আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
164 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায

আমি IOM এর আলিম কোর্সের একজন ছাত্রী। আমি আমার হাত খরচের জন্য সাধারণত আমার আব্বুর থেকে কোনো টাকা নেই না কারণ আব্বু রিটায়ার্ড করেছেন আর আমার কোনো ভাই ও নেই যে সংসারের খরচ চালাবে। একটা টিউশনি করাই এবং সেখান থেকে ২৫০০ টাকা পাই। সেটা দিয়েই হাত খরচ চালাই এবং IOM এর বেতন সহ আনুসাঙ্গিক(এম্বি কেনা, বই কেনা) খরচ চালাই। আমি IOM এ ভর্তির পর পুউর ফান্ডে এপ্লাই করেছিলাম এবং এখন ৩০০ টাকা মাসিক বেতন দেই। সব ধরণের খরচ বাদ দিয়ে আমার হাতে মাস শেষে কিছু টাকা থেকে যায়। এই টাকার কিছু অংশ আমি হজ্বের যাওয়ার নিয়তে জমা করছি। আর কিছু অংশ আমার পরিবারের সদস্যদের জন্য খরচ করি (তাদের মাঝে মধ্যে হাদিয়া দেই)।
কিন্তু এখন আমার এমন মনে হচ্ছে আমি পুউর ফান্ড অনুযায়ী বেতন দিয়ে আপনাদের হক্ব নষ্ট করছি কিনা কারণ আমার কাছে কিছু এক্সট্রা টাকা মাস শেষে থেকে যাচ্ছে। তবে যখন পরীক্ষার ফি বা বার্ষিক ফি দিতে হয় তখন আবার মোট টাকা দেওয়া আমার জন্য কষ্টকর হয়।
এখন আমার করণীয় কি হবে উস্তায, আমি কি আপনাদের হক্ব নষ্ট করেছি?

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/36578/?show=36578#q36578 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, শরীয়তের বিধান হলো কাহারো সম্পদ তার সন্তুষ্টি ব্যাতিত ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹

হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। (সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়। (আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন !

IOM এর পুওর ফান্ডে অ্যাপ্লাই করার সময় যেই শর্তগুলি উল্লেখ থাকে যদি কোন শিক্ষার্থীর মাঝে সেই শর্তগুলি বিদ্যমান থাকে, তাহলে তার জন্য পুওর ফান্ড থেকে সহযোগিতা নেওয়া জায়েয আছে। তবে যেই শিক্ষার্থীর মাঝে প্রকৃতপক্ষে উক্ত শর্তগুলি পাওয়া যাবে না তার জন্য উক্ত ফান্ড থেকে হেল্প নেওয়া বৈধ হবে না। সামর্থ্য থাকা সত্বেও যদি কেউ মিথ্যা কথা বলে বা লেখে যে, সে পেমেন্ট করতে অক্ষম তাহলে তা কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেওয়ার শামিল।

একজন বোনের জন্য উচিত প্রথমত নিজের স্বামী বা বাবার নিকটে নিজের পড়াশুনার খরচের কথা বলবেন এবং তাদের দেওয়া টাকা দিয়ে পড়াশুনা কন্টিনিউ করবেন। যদি তারা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নিজেরও এতটুকু সামর্থ্য নেই যা থেকে পড়াশুনার খরচ বহন করবে, তাহলে সেক্ষেত্রে পুওর ফান্ড থেকে হেল্প নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

সুতরাং প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি আপনার জন্য পূর্ণ টাকা দিতে কষ্ট হয় বা তা দিলেও পরবর্তিতে পরিক্ষার ফি প্রদান করতে সমস্যা হয় তাহলে আপনি পুওর ফান্ড থেকে হেল্প নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (3 points)
উস্তায, আমি পড়িIOM এর ২য় সেমিস্টার এ। এখন আমার যাতে  পড়া গুলো  ভালো করে মনে থাকে তাই যেদেন আমার ক্লাস  থাকে না সেদিন ১ম সেমিস্টার এর লাইভ ক্লাস গুলো করি।এতে আমি উস্তায বা শিক্ষাথী দের কোনো সমস্যা করি না। তাহলে কি আমার গুনাহ হবে 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 151 views
...