আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (26 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ,
আমি বাধ্য হয়ে একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করি।সেখানে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকি।আমার রুমে আমিসহ আরও ৩ জন থাকি।অনেক সময় ভালো কোনো খাবার রান্না করলে আমার তাদেরকে দিতে খুব ইচ্ছা করে,বা কোনো কিছু খেলে তাদের সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছা করে।কিন্তু আমার বাবা হারাম ইনকাম করায় আমি চাইলেও তাদেরকে দিতে পারিনা আবার একা একা খেতেও পারিনা।অনেকসময় দেখা যায় ওনারা অনেক ব্যস্ত থাকায় রান্না করতে পারেন নি।কিন্তু আমি রান্না করেছি, তারপরও আমি তাদেরকে দিতে পারিনা।

এই অবস্থায় আমার করনীয় কী?

জানাবেন প্লিজ।

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (716,720 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
বাবার ইনকাম হারাম হলে,
সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।
তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2362


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি মেয়ে হিসেবে আপনার বাবার হারাম ইনকামও থেকে প্রয়োজন মত আপনি গ্রহণ করতে পারবেন।তবে অন্য কারো জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে না যদি তাদের সামর্থ্য থাকে অর্থাৎ যদি তারা স্বাবলম্বী থাকে। আর গরীব কেউ থাকলে তার জন্য গ্রহণ করা জায়েয হবে। 
যদি এমন হয় যে, তারা রান্না করেনি এবং আপনি রান্না করেছেন, তাহলে তারা বিনিময় দিয়ে আপনার খাদ্য গ্রহণ করতে পারবে। আপনি আপনার রুমমেট সবাইকে বিষয়টা অবগত করে দিতে পারেন যারা আপনাকে পরবর্তীতে খারাপ ভাববে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (716,720 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...