জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ইনকাম হালাল হবে।
এতে সমস্যা নেই,তবে উক্ত মোটর সাইকেল ব্যবহার নাজায়েজ,ব্যবহার করলে এই গুনাহ আপনার হবে
,
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে মৌখিক ভাবে আযানের জবাব দেওয়া মুস্তাহাব।
যে কোনো মসজিদের আযানের জবাব দিলেই মুস্তাহাব আদায় হয়ে যায়। তবে একই জায়গায় একাধিক মসজিদের আযান শুনা গেলে, প্রথম আযানের উত্তর দিবেন। পরবর্তী আযানগুলোর উত্তর দেওয়া লাগবে না। এমনকি সেটা নিজ মহল্লার মসজিদের আযান হলেও তার উত্তর দেওয়া লাগবে না। আর যদি সব কটি আযান এক সঙ্গে শুরু হয় তাহলে নিজ মহল্লার মসজিদের আযানের উত্তর দিবেন।
فی الدر المختار ’’ وسئل ظہیر الدین عمن سمعہ فی آنٍ من جِہَاتٍ ماذا یجب علیہ قال اِجابۃ أذان مسجدہ بالفعل ‘‘ وفی الشامی ’’ قال فی الفتح وہذا لیس مما نحن فیہ اِذ مقصود السائل أیّ مؤذن یجیب باللسان استحبابا أو وجوباً الذی ینبغی اِجابۃ الأول سواء کان مؤذن مسجدہ أوغیرہ فان سمعہم معاً اجاب معتبراًکون اِجابتہ لمؤذن مسجدہ ولو لم یعتبر ذلک جاز وانما فیہ مخالفۃ الأولی ۔ اھ مخلصاً أقول والظاہر أن عدول الامام ظہیر الدین الی ما قال من باب أسلوب الحکیم میلاً منہ الی مذہب الحلوانی ثم رأیت الرحمتی أجاب بذلک ۔ ص ۲۸۰ ج ۱ ۔ فی آخر باب الاذان ۔
﴿شامی کوئٹہ ص ۲۹۴ ج۱ ﴾
যার সারমর্ম হলো প্রথম আযানের জবাব দিবে।
۔
والذی نبغی إجابۃ الأوّل سواء کان مؤذن مسجدہ أو غیرہ ، فإن سمعہم معًا أجاب معتبرًا کون إجابتہ لمؤذن مسجدہ
(۱) رد المحتار :۲/ ۷۰۔
যার সারমর্ম হলো যদি সে কোনো মসজিদের মুয়াজ্জিনও হয়,সেখানের আগেই যদি অন্যত্রে আযান হয়,তাহলে সেও প্রথম আযানের জবাব দিবে।
(ফাতহুল কাদীর ১/২৫৩; শরহুল মুনইয়া পৃ. ৩৭৯;আদ্দুররুল মুখতার ১/৩৯৬; হাশিয়া তহতাবী আলালমারাকী পৃ. ১১০ ফাতাওয়ায়ে হিকমত ১/১২৬,কিতাবুল ফাতওয়া ২/৯৫)
(০৩) তাগুত মানেই কাফের নয়।
তাগুত হচ্ছে ঐসব ব্যক্তি, যারা মানুষকে আল্লাহ ব্যতীত নিজেদের আনুগত্যের দিকে আহ্বান করে এবং আল্লাহর আইনের বিপরীতে নিজেরাই আইন তৈরি করে মানুষকে তা মেনে চলতে বাধ্য করে।
তাগুত সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ
,
কাউকে কাফের নাস্তিক বলা নিয়ে বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৪)
আপনি যদি নিশ্চিত হোন অযু নেই,তাহলে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।
,
আর যদি সন্দেহ হয়,অযু থাকা না থাকা কোনোদিকএই প্রবল ধারনা না হয়,
আর আপনি নিশ্চয়ই নামাজের আগে অযু করেছিলেন বা অযু অবস্থায় ছিলেন, তাহলে যতই সন্দেহ হোক সেদিকে মোটেই ভ্রুক্ষেপ করবেন না। আপনি নিশ্চয়তার উপর নির্ভর করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি অযু না থাকার ব্যপারে নিশ্চিত হবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত কেবল সন্দেহের বশে অযু নেই বলা যাবে না।
সুতরাং আপনার উক্ত নামাজ আবার আদায় করতে হবেনা।
শরীয়তের বিধান হলো নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহের কারণে উযূ করতে হয় না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَلِيٌّ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، أَنَّهُ شَكَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّجُلُ الَّذِي يُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلاَةِ. فَقَالَ " لاَ يَنْفَتِلْ ـ أَوْ لاَ يَنْصَرِفْ ـ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا "
‘আব্বাদ ইব্নু তামীম (রহঃ)-এর চাচা থেকে বর্ণিতঃ
একদা আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এক ব্যক্তি সম্পর্কে বলা হলো যে, তার মনে হয়েছিলো যেন সালাতের মধ্যে কিছু হয়ে গিয়েছিলো। তিনি বললেনঃ সে যেন ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা দুর্গন্ধ পায়।
(বুখারী ১৭৭, ২০৫৬; মুসলিম ৩/২৬, হাঃ ৩৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৩৯)
,
অজু করার পর কোন কারণে যদি অজু থাকা না থাকা নিয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে ধরা হবে সে অজু অবস্থাতেই আছে। তাই এ অবস্থায়ও নামায পড়া বা কুরআন শরীফ স্পর্শ করা যাবে। আর যদি ওজু করা না করা নিয়ে সন্দেহ হয়, তাহলে ধরা হবে তার অজু নেই। তাই সে উক্ত আমলদ্বয় করতে পারেবে না বরং তাকে অজু করে নিতে হবে।
من شك فى الحدث فهو على وضوئه ولو كان محدثا فشك فى الطهارة فهو على حدثه : الهندية
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি অযুরত অবস্থায় হদছ নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে অযুর উপরেই আছে বলে ধরা হবে।
( ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/৬৪, আল-আসল: ১/৫৩, খোলাসাতুল ফাতাওয়া: ১/১৮, ফাতাওয়া শামী: ১/৩১০)
,