আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
3,485 views
in সালাত(Prayer) by (48 points)
মাগরিবের আজানের আগে বা আজানের পরপরই মসজিদে গেলে দুখুলুল মাসজিদ  নামাজ পড়া যাবে?

আসরের আগে ৪ রাকাত সুন্নাত না পড়ে ২ রাকাত দুখুলুল মাসজিদ পড়লে কি কোন সমস্যা আছে?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

ফজর ও আসরের ফরযের পরে, মাগরিবের পর,এবং ফজরের সুন্নাত  এর পরে কিন্তু ফরযের আগে উক্ত সময় তাহিয়্যাতুল অযু , তাহিয়্যাতুল মসজিদ (দুখুলুল মাসজিদ)  এর নামাজ পড়া মাকরুহ 
নাজমুল ফাতওয়া  ২/১৮

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عن حماد بن أبي سلیمان أنہ سأل إبراہیم النخعي عن الصلاۃ قبل المغرب، قال: فنہاہ عنہا، وقال: إن رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم وأبا بکر رضي اللّٰہ عنہ وعمر رضي اللّٰہ عنہ لم یکونوا یصلونہا۔ (رواہ محمد في کتاب الآثار، نصب الرایۃ للزیلعي ۱؍۲۸۷، بحوالہ: إعلاء السنن ۲؍۶۳-۶۴ رقم: ۵۲۰ دار الکتب العلمیۃ بیروت)

রাসুলুল্লাহ সাঃ, আবু বকর সিদ্দিক রাঃ,এবং ওমর রাঃ মাগরীব নামাজের পূর্বে কোনো নফল ইত্যাদি আদায় করেননি।       

শরীয়তের বিধান হলো   যদি অযু করার পর ততক্ষনাৎ মাগরিব নামাজ পড়ে,তাহলে তাহিয়্যাতুল অযু এর নামাজেরও ছওয়াব পাওয়া যাবে। 
কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/৩৫৭।
,
যদি মসজিদে ঢুকেই সুন্নাত নামাজ পড়ে,তাহলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ এর নামাজও আদায় হয়ে যাবে।
(নাজমুল ফাতওয়া ২/২৫৫)
,
قال في الحلیۃ: لو اشتغل داخل المسجد بالفریضۃ غیر ناو للتحیۃ قامت تلک الفریضۃ مقام تحیۃ المسجد لحصول تعظیم المسجد، کما في البدائع وغیرہ۔ (شامي ۲؍۴۵۹ زکریا)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি মসজিদের প্রবেশ করেই ফরজ নামাজ শুরু করে দেয়,তাহিয়্যাতুল মসজিদের নিয়ত নাও করে,তাহলেও  এই নামাজ তার তাহিয়্যাতুল মসজিদের জন্য যথেষ্ট হবে।  

সুতরাং মাগরিবের আযানের আগে বা পরপরই দুখুলুল মসজিদ নামাজ পড়া যাবেনা।
তবে রমজান মাসে যেহেতু আযানের পর প্রায় ১৫  মিনিট সময় দেওয়া হয়,তাই সে সময় দুখুলুল মসজিদ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।   

★আছর এবং ইশার পূর্বে চারা রাকাত নামাজ পড়া মুস্তাহাব তথা ভালো,উত্তম কাজ।
যে তাহা আদায় করবে,সে ছওয়াব পাবে,আদায় না করলে কোনো সমস্যা নেই। 
,
হাদীস শরীফে এই চার রাকাত সম্পর্কে কোনো আলোচনা আসেনি।       
তবে কিছু কিছু ছাহাবায়ে কেরামগন উক্ত নামাজ পড়া পছন্দনীয় মনে করেছেন।  
,
আরো জানুনঃ
,
তাই এই সময়ে দুখুলুল মসজিদ নামাজ পড়াও মুস্তাহাব,৪ রাকাত নামাজ পড়াও মুস্তাহাব। 
যেটা ইচ্ছা আদায় করতে পারেন।
,
তবে  মসজিদে প্রবেশ করেই,(বসার আগেই) যদি ৪ রাকাত নফল পড়া হয়,তাহলে এটার দ্বারা তাহিয়্যাতুল মদজিদের ছওয়াবও পাওয়া যাবে।ইনশাআল্লাহ  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
মসজিদে গিয়ে ২ রাকাত সলাত (নামাজ) আদায় না করেই বসা কিয়ামতের আলামতঃ
 
✒আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন,
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, কিয়ামতের লক্ষণ হচ্ছে মানুষ মসজিদে প্রবেশ করবে কিন্তু তাহিয়াতুল মসজিদ ২ রাকাত সলাত আদায় করবে না।
(সিলসিলাহ সহিহাহ-৬৪৯)
কিয়ামতের এই আলামতটা প্রায় ১০০ ভাগ সত্য হয়ে গেছে ।
মানুষ মসজিদে গিয়ে সলাত আদায় না করেই বসে পরে ।
অথচ জুমার খুতবার সময় এমনকি নিষিদ্ধ সময় যখন নফল সলাত আদায় করা নিষিদ্ধ (ফজর সলাত আদায় করে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত এবং আসর সলাত আদায় করে সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত) তখনো মসজিদে প্রবেশ করলে এই সলাত আদায় করতে হবে অর্থাৎ যে সময়েই মসজিদে প্রবেশ করবে তখনই তাহিয়াতুল মসজিদ ২ রাকাত সলাত আদায় করতে হবে ।
এই সলাত আদায়ে কোন বিষয়ে কোন বাধা শরীয়তে নেই। যেমনটা বুখারির হাদিসে বর্ণিত হয়েছে-
✒জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
কোন এক জুমার দিন রাসূল (সাঃ) লোকদের সামনে খুৎবা দিচ্ছিলেন । এমন সময় এক ব্যক্তি এসে খুৎবা শোনার জন্য বসলেন। রাসূল (সাঃ) খুৎবা থামিয়ে ঐ ব্যক্তিকে জিঙ্গেস করলেন, সালাত আদায় করেছ? ঐ ব্যক্তি বলল না। তখন রাসূল (সাঃ) বললেন উঠ দু রাকাত সালাত আদায় করে নাও।
(সহীহ বুখারী, কিতাবুল জুমাহ, হাদিস নং ৯৩০)


আবূ কাতাদা ইবনু রিব’আ আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে দু’রাকাত সালাত (নামায/নামাজ) (তাহিয়্যাতুল-মাসজিদ) আদায় করার আগে বসবে না। (বুখারীঃ ইঃফাঃ ১০৯৪

আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহ.) … আবূ কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মসজিদে গেলাম তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের সামনে বসেছিলেন। তিনি বলেন, আমিও বসে পড়লাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, বসার আগে দু-রাকাত সালাত আদায় করা থেকে তোমাকে কিসে বিরত রাখল? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে বসা দেখলাম এবং লোকেরাও বসা ছিল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যখন তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করে তখন দু-রাকাত সালাত আদায়ের আগে বসবে না। (মুসলিমঃ ইঃফাঃ ১৫২৭)


ওযুর পর দুই রাকআত নামাজ পড়লে পেছনের সব গুনাহ মাফ (সহীহ আবূ দাউদ, হাদীস নং ৫৬১)


 
✔ ওযুর পর দুই রাকআত নামাজ পড়লে পেছনের সকল গুনাহ মাফ (সহীহ আবূ দাউদ, হাদীস নং ৯০৫)


 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...