আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ,

সম্প্রতি আমি এক জায়গায় স্কলারশিপের সুযোগ পেয়েছি যেখানে থিওরিটিকাল ও সাইন্টিফিক বিষয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে | তবে এ দুইয়ের মাঝে আমাকে যেকোন একটি বিষয় বেছে নিতে হবে ।

থিওরিটিকাল সাবজেক্ট বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে  ইসলামিক স্টাডিজ,নোবেল কোরআন,নোবেল হাদিস, আরবী সাহিত্য,ইসলামিক দাওয়া ইত্যাদি সাইন্টিফিক সাবজেক্ট বলতে বিজ্ঞান বিজ্ঞানের বিষয়গুলোকে বোঝানো হয়েছে যেমন কম্পিউটার সাইন্স, গণিত ,পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি ।
কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না কোন বিষয়টি নেওয়া উচিত থিওরিটিক্যাল অথবা সাইন্টিফিক আমি একজন স্কুল কলেজের ছাত্র ছিলাম।অর্থাৎ আমার ব্যাকগ্রাউন্ড সাইন্টিফিক বা আমি এসএসসি বা এইচএসসি দিয়েছি ।
 কিন্তু আমাকে দুটোর মধ্যে একটি নিতে হবে|এখন আমার ইসলামিক বিষয়ও পড়তে ইচ্ছে করছে আবার সাইন্টিফিক বিষয়ও পড়তে ইচ্ছে করছে তাই আমি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি  ।
কি করা উচিত?
ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে (গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে )ভালোভাবে চিন্তা করা উচিত এবং অভিজ্ঞ বা জ্ঞানী ব্যক্তি হতে উপদেশ নেওয়া উচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ইস্তিখারা নামাজ পড়া উচিত সেই অনুসারে আমার প্রশ্ন আপনাদের কাছে যে আমার কি থিউরিটিক্যাল নাকি সাইন্টিফিক বিষয় নেয়া উচিত ?
এইটি আমার প্রশ্ন কারণ আমি  সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।
সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা  করবেন ইনশাআল্লাহ ।
 আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা  করার জন্য আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম নেয়ামত দান করুন ।
জাযাকাল্লাহ খাইরান|

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1472

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ইস্তেখারার দু'আর অর্থ হচ্ছ, কারো সামনে দু'টি রাস্তা থাকে, সে কোনটি গ্রহণ করবে?এ বিষয়ে সে পেরেশান। তাই এজন্য সে ইস্তেখারা করে কোনো একটি রাস্তাকে নির্দিষ্ট করবে। আপনি এক সাপ্তাহ ইস্তেখারা করে তারপর মন যে দিকে সায় দিবে,সেদিকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...