আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
281 views
in পবিত্রতা (Purity) by (64 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি দুইবার নাক ফুটো করেছিলাম। প্রছম বারের ফোঁটা বন্ধ হয়ে গেছে। পরের ছিদ্রে একটু কাঠি ঢোকানোর পর আর ঢুকেনা, জোর করে ঢোকাতে চাইলে ব্যথা পাই তবুও ঢুকেনা। এঅবস্হায় ফরজ গোসল বা অযু করার সময় নাকে কিভাবে পানি পৌছাতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (697,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
গোসলের ফরয ১১টি।
(১)মুখ ধৌত করা।
(২)নাক ধৌত করা।
(৩)সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই।কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে।কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪)খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়,তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫)নাভি ধৌত করা।
(৬)শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি। 
(৭)পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।
তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮)দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯)গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০)ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১)যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।

গোসলের সুন্নাত ১২ টি।
(১)বিসমিল্লাহ পড়ে শুরু করা।
(২)নিয়্যাত করা।
(৩)দুনু হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
(৪)নাপাক যদি শরীরের কোথাও লেগে থাকে, তা ধৌত করা।
(৫)লজ্জাস্থান ধৌত করা।
(৬)এরপর গোসলকারী ব্যক্তি নামাযের ওজুর মত ওজু করবে,
(৭)অতঃপর শরীরে তিনবার পানি ঢেলে দিবে।য
দি কেহ বহমান পানিতে অথবা এ পরিমাণ পানিতে ডুব দেয়,যা বিধানের ক্ষেত্রে বহমান পানির তুল্য,এবং কিুছুক্ষণ তাতে অবস্থান করে নেয়, তবে সে গোসলের সমস্ত সুন্নাত আদায়কারী বলে গণ্য হবে।
(৮)মাথা থেকে পানি ঢালতে শুরু করবে।
(৯)তারপর ডান কাঁধ ধুবে। 
(১০)অতঃপর বাম কাঁধ ধুবে। 
(১১)ধোয়ার সময় শরীর মলে ধুবে।
(১২)শরীরের এক অঙ্গ অপর অঙ্গের অব্যবহিতের পরে ধুবে।
গোসলের মুস্তাহাব,ওজুর মুস্তাহাব বা আদাবের মত।তবে পার্থক্য এতটুকু যে,গোসলের সময় কেবলা মুখী হবে না।কেননা এতে অনেক সময় সতর খুলে যাওয়ার আশংকা থাকে।
ওজুর মধ্যে যেগুলা মাকরুহ গোসলে মধ্যেও সেগুলা মাকরুহ। 


আল্লাহ তা'আলা সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব কাউকে দেননা।আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لاَ يُكَلِّفُ اللّهُ نَفْسًا إِلاَّ وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ
আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে।(সূরা বাকারা-১৮৬)

লোকজনের উপর সামর্থ্যর অধিক দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না। আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ْ وَمَا جَعَلَ عَلَيْكُمْ فِي الدِّينِ مِنْ حَرَجٍ 
তিনি তোমাদেরকে পছন্দ করেছেন এবং ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের উপর কোন সংকীর্ণতা রাখেননি। (সূরা হাজ্ব-৭৮)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যতটুকু সম্ভব নাকের ছিদ্রে পানি পৌছিয়ে দিলেই গোসলের ফরয আদায় হয়ে যাবে।তবে সম্ভব থাকাবস্থায় যদি কেউ নাকের ছিদ্রে পানি না পৌছায়, তাহলে তার গোসল হবে না।প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী আপনার গোসল হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...