বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)বিয়ের সময় মেয়ের পক্ষের সাক্ষী দুজনের মধ্যে একজনের ইনকাম সম্পূর্ণ হারাম আর অন্যজনের ইনকাম হালাল তবে তিনি অনেকের কাছে ঋণী, কিস্তিতে বিভিন্ন সামগ্রী কেনেন এবং কুরবানীও দেন; উভয়ই মেয়ের মাহরাম।
এজন্য মেয়ের বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না।
পারিবারিকভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে নিজ মাহরামদের থেকে সাক্ষী হওয়াই উত্তম।
(২)কোনো মহিলা যিনি চাকরি করেন তবে পর্দা করেন না; তার ইনকাম হারাম হবে না।কেননা তিনি শ্রমের বিনিময়ে বেতন নিচ্ছেন।সুতরাং তার টাকায় কেনা খাবার বা পোশাক হারাম হবে না।
(৩)বাড়িতে প্রয়োজন অতিরিক্ত আলোকসজ্জা করা অবশ্যই অনুচিত কাজ। তবে স্বাভাবিক সুন্দর্য্যর জন্য অনুচিত হবে না।
(৪)ইনকাম হালাল তবে তিনি অনেকের কাছে ঋণী, কিস্তিতে বিভিন্ন সামগ্রী কেনেন এবং কুরবানীও দেন; তার বাসায় খাবার খাওয়া জায়েজ হবে।
(৫)
এক মহিলার সামনে আরেক মহিলার সতর কতটুকু এ সম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
(وَأَمَّا بَيَانُ الْقِسْمِ الثَّانِي) فَنَقُولُ: نَظَرُ الْمَرْأَةِ إلَى الْمَرْأَةِ كَنَظَرِ الرَّجُلِ إلَى الرَّجُلِ، كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ. وَهُوَ الْأَصَحُّ
এক মহিলার সামনে অন্য মহিলার সতরঃ
এক মহিলা অন্য মহিলার ঐ সমস্ত অঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে,যা এক পুরুষ অন্য পুরুষের দিকে পারে।যখিরা নামক কিতাবে বর্ণিত আছে।এবং এটাই বিশুদ্ধ মত।
এক পুরুষ অন্য পুরুষের কোন কোন অঙ্গের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে,
এসম্পর্কে ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে,
وَيَجُوزُ أَنْ يَنْظُرَ الرَّجُلُ إلَى الرَّجُلِ إلَّا إلَى عَوْرَتِهِ كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَعَلَيْهِ الْإِجْمَاعُ، كَذَا فِي الِاخْتِيَارِ شَرْحِ الْمُخْتَارِ. وَعَوْرَتُهُ مَا بَيْنَ سُرَّتِهِ حَتَّى تُجَاوِزَ رُكْبَتَهُ، كَذَا فِي الذَّخِيرَةِ
একজন পুরুষ অন্য পুরুষের দিকে সতর ব্যতীত অন্যান্যস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করতে পারবে,এর উপর ইজমা বা উলামায়ে কেরামদের ঐক্যমত রয়েছে।মুহিত ইত্যাদি গ্রন্থাবলীতে এভাবেই বর্ণিত আছে।
পুরুষ-পুরুষের সামনে সতর হচ্ছে,নাভীর নিচ থেকে হাটু পর্যন্ত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩২৭)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/572
(৬)মেয়েরা যখন সাবালক হবে তখন থেকেই রোযা ফরয।সাবালক কখন হবে? এ সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য কথা হল, ৯ বৎসর বয়স থেকেই মেয়েরা সাবালক হবে।
(৭)বাথরুম (টয়লেট এটাসড) এ বালতিভর্তি পানি খোলা অবস্থায় সারারাত থাকলে সে পানি নাপাক হবে না। উযু-গোসল করা হলে সেগুলো কবুল হবে।
যদি এই ভরা বালতির পানি কারো হাতের স্পর্শে(ফজরে ঘুম থেকে উঠলে) নাপাক হয়েছে কি না জানা না থাকে(হবার সম্ভাবনাও থাকে) তবে উযু-গোসল করা যাবে।
(৮)দুপুরে খাবার পর ঘুমিয়ে উঠে বালতির পানির মধ্যে হাত দিলে,সেই পানি নাপাক হবে না। কেননা ঘুম থেকে উঠে বালতিতে হাত দেওয়া মুস্তাহাব।
মুল্লা আলী কারী রাহ লিখেন,
وفي شرح السنة علق النبي صلى الله تعالى عليه وسلم غسل اليدين بالأمر الموهوم وما علق بالموهوم لا يكون واجبا، ف
(মিরকাত-৩৯১ নং হাদীসের ব্যখ্যা দ্রষ্টব্য)