আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার প্রশ্নটা একটু বড়। দয়া করে একটু উত্তরটা জানায়েন সম্মানিত শায়েখ।
আমি একটা বিষয় নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। আমি এবার কলেজে উঠলাম। আমি শুনেছি যে দুনিয়াবী কোন কাজ যদি নেক নিয়তে করা হয় তাহলে তা ইবাদতে পরিণত হয়। তাই আমি নিয়ত করেছি যে, আমি একজন ডাক্তার হব। আর অসহায় মানুষকে সেবা করব পর্দার মাধ্যমে শরীয়ত মোতাবেক। আমি আরো নিয়ত করেছি যে, আমি নিয়মিত আমি একাডেমিক পড়া রেডি করব। আর বাকি সময় শুধু এবাদত করব। কিন্তু পড়তে বসলে আমার মনে সন্দেহ কাজ করে। আমার শুধু মনে হয়, আমি দুনিয়ায় খ্যাতি অর্জন করার জন্য পড়াশুনা করছি। আমি যদি এত পড়াশোনা করি তাহলে তো পরীক্ষায় সব থেকে ভালো মার্ক পাব। ডাক্তার হলে দুনিয়ায় সম্মান পাবো।
আরো একটা বিষয়, মাঝে মাঝে এমন হয় যে আমি কিছু সময় ইবাদত করলাম তারপর আবার পড়তে বসলাম। কিন্তু যখনই ইবাদত করার পর আমি পড়তে বসি তখনই আমার মনে হয় পড়াশোনা করে লাভ কি। বরং,এই সময়ে আমি পড়াশোনা না করে যদি ইবাদত করতাম তাহলেই তো আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জিত হতো। আমি যদি পড়াশোনায় ভালো করার জন্য চিন্তাভাবনা করি তাহলেও আমার এমন মনে হয়।

মাঝে মাঝে এমন হয় যে, একটু পরে আমি পড়তে যাব বা আমার পরীক্ষা আছে, আমার পড়া এখনো পড়া রেডি হয়নি।  তখন আমি ভাবি, আগে পড়া রেডি করে নি। তারপরে কুরআন পড়বো, নফল নামাজ পড়বো। কিন্তু তখনই আমার মনে হয় আমি দুনিয়াকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি।  আগে আমার নফল ইবাদতকে প্রাধান্য দেওয়া  উচিত তারপর সময় থাকলে পড়াশুনা করব না হলে করবো না। এমন মনে করা ঠিক??  আমার কি করনীয়?? এগুলো কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা??

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/434

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যদি ইসলাম ও মুসলমান ও দেশের স্বার্থে লেখা পড়া করতে চান, তাহলে আপনার এই লোখাপড়াই ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে। লিখাপড়া শেষে বাকী সময়টুকু আপনি ইবাদতের কাজে ব্যয় করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...