ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
দাওয়াত ও তাবলীগ সকল যুগেই ছিল।উম্মতে মুহাম্মাদি এবং পূর্ববর্তী উম্মতের মধ্যেও দাওয়াত ও তাবলীগের দায়িত্ব ছিল।পূর্ববর্তী যুগে দাওয়াত ও তাবলীগ ফরয ছিল,এর একটি প্রমাণ- নিম্নোক্ত আয়াতের ব্যখ্যায় মুফতী শফী রাহ তাফসীরে মা'রিফুল কুরআনে উল্লেখ করেন,
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِينَ اعْتَدَواْ مِنكُمْ فِي السَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُواْ قِرَدَةً خَاسِئِينَ
তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও।
فَجَعَلْنَاهَا نَكَالاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।(সূরা বাকারা-৬৫)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/4711
(২)
আদম আঃ এর উচ্ছতা সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خَلَقَ اللَّهُ آدَمَ وَطُولُهُ سِتُّونَ ذِرَاعًا، ثُمَّ قَالَ اذْهَبْ فَسَلِّمْ عَلَى أُولَئِكَ مِنَ الْمَلاَئِكَةِ، فَاسْتَمِعْ مَا يُحَيُّونَكَ، تَحِيَّتُكَ وَتَحِيَّةُ ذُرِّيَّتِكَ. فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ. فَقَالُوا السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللَّهِ. فَزَادُوهُ وَرَحْمَةُ اللَّهِ. فَكُلُّ مَنْ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ آدَمَ، فَلَمْ يَزَلِ الْخَلْقُ يَنْقُصُ حَتَّى الآنَ ".
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আলাইহিস সালাম) কে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। এরপর তিনি (আল্লাহ্) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও। ঐ ফিরিশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিরূপে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কেননা এটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। তারপর আদম (আলাইহিস সালাম) (ফিরিশতাদের) বললেন, “আস্সালামু আলাইকুম”। ফিরিশতাগণ তার উত্তরে “আস্সালামু আলাইকা ওয়া রাহামাতুল্লাহ” বললেন। ফিরিশতারা সালামের জওয়াবে “ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ” শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (আলাইহিস সালাম) এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানদের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপ পর্যন্ত পোঁছেছে।(সহীহ বোখারী-৩০৯১)
(৩)
কেউ যদি তালাকের ওয়াসওয়াসা দূর করার জন্য কুরআন শরীফ খতম পড়ানোর ও কিছু টাকা দান করার কথা মুখে বলে,এবং পরবর্তীতে সেগুলো যদি আদায় না করে তাহলে তার স্ত্রী তালাক হবে না।
(৪)
যদি আল্লাহকে মনে মনে সাক্ষী রেখে, স্ত্রীকে মনে মনে কেউ তালাক দিলে তালাক হবে না।
(৫) কেউ যদি মনে মনে কোনো মুসলিমকে বিনা কারনে কাফের বলে, তাহলে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না যদিও তার এমনটা বলা উচিৎ হয়নি।