠাত  না বলার সময় তালাকের কথা  মনে পড়লে কি তালাক হবে? মারাত্বক ওয়াসওয়াসা ওর।এখন ভয় হচ্ছে ওর কি বলেছে ও না বলেছে কিন্তুু সন্দেহে পড়ে গেছে।মেয়েটা কথাও বলে না সহজে ভয়ে।জিহ্বা আর ঠোট ও  মনে হয় না বললে যেরকম হয়,ওইরকম ওই করেছে। ও সবসময় না না করে করে থাকে।এখন এটা নিয়ে সন্দেহে পরে গেছে।গুণাহ হবে কিনা ভেবে।মেয়েটা তালাক হোক সেটা চাই না।ও স্বামীর সাথে খুব ভাল আছে।সে বুঝাতেও পারতেছে না কাউকে।কি বলেছে আল্লাহ মাফ করবে কিনা ভয়ে সে পাগলের  মত হয়ে গেছে।সে নিজেই বুঝতেছে না কি বলেছে।সে বাইরে ছিল কানেও আসে নাই আর শব্দ করে বলেছে কিনাও জানে না।

আর হুজুর নিজের দিকে ইন্গিত না করে আপনাদের প্রশ্ন করলেও কি এই প্রশ্ন করা দ্বারা আমার বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হবে? সিওর বলি নি তবু ভয়ে জিগ্যেস করেছি।মাসআলা জানার জন্য।দয়া করে বলবেন।আমি জানার জন্য জিগ্যেস করেছি।এতে আমার বৈবাহিক সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে উপরের প্রশ্ন গুলো করার দ্বারা?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
তালাক কি এতই সহজ যে, উচ্ছারণ হয়ে গেলেই তালাক হয়ে যাবে। তালাক হওয়ার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে।এর মধ্যে একটি শর্ত হল, বুঝেশুনে তালাক প্রদানের উদ্দেশ্যে তার নাম নিয়ে বা তাকে উদ্দেশ্য করে তালাক বলার দ্বারাই তালাক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (30 points)
শায়েখ কেউ যদি তালাকের বিষয়ে সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করতে চাই।আসেও প্রশ্ন করতে আপনাদের ওয়েবসাইটে। কিন্তুু সন্দেহ থাকার কারনে আর প্রশ্ন না করে  তাহলে কি গুণাহ হবে? কারন নিশ্চিত না। সারাক্ষণ এই বিষয়ে চিন্তায় থাকে আর ওয়াসওয়াসা আসতে থাকে।
by (715,680 points)
না, গোনাহ হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...