আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (33 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাই

  প্রশ্ন১ঃ হযরত মুহম্মদ (সা) উনার উম্মতদের মত কি অন্যান্য নবীদের উম্মতরা কি দাওয়াতের  কাজ করতে পারত না? যদি না হয় তাহলে এর কারনটা একটু জানাবেন।

প্রশ্ন২ঃ  আদম (আঃ)  এর সঠিক উচ্চতা কত ছিল? এক জনে বলেছেন তিনি নাকি বেহেশতে ৬০ হাত লম্বা ছিলেন এবং পৃথিবীতে এসে  কমে স্বাভাবিক উচ্চতায় হয়ে পড়েন। পৃথিবীতে অবতরনের পর আদম আঃ এর সঠিক উচ্চতা  জানতে চাই?

প্রশ্ন৩ঃ কেউ যদি তালাকের ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্য কুরআন শরীফ খতম পড়ানোর ও কিছু  টাকা দান করার কথা মুখে বলে কিন্তু পরবর্তীতে সেগুলো  যদি আদায় না করে তাহলে কি তার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে?

প্রশ্ন৪ঃ  যদি আল্লাহকে  মনে মনে সাক্ষী রেখে, স্ত্রীকে মনে মনে কেউ তালাক দিলে কি তালাক হবে?

প্রশ্ন৫ঃ  কেউ যদি মনে মনে কোনো মুসলিমকে  বিনা কারনে কাফের বলে তাহলে তার ঈমান চলে যাবে?

প্রশ্ন৬ঃ কেউ হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল মনে করলে কি তার ইমান চলে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (710,920 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
দাওয়াত ও তাবলীগ সকল যুগেই ছিল।উম্মতে মুহাম্মাদি এবং পূর্ববর্তী উম্মতের মধ্যেও দাওয়াত ও তাবলীগের দায়িত্ব ছিল।পূর্ববর্তী যুগে দাওয়াত ও তাবলীগ ফরয ছিল,এর একটি প্রমাণ- নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যখ্যায় মুফতী শফী রাহ তাফসীরে মা'রিফুল কুরআনে উল্লেখ করেন,
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِينَ اعْتَدَواْ مِنكُمْ فِي السَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُواْ قِرَدَةً خَاسِئِينَ
তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও।
فَجَعَلْنَاهَا نَكَالاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।(সূরা বাকারা-৬৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4711

(২)
আদম আঃ এর উচ্ছতা সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، ثُمَّ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ، فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ، تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ. فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ. فَقَالُوا السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ. فَزَادُوهُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ. فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ آدَمَ، فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الآنَ ".
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। এরপর তিনি (আল্লাহ্) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও। ঐ ফিরিশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিরূপে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কেননা এটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। তারপর আদম (আলাইহিস সালাম) (ফিরিশতাদের) বললেন, “আস্সালামু আলাইকুম”। ফিরিশতাগণ তার উত্তরে “আস্সালামু আলাইকা ওয়া রাহামাতুল্লাহ” বললেন। ফিরিশতারা সালামের জওয়াবে “ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ” শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানদের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপ পর্যন্ত পোঁছেছে।(সহীহ বোখারী-৩০৯১)

(৩)
কেউ যদি তালাকের ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্য কুরআন শরীফ খতম পড়ানোর ও কিছু  টাকা দান করার কথা মুখে বলে,এবং পরবর্তীতে সেগুলো যদি আদায় না করে তাহলে তার স্ত্রী তালাক হবে না।

(৪)
যদি আল্লাহকে  মনে মনে সাক্ষী রেখে, স্ত্রীকে মনে মনে কেউ তালাক দিলে তালাক হবে না।

(৫) কেউ যদি মনে মনে কোনো মুসলিমকে বিনা কারনে কাফের বলে, তাহলে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না যদিও তার এমনটা বলা উচিৎ হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...