আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
95 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,হুজুর আরেকটু বিরক্ত করি।আমি কেনায়া সন্দেহ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম।আপনি উত্তর দিয়েছিলেন যে হয় নি।তবু আমার সন্দেহ হচ্ছিল।মনের সন্দেহ দূর করার জন্য আমার দুই শ্যালকের সামনে ইজাব কবুল করেছিলাম।এর পর আপনি বলেছিলেন যে বিয়ে নবায়ন হয়ে গিয়েছে।কোন সমস্যা থাকল না।
কিন্তু তাও মন মানতে ছিল না,কারণ তারা ত বিষয়টা জানত না যে আমি কেনায়ার জন্য এটি করেছি।পরবর্তীতে দুইজন আলেম তাদেরকে বিষয়টি বলে তাদের সামনে ইজাব কবুল করেছি।তাও মনে হচ্ছিল আমার ওয়াইফ একটু মন খারাপ করে বলেছে মনে হয়।আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কি মন খারাপ করে কবুল বলেছ? সে বলল মন খারাপ করে বলেনি।
যাক পরবর্তীতে এটা নিয়েও সন্দেহ আর চিন্তা হচ্ছিল যে আসলে হল কি না,আবার মনে হচ্ছিল কেনায়াই ত হয় নি,তাহলে বিয়ে নবায়ন করতে গেলাম কেন? যেহেতু গিয়েছি মানে এটা মেনে নেয়া যে হয়েছে।ইত্যাদি।
এগুলো চিন্তা করে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ি।শরীর জ্বালাপোড়া করত।প্রায় দুই মাস এই অবস্থা চলে।কিছুই ভাল লাগত না।অস্থির হয়ে যাই।এক পর্যায়ে এমন চিন্তা আসতে লাগল যে সংসারে মনে হয় কোন ঝামেলা বা অকল্যাণ আছে।ভেংগে দেয়া দরকার তাহলে মনে হয় কল্যাণ আছে।
এক বার মনে হল এটা শয়তানের ওয়াসোয়াসা, তাও নিজেকে অশান্তি আর অস্থির করে তুললাম।কোনভাবেই সৈহ্য করতে পারছিলাম না।ঘুম ভাংলেই এই চিন্তা।কাউকে বলতেও পারছিলাম না।
এক পর্যায়ে আমার ওয়াইফকে বিষয়টা এভাবে শেয়ার করলাম যে,আমার ত আরো ভয়নকর চিন্তা আসতেছে।শয়তান এখন এরকম চিন্তা দিচ্ছে যে, "আমি যেন সংসার ভেংগে দিই,বিচ্ছিন্ন থাকি,ইত্যাদি।আবার চিন্তা করি বাচ্ছা কাচ্ছার কি হবে।আমি কোথায় থাকব,তখন মনে হয় মেসে থাকব" এরকম আমার চিন্তার অবস্থাটা আমার ওয়াইফকে বললাম।
এটা বলার সময় তখনই আমার স্ত্রীকে আবার বললাম,দেখ এই যে তোমাকে আমার এই অবস্থার কথা জানালাম দেখ এটা নিয়ে আবার কি সন্দেহ তৈরি হয়।
ঠিকই এখন এটা নিয়ে আবার সন্দেহ হচ্ছে যে আমার ওয়াইফকে যে এগুলো বললাম এতে আবার নতুন করে কেনায়া হয়ে গেল কি না? আমি বুঝতেছি যে পুরা বিষয়টাই আসলে শয়তানের কুমন্ত্রণা। আগেরটাও ছিল কুমন্ত্রণা। এখন আবার পরেরটা আরো ভয়নকর কুমন্ত্রণা, কারণ এখন আবার শয়তান যুক্তি দেখাচ্ছে যে আমি যে সংসার ভেংগে দেয়া বা বিচ্ছিন্ন হওয়ার চিন্তা আসছে এটা বলেছি এতে ত কেনায়া হয়ে গেল।কিন্তু আমি ত কেবল আমার অবস্থাটার বর্ননা দিয়েছি।তাকে ত কিছু বলি নাই।
হুজুর এ ব্যাপারে আপনার মতামত জানিয়ে আমার মনে যেন আর সন্দেহমুক্ত হয়,এবং এটা যে আসলেই অয়াসওয়াসা এটা নিশ্চিত হতে পারি এজন্য আপনি জানাবেন।
আমার ওয়াইফকে আমার চিন্তার এই বিষয়টা বলাতে কি আসলেই কোন সমস্যা হয়েছে নতুন করে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 
আপনার ওয়াইফকে আপনার চিন্তার এই বিষয়টা বলাতে কোন সমস্যা হয়ে যায়নি।

আপনি নিশ্চিত থাকুন, কোনো তালাক হয়নি।
এগুলো ওয়াসওয়াসা, এটা মূলত শয়তানের কাজ।
ইহা পরিহার করতে হবে।

আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ

এই ওয়াসওয়াসা তো শয়তানের কাজ; মুমিনদেরকে দুঃখ দেয়ার দেয়ার জন্যে। তবে (এই ওয়াসওয়াসা সৃষ্টি করে) সে মুমিনদেরকে চুল পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে না, আল্লাহর হুকুম ছাড়া। মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর ভরসা করা। (সূরা মুজাদালাহ ১০)

এহেন ওয়াসওয়াসা জনিত সমস্যা থেকে বের হতে আপনার প্রতি পরামর্শ থাকবে, 
আপনি তালাক সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না।

তালাক সংক্রান্ত প্রশ্ন করবেননা। 
মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
ঝাঝাকাল্লাহ খাইরান।ওয়াসোয়াসা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দোয়া চাই।আল্লাহ মাফ করুন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...