আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
238 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ
আপনি বলছেন ২ নং প্রশ্নের উত্তরে

প্রশ্নের বিবরণ মতে এটা ইজাব কবুল এর কথা নয়। এতে বিয়ে হয়না। প্রশ্নে একটা কথা বলতে ভুলে গেছি আমার মা যখন ছেলেটাকে বলছিল আমার মেয়েকে বৌ বলে ডাকতে পারো না  ছেলেটা আমার মায়ের কথার জবাবে  বলছিল যখন হবে তখন দেখবো এরপর আমার মা বলছিল রাখি এটা বলে কথোপকথন শেষ করে। এটা সম্পূর্ণ ঘটনা । আসলে মনের ভেতর কেমন জানি খোঁচা দিচ্ছিল৷ শায়েখ আপনি বলছেন এটা ইজাব কবুলের কথা নয় তার মানে এখানে লোকজন থাকুক বা না থাকুক বিয়ে তো হয় না? সম্পূর্ণ ঘটনায় তো ইজাব কবুল হয় নাই?
(২) সন্দেহ থেকে কোন ভাবেই রেহাই পাচ্ছি না। সন্দেহ থেকে রেহাই পাবো কি করে?

(৩) এক বাসায় যে আগে ছিল তাকে নাকি বোবা জ্বীনে ধরতো তারপর তারা বাসা চেন্জ করে। এই বোবা জ্বীন কি খুব খারাপ জ্বীন?
(৪) আমাদের বাসার মালিকের অনেক আম গাছ আছে। মালিক থাকে না৷ আমরা গাছের ফল খাওয়ার পর তাকে জানালে কি গুনাহ হবে?

(৫) কারও কাছ থেকে বাকি করলে ভুলে গেলে। যে এমাউন্ট আমার স্ট্রং ভাবে মনে হচ্ছে তা তাকে দিলে কি আমার গুনাহ হবে? যদি সেই লোকের বাকি কত মনে না থাকে ।
শায়েখ কিছু মনে করবেন না। এক প্রশ্ন বার বার করা দূঃখিত।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
সম্পূর্ণ ঘটনায় ইজাব কবুল হয়নি।

(০২)
এগুলো ওয়াসওয়াসা যাহা মূলত শয়তানের পক্ষ থেকে আসছে।
,
আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবেঃ-
আপনি আর এ সংক্রান্ত কোনো বিষয় ভাববেননা।  কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না।
এ সংক্রান্ত আর কোনো প্রশ্ন করবেননা।

মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

 (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)

(০৩)
হ্যাঁ, সেই জ্বীন যেহেতু মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে,তাই সেটি খারাপ জ্বীন।

(০৪)

শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আম খাওয়ার আগে মালিককে জানাতে হবে।
বা আগে থেকেই মালিক থেকে অনুমতি নিতে হবে।
নতুবা খাওয়া জায়েজ হবেনা।

তবে আগে খেয়ে থাকলে পরবর্তীতে বিষয়টি মালিককে জানালে মালিক অনুমতি প্রদান করলে অনুমতি ছাড়া খাওয়ার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।

(০৫)
হ্যাঁ, প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে এমাউন্ট আপনার নিকট প্রবল ধারনার ভিত্তিতে ভিত্তিতে মনে হচ্ছে,সেটি সেই লোককে দিয়ে দিলে হবে।
এতে গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
শায়েখ আপনি বলছেন এটা ইজাব কবুলের কথা নয় তার মানে এখানে লোকজন থাকুক বা না থাকুক বিয়ে তো হয় না? 

শায়েখ এই বিষয় নিয়ে আর প্রশ্ন করবো না এটাই শেষ প্রশ্ন। দয়া করে বিরক্ত হবেন না। 
by (5 points)
শায়েখ ওয়াসওয়াসা আসলে প্রশ্ন না করলে ওয়াসওয়াসা বাড়ে। এখানে করনীয় কি।
by (574,260 points)
এটা যেহেতু ইজাব কবুলের বাক্য নয়, তার মানে এখানে লোকজন থাকুক বা না থাকুক বিয়ে হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...