আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
১.ধরেন কোনো স্বামী তার স্ত্রীকে বললো,,যদি তুমি বেদ্বীন হয়ে যাও তাহলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবা,সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে তাহলে কয় তালাক হবে??

২.কোনো মানুষ যদি প্রবৃত্তির কারণে প্রায়ই বড় কোনো কবিরা গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু নামাজ(বছরে হয়তো২/৪ ওয়াক্ত কাজা হয়),রোজা, পর্দা নিয়মিত করে এবংশিরক বিদয়াত এগুলো থেকে বিরত থাকার সর্বদাই চেষ্টা করে তাহলে কি তাকে বেদ্বীন বলা যাবে??
৩.স্বামী যদি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজের উপর তালাকের শর্ত আরোপ করে(কেনায়া শব্দ দিয়ে) সেক্ষেত্রে একটা কাজ করে বায়েন তালাক হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে দেয়া বাকি শর্তযুক্ত কাজগুলো যদি করে তাহলে কি আবার শর্তযুক্ত তালাক পতিত হবে??এখানে ১ম কাজটা করার কারণে যদি বায়েন তালাক হয়ে থাকে।কারণ কেনায়া শব্দে তো বায়েন তালাক হয় যতদুর জানি

৪.কেনায়া তালাকের শর্তযুক্ত একটা কাজের কথা যদি স্বামী স্ত্রী ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বলে তাহলে কি ঐ কাজটা যতবার( অর্থাং স্বামী যদি ৩ দিন বলে যে ওটা করলে সম্পর্ক শেষ এবং বলে ওটা করলে সম্পর্ক ছিন্ন হবে আলাদা কেনায়া শব্দ ইউজ করে) স্ত্রী করবে ততবারই তালাক পতিত হবে??

৫."কেউ যদি বলে তাদের জন্য দোয়া ও মাগফেরাত কামনা করছি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দ্বীন বিজয় হয়েছে" এটা বলার সময় যদি ইমান চলে যাওয়ার কথা স্মরণ হয় এবং শিরক হয়ে যাচ্ছে এরকমটা মনে হয়।এমতাবস্থায় উক্ত কথা বলার কারণে কি তার ইমান চলে যাবে?? কারণ দ্বীনতো আল্লাহ না চাইলে তাদের চেষ্টায় বিজয় হতো না।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক এটি খুবই জঘন্য একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
তালাককে শর্তের সাথে সংযুক্ত করলে শর্ত পাওয়া গেলেই বক্তব্য অনুপাতে তালাক পতিত হয়ে যাবে।

ألفاظ الشرط إن … ومتی ومتی ما ففي ہٰذہٖ الألفاظ إذا وجد الشرط انحلت الیمین وانتہت؛ لأنہا لا تقتضي العموم والتکرار، فبوجود الفعل مرۃ تم الشرط وانحلت الیمین فلا یتحقق الحنث بعدہ۔ (الفتاویٰ الہندیۃ ۱؍۴۱۵) 
সারমর্মঃ
শর্তের কিছু বাক্য আছে,যখন শর্ত পাওয়া যাবে,কসম ভেঙ্গে যাবে এবং শেষ হয়ে যাবে।
সেই শর্ত অনুপাতে হুকুম ফিরে আসবেনা।
কেননা এটি বারংবার কে চায়না।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য বলার সময় যদি স্বামীর বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্নের উদ্দেশ্য বা নিয়ত হয়,তাহলে স্ত্রী বেদ্বীন হলে এক তালাক পতিত হবে।

(০২)
তাকে তাকে বেদ্বীন বলা যাবেনা।

(০৩)
এক তালাকে বায়েন পতিত হওয়ার পর পরবর্তী শর্তের 
দরুন আর কোনো নতুন তালাক পতিত হবেনা।

(০৪)
প্রথমবার উক্ত কাজ করার সময় তালাক পতিত হবে, এর পরের বার আর তালাক হবেনা।

(০৫)
এমতাবস্থায় উক্ত কথা বলার কারণে তার ইমান চলে যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...