ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ الۡمُحۡصَنٰتِ ثُمَّ لَمۡ یَاۡتُوۡا بِاَرۡبَعَۃِ شُہَدَآءَ فَاجۡلِدُوۡہُمۡ ثَمٰنِیۡنَ جَلۡدَۃً وَّ لَا تَقۡبَلُوۡا لَہُمۡ شَہَادَۃً اَبَدًا ۚ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفٰسِقُوۡنَ ۙ﴿۴﴾
আর যারা সচ্চরিত্রা নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারপর তারা চারজন সাক্ষী নিয়ে না আসে, তাদেরকে তোমরা আশিটি বেত্ৰাঘাত কর এবং তোমরা কখনো তাদের সাক্ষ্য গ্ৰহণ করবে না; এরাই তো ফাসেক।
(সুরা নূর ০৪)
যে ব্যক্তি অন্যের বিরুদ্ধে যিনার অভিযোগ আনে, সে সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে নিজের অভিযোগ প্রমাণ করবে। আর যদি প্রমাণ করতে না পারে তাহলে তাকে আশি ঘা বেত্ৰাঘাত করো, যাতে ভবিষ্যতে আর সে কখনো এ ধরনের কোন কথা বিনা প্রমাণে নিজের মুখ থেকে বের করার সাহস না করে। আর তাদের সাক্ষ্য কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। [ইবন কাসীর, মুয়াসসার]
ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে ঐক্যমত রয়েছে যে, সতী-সাধ্বী নারীর উপর অপবাদ দেওয়ার শাস্তি পুরুষের উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে (ফৎহুল বারী ১২/১৮১)।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)
উল্লেখ্য, শরী‘আত নির্ধারিত দন্ডবিধি বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের, অন্যদের নয় (কুরতুবী)
সেই হিসেবে যারা সচ্চরিত্রা নারীর প্রতি যেনার অপবাদ আরোপ করে, তাদেরকে যে আশিটি বেত্ৰাঘাত করা হবে,সেটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব সরকারের।
অন্য কাহারো নয়।
(০২)
আমরা শরীয়তের আইন জানাতে পারি।
দেশীয় আইন সম্পর্কে জানতে সংশ্লিষ্ট স্থানে যোগাযোগ করার পরামর্শ রইলো।
(০৩)
সেক্ষেত্রে সে আইনের দারস্ত হতে পারে,অথবা চাইলে মাফ করে দিতে পারে।
সেটি তার ব্যাক্তিগত বিষয়।