ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)স্ত্রী যদি তার স্বামীকে বলে "তোমাকে ছেড়ে দিলাম" তাহলে বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না। এই কথা দ্বারা স্ত্রীর নিজের উপর তালা* পতিত হওয়া বুঝাবে না।৷ তাই কোনো তালাক হবে না।
(২) আজকে আমার বাসার এলাকায় এসেছিলো( সে এখন তার বাবার বাড়ি থাকে), তার পর বাসায় গিয়ে লাগালাগ তিনটি ম্যাসেজ দেয় , (১)তোমারে ছাইড়া আইলাম, (২)তোমার আশেপাশে ছিলাম(৩) ঘন্টা খানিক। এতে বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩) স্বামী যদি এমনিই "তালাক" বা "তোমাকে ছেড়ে বলে" বা "তুমি মায়ের মতো" এসব কথা উচ্চারণ করে,বউ কে উদ্দেশ্য করে বলে নাই। নিজে নিজে বলে তবে বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না।
(৪)৩ নং সুরতে এসব কথা বলার সময় বউ এর কথা মনে পরে তবেও তালাক হবে না। বউ কে তালাক বা ছাড়ার কোনো ইচ্ছাই নাই।কেননা ওয়াসওয়াসার রোগীদের কোনো প্রকার তালাক হয় না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835
(৫)কেউ যদি বলে "মুফতি" শব্দটি কেমন জানি আমার কাছে লাগে, মনে হয় হাত মুষ্টি দিয়ে মারবে। বলে হাত মুষ্টি করে হাত চালনা করে বলে মুফতি,এতে ইমানে সমস্যা হবে না। (মুফতিদের সম্মান করে,শুধু শব্দ টি নিয়ে বলেছে) তবে এরকম কথা বলা বা মনোভাব রাখা কখনো উচিৎ হবে না।
(৬) কেউ যদি তার মায়ের সংস্পর্শে এসে তার লিঙ্গ দাড়িয়ে যায়, কিন্তু মায়ের প্রতি কোনো প্রকার সহবাসের ইচ্ছে নাই। মানে কোনো ফিলিংস নাই। অপরদিকে অনিশ্চকৃত মায়ের সাথে খারাপ কিছুর সিন কল্পনায় চলে আসে, যদিও মায়ের সাথে কিছুই করার ইচ্ছে নাই। অনিচ্ছায় কল্পনা এসে যায়। তাহলে হুরমত হবে না।কেননা হুরমতের জন্য সহবাসের ইচ্ছা থাকতে হবে।
(৭) কোনো মানুষ যদি " বউ কে তালাকের ইচ্ছে নাই " লেখার সময় " ব* কে তালাক " লিখে একটু থাকে ও পরে বাক্য লেখা শেষ করে। তবে এটুক লিখে থামার জন্য বিবাহে কোনো সমস্যা হবে না। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগীর কোনো তালাকই হয়না।
(৮) ৪ ও ৭ নং প্রশ্ন লেখার জন্য বিবাহে সমস্যা হবে না।