আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
edited by
১.তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো মহিলা যদি বলে "আমার জন্য তালাক হয়ে যাবে" একথা বলাতে কি নিজের উপর তালাক হবে??

২.ঐ মহিলা যদি ঠোট ও জিহ্বা নাড়িয়ে উক্ত কথা উচ্চারন করে বলে কিন্তু কোনো শব্দ না হয় তাহলে কি নিজের উপর তালাক হবে?

৩.কোনো স্বামী যদি কোনো মজলিসে তার স্ত্রীকে বলে যদি তোমাকে তালাক দি তাহলে কি উক্ত মজলিস তালাকের মজলিস হবে?

৪.কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে তালাকের মাসয়ালা বলে এবং স্বামী যদি স্ত্রীর কথার পিঠে বলে যদি তোমাকে তালাক দি তাহলে কি উক্ত মজলিস তালাকের মজলিস হবে??

৫.তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো মহিলা যদি বলে "আমার জন্য তালাক" একথা বলাতে কি উক্ত মহিলার নিজের উপর তালাক পতিত হবে?

1 Answer

0 votes
by (685,600 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো মহিলা যদি বলে "আমার জন্য তালাক হয়ে যাবে" একথা বলাতে  নিজের উপর তালাক হয়ে যাবেনা।

(০২)
না, এক্ষেত্রে নিজের উপর তালাক হবেনা।

(০৩)
https://ifatwa.info/45359/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
তালাক খুবই মারাত্মক  একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কোনো স্বামী যদি কোনো মজলিসে তার স্ত্রীকে বলে যদি তোমাকে তালাক দি তাহলে এখানে স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দেয়ার প্রেক্ষিতে উক্ত কথা বললে উক্ত মজলিস তালাকের মজলিস বা মুযাকারায়ে তালাক হবে।

নতুবা তালাকের মজলিস হবেনা।

(০৪)
কোনো স্ত্রী তার স্বামীকে তালাকের মাসয়ালা বলে এবং স্বামী যদি স্ত্রীর কথার পিঠে বলে যদি তোমাকে তালাক দি তাহলে এখানে স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দেয়ার প্রেক্ষিতে উক্ত কথা বললে উক্ত মজলিস তালাকের মজলিস বা মুযাকারায়ে তালাক হবে।

নতুবা তালাকের মজলিস হবেনা।

(০৫)
তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত কোনো মহিলা যদি বলে "আমার জন্য তালাক" একথা বলাতে উক্ত মহিলার নিজের উপর তালাক পতিত হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (53 points)
শায়খ এখানে কোনো ঝগড়ার মজলিস ছিলোনা বা পারিবারিক কোন কলহের সময়ও এটা বলেনি যে তালাকের ধমক ধরে নিবো। এখন এটাকে কি ধরে নিবো??স্বাভাবিক অবস্থাতেই বলেছিলো
by (685,600 points)
তালাকের মজলিস হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...