আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
148 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (91 points)
edited by
১.একটি প্রশ্ন করেছিলাম " কেও যদি অপর মুসলিমকে মজা করে বলে " তোমার ভগবান যা বলে তা করো" এটা কি কুফরি হবে? আমার আম্মা এই কথা মজা করে অনেককে বলে, উনি হয়তো জানেন না এই কথা ভালো না খারাপ উনিকি কুফর হবেন এজন্য? "যার জবাবে আপনি বলেছিলেন যে , ";ভগবান দ্বারা এখানে এক আল্লাহকে উদ্দেশ্য নিলে এতে কুফরি হবেনা।

এই বিষয়ে আজকে উনাকে যখন জিগ্যাসা করি যে উনি কি উদ্দেশ্য নিয়ে  এটা বলেন উনি বিরক্ত হয়ে জবাব দেন  "ওতো খোজাখোজি করিছ না, আমরা যেমন জানি এমনে চলি "         । ( উনি জানেন আমি ইদানিং এসব নিয়ে খোজাখোজি করি ) তাই রাগে বলেছেন এমন আর আমি ও পাল্টা জিগ্যাসা করি না । এখন আমার কি করনীয় ? উনার কি ইমানে সমস্যা হবে?

 উনার উদ্দেশ্য তো জানলাম না । ( তবে আমর মনে হয় উনি আল্লাহ ও বুঝান না  এবং হিন্দুদের পূজার ওই দেবদেবী ও বুঝান না , এমনেই ওই ব্যক্তীর ইচ্ছা উদ্দেশ্য করে মজা করে বলেন )

২. কেও যদি তার বউ কে মজা করে  বল  "শাশুরিকে গিয়ে বলো  যে  হোসেন ( তার নাম) আমাকে ছাইড়া দিছে ";( তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া  বা  উদ্দেশ্য নিয়ে এমনটা বললে কি হবে জানাবেন কি ?)

৩. আমি আজকে আমার বউ কে ওই একই কথা বলার সময় ";  শাশুরিকে গিয়ে বলো  যে  হোসেন ( তার নাম) আমাকে ছাইড়/ছাইড়া " এতো টুকু  বলে থেমে যাই বাকি অংশ বলি নাই এমন টাই আমার বিশ্বাস আমারকি বিবাহে সমস্যা হবে ?

৪. বউএর সাথে অন্তরঙ্গ কিছু ক্ষন সময় কাটাই ( সহবাস ছাড়া) এর পর স বলে , আমার গোসল ফরজ  করেফেলেছো । আমি বলি নাহ কিভাবে ফরজ হলো ্ সে বললো ওই  এবাবেই হয়েছে ।  তার মজা করে এইসব কথায় কি ইমানে সমসন্যা হবে?

৫.হঠাত কেও জোরে  কোরআন পাঠ করায় অপরজন যদি বলে , অমুক হঠাৎ ক্ষেপে গেছে । এর ফলে কি তার ইমানে সমস্যা হবে ?(কোরআনকে অপমানর নিয়ত না থাকলে )

৬.হিন্দি একটি গান আছে যার লাইন টা এমন, "মেরে সাইয়া জি ছে আজ মেনে ব্রেকাপ কারলিয়া"।    (সাইয়া বলতে সাধারণত, স্বামী/বউ  বা প্রেমিকা/প্রমিক বুঝায়, এবং Break Up এর আবিধানিক অর্থ,বিচ্ছেদ বা শেষ বা অবসান,  যা সাধারণত বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং কখনো বিয়ের সম্পর্ক শেষ করা বুঝায়  )
গানটির অর্থ জেনে কোনো স্বামী যদি তার বউ এর উদ্দেশ্যে গায় তবে, তালাকের নিয়ত না থাকলে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শিরক দুই প্রকার: এক. শিরকে জলী, দুই. শিরকে খফী। শিরকে জলী সবচেয়ে মারাত্মক। শিরকে জলীর অনেক প্রকার রয়েছে। 

যেমন ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার হক, তাতে আল্লাহ ছাড়া কাউকে শরীক করা, উপায়-উপকরণের ঊর্ধ্বের বিষয়ে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা, উপায়-উপকরণকে উপায়-উপকরণের সৃষ্টিকর্তার মান দেওয়া, গাইরুল্লাহকে উপকার ও ক্ষতির ক্ষমতাধারী মনে করা ইত্যাদি। 
,
কিছু বিষয় আছে এমন, যা তাওহীদ-পরিপন্থী তো নয়, তবে তা ‘তাওয়াক্কুলে’র সর্বোচ্চ স্তর থেকে নিম্নস্তরের। এ ধরনের বিষয়গুলোকে শিরক বলা ভুল। 

আল্লাহর কাছে সবচে’ ঘৃণ্য ও জঘন্যতম পাপ হল শিরক। 

শিরকের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা নবীকে সতর্ক করে বলেছেন-

وَ لَقَدْ اُوْحِیَ اِلَیْكَ وَ اِلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِكَ  لَىِٕنْ اَشْرَكْتَ لَیَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَ لَتَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ.

নিশ্চয় আপনার প্রতি এবং আপনার পূর্ববর্তীদের প্রতি এই ওহী প্রেরণ করা হয়েছে যে, যদি আপনি শিরক করেন তাহলে অবশ্যই আপনার সকল আমল বরবাদ হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত আপনি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবেন। -সূরা যুমার (৩৯) : ৬৫

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেছেন-
اِنَّهٗ مَنْ یُّشْرِكْ بِاللهِ فَقَدْ حَرَّمَ اللهُ عَلَیْهِ الْجَنَّةَ وَ مَاْوٰىهُ النَّارُ.

আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। -সূরা মায়েদা (৫) : ৭২

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে আপনি যে ধারণার কথা উল্লেখ করেছেন,সেই হিসেবে শিরক হবেনা।
আপনার মায়ের ঈমান চলে যাবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এটি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তির অন্তর্ভুক্ত হবে,এতে তালাক হবেনা।

তবে এহেন বাক্য খুবই মারাত্মক, তাই স্বামী স্ত্রীর এহেন বাক্য বলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে সমস্যা হয়নি।
তবে আগামিতে আর এহেন বাক্য বলবেননা।

(০৪)
এইসব কথায় ঈমানের সমস্যা হবেনা। 

(০৫)
এর ফলে তার ইমানে সমস্যা হবেনা।

(০৬)
স্বামীর এখানে স্ত্রীকে তালাক প্রদানের নিয়ত না থাকলে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...