আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
594 views
in সালাত(Prayer) by (37 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।

উস্তাদ, কখনো মাসজিদে ফজর নামাজ শেষে বাড়িতে এসে ইশরাক নামাজ পড়ার ইচ্ছা জাগলে পড়া যাবে কিনা, এক্ষেত্রে পড়া গেলে ফযীলাত পাব কিনা?

1 Answer

0 votes
by (710,640 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ

ইশরাকের নামায হল সেই নামায যা সূর্যোদয়ের পর পড়া হয়ে থাকে।

ইশরাকের নামাযই কি দোহার নামায?এ সম্পর্কে মতবেদ রয়েছে।কেউ কেউ উভয়টিকে একই নামায হিসেবে গণ্য করে থাকেন।আবার কেউ কেউ উভয়টিকে পৃথক পৃথক নামায হিসেবে গণ্য করে থাকেন।(বিস্তারিত জানুন,আল মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২৭/২২১) ইশরাক এবং দোহার নামাযের রাকাত সংখ্যা ও সময় সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1929


হযরত আনাস রাযি,থেকে বর্ণিত
(مَنْ صَلَّى الْغَدَاةَ فِي جَمَاعَةٍ ثُمَّ قَعَدَ يَذْكُرُ اللَّهَ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ ، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ ، كَانَتْ لَهُ كَأَجْرِ حَجَّةٍ ، وَعُمْرَةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ ، تَامَّةٍ) 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ফজরের নামায পড়বে,অতঃপর সূর্যোদয় পর্যন্ত বসে আল্লাহর যিকিরে লিপ্ত থাকবে,তারপর দু'রাকাত নামায পড়বে,তাহলে সে একটি হজ্ব ও একটি উমরার সওয়াব পাবে।এরপর তিনি তাকিদ করে বলেন,হ্যা পূর্ণ হজ্ব ও উমরার সওয়াব সে পাবে।(সুনানু তিরমিযি-৫৮৬)


এই হাদীস সম্পর্কে মতবেদ রয়েছে।কেউ কেউ দুর্বল বলেছেন।আবার কেউ কেউ হাসান বলেছেন।আলবানি রাহ এ হাদীসকে হাসান বলেছেন।

  أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا صَلَّى الْفَجْرَجَلَسَ فِي مُصَلَّاهُ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسَنًا 
রাসূলুল্লাহ সাঃ ফযরের নামাযের পর পপরিপূর্ণ সূর্যোদয়ের পর্যন্ত মুসল্লায় বসে থাকতেন।(সহীহ মুসলিম-৬৭০)উক্ত হাদীসে নামায পড়ার কথা বর্ণিত হয়নি।

হাদীসের ভাষ্যমতে উক্ত ফযিলত ঐ ব্যক্তির সাথেই খাস মনে হচ্ছে, যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে পরে মসজিদে বসে থেকে সূর্যোদয়ের পর ইশরাকের নাসায পড়বে।

তবে যদি কোথাও ফরয নামায পরবর্তী মসজিদের দরজা বন্ধ হয়ে যায়,বা যদি কেউ ফরয নামায পরবর্তী নামায মসজিদে বসার সুযোগ না পায়,তাহলে এমতাবস্থায় সে যদি বাড়িতেই ই নামায পড়ে নেয়।তাহলে আশা রাখা যায় যে, কে ব্যক্তি হাদীসে বর্ণিত সওয়া পাবে।তবে নিয়মিত এমনটা করা যাবে না, আর করলে সে সওয়াব পাবে না


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 3,487 views
+1 vote
1 answer 261 views
...