আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (53 points)
edited by

https://ifatwa.info/73281/

১.শায়খ এখানে কমেন্টে ১ নং এ আমি একটা প্রশ্ন করেছিলাম।এখানে একটা বাক্যের(আমার অন্তর থেকে তা**) দিকে ইঙ্গিত করে বলেছিলাম "তালাকের কোনো ইচ্ছে নিয়ে বলেছি বলে মনে হচ্ছে না তাও সন্দেহ হচ্ছে"। ওখানে একটা কথা বলা হয়নি যে আমি ঐ বাক্যটা ঠোট আর জিহবা নাড়িয়ে বলেছি কিন্তু কান পর্যন্ত আসার মতো কোনো শব্দ বের হয়েছে কিনা এটা নিয়ে সন্দেহ আছে। এখন আমি যে শুধু এটুকু বলেছি "তালাকের কোনো ইচ্ছে নিয়ে বলেছি বলে মনে হচ্ছে না তাও সন্দেহ হচ্ছে" এটা বলাতে কি কোনো তালাক হবে?স্বামী কর্তৃক তালাকের অধিকার দেয়া থাকলে এক্ষেত্রে কি কোনো তালাক হবে?
২.আর আমার এখনকার কথা কি শরীয়তে গ্রহনযোগ্য যে "আমি ঐ বাক্যটা(আমার অন্তত থেকে তা**।শব্দটা বুঝে নিয়েন) ঠোট আর জিহবা নাড়িয়ে বলেছি কিন্তু কান পর্যন্ত আসার মতো কোনো শব্দ বের হয়েছে কিনা এটা নিয়ে সন্দেহ আছে"?? আর বাক্য নিয়ে শব্দ হয়েছে কিনা এরকম সন্দেহ হওয়ার পরও কি তালাক হবে?যদি অধিকার পেয়ে থাকি?

৩.তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোন মহিলা যদি বলে হিসাব ক্লোজ করতিছি তাহলে কি কোনো তালাক হবে?

৪.ডিফারেন্স শব্দটা কোনো কেনায়া শব্দ?

৫.তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোন মহিলা যদি বলে স্বামী তালাকের অধিকার দিলে তালাক হবে?

৬.আমার স্বামী ডিফেন্স জব করে সে বলছে এই চাকরী করলে ২ টা বিয়ে করা যায় না।তখন আমি বলি যদি বাচ্চা না হয় বা অথবা ও (২ টার যেকোনো একটা বলছি) কোনো সমস্যা হয় বা সমস্যা হয় তখন? সে উত্তরে বলছে সরকার বিচ্ছেদ ঘটাবে বা এমন টাইপের কিছু এরপর সে বলে তুমি তালাক দিবা আসলে আমি ঐ প্রশ্নগুলো আমাদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছি কি না সন্দেহ হচ্ছে।এখন এ অবস্থায় আমি কি তালাকের অধিকার পাবো?

৭.৬ নং প্রশ্নে উল্লেখিত আমি ঐ প্রশ্নগুলো আমাদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছি একটুকু বা আমাদের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছি এটুকু লেখার সময় মনে হয় উপরে ১,২ প্রশ্নের কথা বলতেছি কিন্তু আমি আসলে এরকম চিন্তা করতে চাইনি তবুও মাথায় চলে আসছে।আমি মুলত বাক্যটা আমার স্বামীকে যে প্রশ্ন করছি (যদি বাচ্চা না হয় বা অথবা ও (২ টার যেকোনো একটা বলছি) কোনো সমস্যা হয় বা সমস্যা হয় তখন?)এটার দিকে ইঙ্গিত করে লিখতে চাইছি।এখন ১,২ প্রশ্নে কি তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
এটা বলাতে কোনো তালাক হবেনা।
স্বামী কর্তৃক তালাকের অধিকার দেয়া থাকলেও এক্ষেত্রে কোনো তালাক হবেনা।

(০২)
হ্যাঁ উক্ত কথা শরীয়তে গ্রহনযোগ্য। 
বাক্য নিয়ে শব্দ হয়েছে কিনা এরকম সন্দেহ হওয়ার পরও তালাক হবেনা।

(০৩)

তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোন মহিলা যদি বলে হিসাব ক্লোজ করতেছি, তাহলে শুধু এতটুকু বাক্য বলার দরুন কোনো তালাক হবেনা।

(০৪)

ডিফারেন্স শব্দটা কোনো কেনায়া শব্দ নয় 

(০৫)

তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোন মহিলা যদি বলে "স্বামী তালাকের অধিকার দিলে তালাক হবে"

তাহলে এক্ষেত্রে শুধু এতটুকু বাক্য বলার দরুন কোনো তালাক হবেনা।

(০৬)
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি তালাকের অধিকার পাবেননা।

(০৭)
এখন ১,২ প্রশ্নে  তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...