আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল এর উত্তর দিলে উপকৃত হব।

১.সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ফরজ- ওয়াজিব মাসালা জিজ্ঞাসা না করলে গুণাহ হবে। কিন্তু সেই মাসাআলাটি যদি আমার ওই ফরজ ওয়াজিব মাসাআলাটি ওই সময় প্রয়োজন না হয় তাহলে কি জিজ্ঞাসা না করলে আমার গুণাহ হবে ?

২.নামাজের ভঙ্গ নিয়ে সন্দেহ হলে করণীয় কি?

৩.নামাজের মধ্যে ওয়াসাওয়াসার কারণে ভুল করে মুখ দিয়ে 'না' শব্দটি উচ্চারণ করেছি এতে কি নামাজ ভেঙ্গে গেছে?

৪.ভুল করে দুই হাত দিয়ে কাপড় ঠিক করেছি এতে কি আমার নামাজ ভেঙ্গে গেছে?

৫.মা যদি মধ্যবয়স্ক হন তাহলে তার  মাঝখানে কোলবালিশ রেখে এক বিছানায় ঘুমানো কি জায়েয?

৬.দেখাদেখি করা গুণাহ। কিন্তু যদি স্কুল, কোচিং বা বাড়িতে পড়ার সময় একটু দেখে লিখে স্যারকে পরে  যদি বলি একটু দেখে লিখেছি তাহলে কি আমার গুণাহ হবে?

৭.কারো মুখে আঘাত করা খি কি জায়েয/নাজায়েজ/মাকরুহ?

৮.যদি কেউ ক্ষমা পাওয়ার জন্য শুধু ইস্তেগফার করে কিন্তু লজ্জিত, অনুতপ্ত না হয় আর গুণাহ না করার সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে কি তার গুণাহ মাফ হবে?

৯.কারো গীবত করা ও শোনা  গুণাহ।কিন্তু কেউ সে যদি গীবত করে ও শুনে তাহলে কিন্তু গুণাহের সাথে বান্দার হক নষ্ট হবে?

১০.নাবালেগ থাকতে কারো হক নষ্ট করলে কি বালেগ হলে তা কি আদায় করতে হবে?

১১.কারো হক নষ্ট করলে তার হক যদি সরাসরি না দিয়ে গোপনে ফিরিয়ে দেয় তাহলে কি হক আদায় হবে?

১২.কারো হক ফিরিয়ে দেবার সময় হাদিয়া হিসেবে বা অনুমান হিসেবে (সুদ হিসেবে নয়) যদি বেশি টাকা দেয় তাহলে কি গুণাহ হবে?

১৩.তওবা ইস্তেগফারের মাঝে মন যদি একটু অমনোযোগী হয়ে তাহলে কি কোন সমস্যা হবে?

১৪.আমি যদি এমনিতেই কোন পরনারীর চিন্তা করি (খারাপ চিন্তা নয়) যেমন কোন মেয়ে রেজাল্ট ভালো করেছে। এরকম তাহলে কি আমার গুণাহ হবে?

১৫.হাটার সময় বাধ্য হয়ে একবার পরনারীর যেকোন অঙ্গের দিকে তাকানো কি জায়েয?

১৬.তওব করার মধ্যে গুণাহ হলে করণীয় কি?

১৭.নামাজে গুণাহ এর ওয়াসওয়াসা আসলে যদি কান্না করি তাহলে কি আমার নামাজ ভেঙ্গে যাবে?

১৮.ওয়াসওয়াসা কি?

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

(১) সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দায়িমী ফরজ-ওয়াজিব মাসালা জিজ্ঞাসা না করলে গোনাহ হবে। কিন্তু সেই মাসাআলাটি যদি আমার ঐ ফরজ ওয়াজিব মাসাআলাটি ওই সময় প্রয়োজন না হয়, তাহলে  জিজ্ঞাসা না করলে আমার গোনাহ হবে না।

(২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1797

(৩)নামাজের মধ্যে ওয়াসাওয়াসার কারণে ভুল করে মুখ দিয়ে 'না' শব্দটি উচ্চারণ করেছ এতে কি নামাজ ভেঙ্গে গেছে?

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431

(৪)ভুল করে দুই হাত দিয়ে কাপড় ঠিক করেছি এতে কি আমার নামাজ ভেঙ্গে গেছে?

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/445

(৫)মা যদি মধ্যবয়স্ক হন তাহলে তার মাঝখানে কোলবালিশ রেখে এক বিছানায় ঘুমানো কি জায়েয?

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/757

(৬)দেখাদেখি করা ধোকা ও প্রতারণা। কেউ যদি স্কুল, কোচিং বা বাড়িতে পড়ার সময় দেখে লিখে, স্যারকে পরে যদি বলে যে, একটু দেখে লিখেছি, তাহলে  আমার গোনাহ হবে না।

(৭)কারো মুখে আঘাত করা জায়েয হবে না।

(৮)যদি কেউ ক্ষমা পাওয়ার জন্য শুধু ইস্তেগফার করে কিন্তু লজ্জিত, অনুতপ্ত না হয় আর গোনাহ না করার সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে সে ক্ষমার আশা করা গৌণ।  তার গোনাহ মাফ হবে না।

(৯)কারো গীবত করা ও শোনা  গোনাহ। কিন্তু কেউ যদি গীবত করে ও শুনে তাহলে কিন্তু গোনাহের সাথে বান্দার হকও নষ্ট হবে।

(১০)নাবালক অবস্থায় কারো হক নষ্ট করলে সাবালক  অবস্থায় সেই হক আদায় করা জরুরী নয়।

(১১)কারো হক নষ্ট করলে তার হক যদি সরাসরি না দিয়ে গোপনে ফিরিয়ে দেয়, তাহলেও হক আদায় হয়ে যাবে।

(১২)কারো হক ফিরিয়ে দেবার সময় হাদিয়া হিসেবে বা অনুমান হিসেবে (সুদ হিসেবে নয়) যদি বেশি টাকা দেয় তাহলেও গোনাহ হবে না।

(১৩)তওবা ইস্তেগফারের মাঝে মন যদি একটু অমনোযোগী হয়ে যায়, তাহলেও কোন সমস্যা হবে না।

(১৪)আমি যদি এমনিতেই কোন পরনারীর চিন্তা করি (খারাপ চিন্তা নয়) যেমন কোন মেয়ে রেজাল্ট ভালো করেছে। এরকম করলে গোনাহ হবে না।

(১৫)হাটার সময় বাধ্য হয়ে একবার পরনারীর যে কোনো অঙ্গের দিকে তাকানো জায়েয হবে না।

(১৬)তাওবা করার মধ্যে গোনাহ হলে আবার তাওবাহ করতে হবে।

(১৭)নামাজে গোনাহ এর ওয়াসওয়াসা আসলে যদি কান্না করা হয়, তাহলে নামায ভঙ্গ হবে কি না? সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/431

(১৮)ওয়াসওয়াসা হল,মনের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার চিন্তা তৈরী হওয়া। মনের মধ্যে অশান্তি তৈরী হওয়া।বারবার কোনো জিনিষের চিন্তা মনের মধ্যে উদয় হওয়া।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...