জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
ফজর ও আসরের ফরযের পরে, মাগরিবের পর,এবং ফজরের সুন্নাত এর পরে কিন্তু ফরযের আগে উক্ত সময় তাহিয়্যাতুল অযু , তাহিয়্যাতুল মসজিদ (দুখুলুল মাসজিদ) এর নামাজ পড়া মাকরুহ
নাজমুল ফাতওয়া ২/১৮
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن حماد بن أبي سلیمان أنہ سأل إبراہیم النخعي عن الصلاۃ قبل المغرب، قال: فنہاہ عنہا، وقال: إن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم وأبا بکر رضي اللّٰہ عنہ وعمر رضي اللّٰہ عنہ لم یکونوا یصلونہا۔ (رواہ محمد في کتاب الآثار، نصب الرایۃ للزیلعي ۱؍۲۸۷، بحوالہ: إعلاء السنن ۲؍۶۳-۶۴ رقم: ۵۲۰ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
রাসুলুল্লাহ সাঃ, আবু বকর সিদ্দিক রাঃ,এবং ওমর রাঃ মাগরীব নামাজের পূর্বে কোনো নফল ইত্যাদি আদায় করেননি।
শরীয়তের বিধান হলো যদি অযু করার পর ততক্ষনাৎ মাগরিব নামাজ পড়ে,তাহলে তাহিয়্যাতুল অযু এর নামাজেরও ছওয়াব পাওয়া যাবে।
কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/৩৫৭।
,
যদি মসজিদে ঢুকেই সুন্নাত নামাজ পড়ে,তাহলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজও আদায় হয়ে যাবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৫৫)
,
قال في الحلیۃ: لو اشتغل داخل المسجد بالفریضۃ غیر ناو للتحیۃ قامت تلک الفریضۃ مقام تحیۃ المسجد لحصول تعظیم المسجد، کما في البدائع وغیرہ۔ (شامي ۲؍۴۵۹ زکریا)
যার সারমর্ম হলো কেহ যদি মসজিদের প্রবেশ করেই ফরজ নামাজ শুরু করে দেয়,তাহিয়্যাতুল মসজিদের নিয়ত নাও করে,তাহলেও এই নামাজ তার তাহিয়্যাতুল মসজিদের জন্য যথেষ্ট হবে।
সুতরাং মাগরিবের আযানের আগে বা পরপরই দুখুলুল মসজিদ নামাজ পড়া যাবেনা।
তবে রমজান মাসে যেহেতু আযানের পর প্রায় ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়,তাই সে সময় দুখুলুল মসজিদ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।
★আছর এবং ইশার পূর্বে চারা রাকাত নামাজ পড়া মুস্তাহাব তথা ভালো,উত্তম কাজ।
যে তাহা আদায় করবে,সে ছওয়াব পাবে,আদায় না করলে কোনো সমস্যা নেই।
,
হাদীস শরীফে এই চার রাকাত সম্পর্কে কোনো আলোচনা আসেনি।
তবে কিছু কিছু ছাহাবায়ে কেরামগন উক্ত নামাজ পড়া পছন্দনীয় মনে করেছেন।
,
আরো জানুনঃ
,
তাই এই সময়ে দুখুলুল মসজিদ নামাজ পড়াও মুস্তাহাব,৪ রাকাত নামাজ পড়াও মুস্তাহাব।
যেটা ইচ্ছা আদায় করতে পারেন।
,
তবে মসজিদে প্রবেশ করেই,(বসার আগেই) যদি ৪ রাকাত নফল পড়া হয়,তাহলে এটার দ্বারা তাহিয়্যাতুল মদজিদের ছওয়াবও পাওয়া যাবে।ইনশাআল্লাহ